hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪৩০
ইমাম হাসান (রা)-এর খিলাফতকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী
আলী (রা)-এর ওফাতের সময় তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনার পরে কি আমরা হাসানের হাতে বায়‘আত করব? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, আমি আমার অবস্থা নিয়েই মগ্ন আছি। যাকে তোমাদের পছন্দ হয় তার হাতেই বায়‘আত করবে। লোকেরা তাঁর এ কথাকেই ইমাম হাসানের পক্ষে অনুমতি ধরে নিয়ে তার হাতে বায়‘আত করে। সর্বপ্রথম কায়স ইব্‌ন সা‘দ ইব্‌ন আব্বাস বায়‘আতের জন্য স্বীয় হাত ইমাম হাসানের দিকে বাড়িয়ে দেন। এরপর অন্য লোকেরাও এসে বায়‘আত করতে থাকে। বায়‘আত গ্রহণের সময় ইমাম হাসান (রা) সবার কাছে অঙ্গীকার নিচ্ছিলেন, তোমরা আমার কথা অনুযায়ী চলবে। আমি যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব তোমরাও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং আমি যার সাথে সন্ধি করব তোমরাও তার সাথে সন্ধি করবে।

এই বায়‘আত গ্রহণের পরপরই কূফাবাসীরা পরস্পর কানাঘুষা করতে থাকে যে, মনে হচ্ছে তাঁর (হাসানের) যুদ্ধ করার ইচ্ছা নেই। মুআবিয়া (রা) যখন হযরত আলী (রা)-এর শাহাদতের সংবাদ জানতে পারেন তখন তিনি নিজের জন্য আমীরুল মু‘মিনীন উপাধি গ্রহণ করেন। মধ্যস্থতাকারী দুই হাকিমের ফায়সালা ঘোষিত হওয়ার পর পরই সিরিয়াবাসীদের কাছ থেকে তিনি বায়‘আত গ্রহণ করলেও এখন আবার নতুন ভাবে বায়‘আত গ্রহণ করেন। কায়স ইব্‌ন সা‘দ (রা) যখন ইমাম হাসান (রা)-এর হাতে বায়‘আত করছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, আমি আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত অনুসরণ এবং বিধর্মীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আপনার হাতে বায়‘আত করছি। তখন ইমাম হাসান বলেছিলেন, জিহাদ, যুদ্ধবিগ্রহ ইত্যাদি তো আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। পৃথকভাবে এগুলোর উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন নেই। এই শেষোক্ত উক্তি থেকেই কূফাবাসীরা কানাঘুষা করার সুযোগ পায়। তারা সন্দেহ করে যে, যুদ্ধের প্রতি তার কোনই আকর্ষণ নেই। আমীরে মুআবিয়া নতুন ভাবে বায়‘আত গ্রহণের কাজ শেষ করে ষাট হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে দামিশক থেকে কূফা অভিমুখে রওয়ানা হন। তিনি ইমাম হাসান (রা)-এর কাছে এই মর্মে একটি পয়গাম পাঠান, সন্ধি যুদ্ধের চেয়ে শ্রেয় এবং বর্তমান মুহূর্তে এটাই সমীচীন যে, আপনি আমাকে খলীফা স্বীকার করে নিন এবং আমার হাতে বায়‘আত করুন। ইমাম হাসান (রা) যখন মুআবিয়া (রা)-এর আগমন সংবাদ পান তখন তিনিও চল্লিশ হাজার সৈন্য নিয়ে কূফা থেকে রওয়ানা হন। বিভিন্ন মনযিল অতিক্রম করে যখন তার বাহিনী ‘দীরে আবদুর রহমান’ নামক স্থানে পৌঁছে তখন তিনি কায়স ইব্‌ন সা‘দকে বার হাজার সৈন্য সম্বলিত অগ্রবর্তী বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করে অগ্রে পাঠিয়ে দেন। হাসান (রা)-এর বাহিনী ‘সাবাতে মাদয়েন’ নামক স্থানে যখন পৌঁছে তখন সেখানে কেউ না কেউ এ মিথ্যা গুজব রটিয়ে দেয় যে, কায়স ইব্‌ন সা‘দ (রা) নিহত হয়েছেন। হাসান (রা) সওয়ারীর পশুগুলোকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সেখানে একদিন অবস্থান করেন। এ স্থানেই তিনি সবাইকে সমবেত করে একটি ভাষণ দেন। আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের প্রশস্তির পর তিনি বলেন :

লোক সকল! তোমরা আমার হাতে এই শর্তে বায়‘আত করেছ যে, যুদ্ধ সন্ধি উভয় ক্ষেত্রেই তোমরা আমার অনুসরণ করবে। আমি মহান আল্লাহ তা‘আলার শপথ করে বলছি, কারো সাথে আমার শত্রুতা বা হিংসা-বিদ্বেষ নেই। প্রাচ্য থেকে পশ্চিম পর্যন্ত অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীতে এমন একটি লোকও আমার নযরে পড়ে না যার সম্পর্কে আমার অন্তরে মনোমালিন্য বা ঘৃণার ভাব রয়েছে। একতা, ঐক্য, ভালোবাসা, নিরাপত্তা, সন্ধি ও সংস্কার-সংশোধনকে আমি সব সময়ই অনৈক্য ও শত্রুতার চাইতে শ্রেয় মনে করি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন