hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৩৮
জ্ঞান-বুদ্ধি
তিনি সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে সবচেয়ে বেশী তীক্ষ্ণধী ছিলেন। কোন ব্যাপারে যখন সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে মতভেদ হতো, তখন সে বিষয়টি হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর সামনে উপস্থিত করা হতো। তিনি সে সম্পর্কে যে রায় দিতেন তাই সঠিক হতো। কুরআনুল মজীদের জ্ঞান ছিল তাঁর সব সাহাবীর চেয়ে বেশী। এ কারণেই হযরত নবী করীম (সাঃ) তাঁকে নামাযের ইমাম বানিয়েছেন। সুন্নাতের জ্ঞানও ছিল তাঁর পরিপূর্ণ। এ কারণে সাহাবায়ে কিরাম সুন্নাতের মাসাইলের ব্যাপারে তার দ্বারস্থ হতেন। তাঁর স্মরণশক্তিও ছিল প্রখর। তিনি অত্যন্ত ধীশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। তিনি নবুওয়াতের শুরু থেকে ওফাত পর্যন্ত হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেন। খিলাফতকালে যখন কোন সমস্যার উদ্ভব হতো তখন তিনি তা কুরআন মজীদে তালাশ করতেন। কুরআন মজীদে না পাওয়া গেলে হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর কথা ও কাজ অনুসারে সমাধান করতেন। যদি এরূপ কোন কথা ও কাজ পাওয়া না যেতো, তবে লোকদের জিজ্ঞেস করতেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কি এ সম্পর্কে কোন হাদীস শ্রবণ করেছ? কোন সাহাবী যদি এরূপ কোন হাদীস বর্ণনা না করতেন, তখন তিনি সুবিখ্যাত সাহাবীদেরকে একত্রিত করতেন এবং তাঁদের অধিকাংশের অভিমত অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) সাধারণতভাবে সারা আরব এবং বিশেষভাবে কুরায়শের বড় নসববিদ ছিলেন। এমন কি জুবায়র ইব্‌ন মুত্‌ঈম—যিনি আরবের অন্যতম নসববিদ বা কুলপঞ্জি বিশারদ বলে পরিচিত ছিলেন—হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর নিকট থেকে ফায়দা হাসিল করতেন এবং গর্ব করে বলতেন যে, আমি নসবশাস্ত্রের সবচেয়ে বড় নসববিদের নিকট শিক্ষা লাভ করেছি। স্বপ্নের তা‘বীর শাস্ত্রেও তিনি সবচেয়ে অগ্রগণ্য ছিলেন। এমনকি হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর যুগেও তিনি স্বপ্নের তা‘বীর বর্ণনা করতেন। ইমাম মুহাম্মদ ইব্‌ন সীরীন (রা) বলেন, আল্লাহর রাসূলের পর আবূ বকর সিদ্দীক (রা) হলেন স্বপ্নের সবচেয়ে বড় তা‘বীর বর্ণনাকারী। তিনি সবচেয়ে বড় বাগ্মী ছিলেন। কোন কোন আলিম এ ব্যাপারে একমত যে, সাহাবাদের মধ্যে সবচেয়ে বাকপটু ছিলেন হযরত আবূ বকর (রা) ও হযরত আলী (রা)। সমস্ত সাহাবীর মধ্যে তাঁর জ্ঞান ছিল পূর্ণ এবং মতের সঠিকত্ব ছিল স্বীকৃত।

হযরত আলী (রা) বহুবার বলেছেন, এই উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তি হচ্ছেন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)। একবার হযরত আলী (রা) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে হযরত আবূ বকর (রা) ও হযরত উমর (রা)-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করবে, তাকে আমি দোররা মারবো। হযরত আলী (রা) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত আবূ বকরের উপর রহম করুন! তিনি তাঁর কন্যাকে আমার নিকট বিবাহ দিয়েছেন, আমাকে মদীনা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন এবং হযরত বিলাল (রা)-কে আযাদ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা হযরত উমর (রা)-এর উপর রহম করুন। তিনি হক কথা বলেন, তা যতই তিক্ত হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা হযরত উছমান (রা)-এর উপর রহম করুন! তার প্রতি ফেরেশতারাও লজ্জা প্রদর্শন করেন। আল্লাহ তা‘আলা হযরত আলী (রা)-এর উপর রহম করুন! হে আল্লাহ্! আলী যেখানেই থাকুক, হককে তার সঙ্গে রেখো।

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, লোকেরা সিদ্দীক আকবরকে সর্বসম্মতভাবে খলীফা বানিয়েছেন। কেননা, তখন ভূপৃষ্ঠে তার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। মুআবিয়া ইব্‌ন ফার্‌রাহ (রা) বলেন, হযরত আবূ বকরের খিলাফত সম্পর্কে সাহাবাদের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো না। তারা সর্বদা তাকে খলীফাতুর রাসূল বা রাসূলের খলীফা বলতেন। আর সাহাবীরা কখনো কোন ভুল বা গোমরাহীর উপর একমত হতেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন