hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪৩৬
খিলাফতে রাশিদা সম্পর্কে কিছু কথা
খিলাফতে রাশিদার ইতিহাস সমাপ্ত হল। এখন সূচনা হবে খিলাফতে বনূ উমাইয়ার বর্ণনা। খিলাফতে বনূ উমাইয়া এবং তার পরে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য খিলাফতের তুলনায় খিলাফতে রাশিদার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই যে, খুলাফায়ে রাশিদীনের প্রত্যেক খলীফা মুসলমানদের গণ্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দ ও সংখ্যাগরিষ্ঠের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। কোন খলীফাকে তার পূর্ববর্তী খলীফা মনোনীত করলেও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শের পরই তিনি তা করতেন। এর সাথে বংশগত উত্তরাধিকারিত্বের কোন দাবী কোন মতেই সম্পৃক্ত ছিল না। অন্যান্য খিলাফতের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি পরিত্যক্ত হয় এবং সেখানে চালু করা হয় অযৌক্তিক উত্তরাধিকারি ভিত্তিক রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

খিলাফতে রাশিদার সময়ে, রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ, আপত্তি, উত্থাপন, জবাব তলব এবং পরামর্শ দানের পুরাপুরি অধিকার যে কোন মুসলমানের ছিল। কিন্তু পরবর্তী খিলাফতসমূহে মুসলমানদেরকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

খিলাফতে রাশিদার যুগে খলীফাদের বাহ্যিক অবস্থা, তাঁদের পোশাক-পরিচ্ছদ, বাসগৃহ, পরিবহন, খাদ্য, পানীয়, উঠাবসা ও চলাফেরা সব কিছুই সাধারণ মুসলমানদের মত ছিল। কিন্তু পরবর্তী খিলাফতসমূহে খলীফার চালচলন ছিল রাজসিক এবং সাধারণ মানুষের চালচলন ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের।

খিলাফতে রাশিদার আমলে খলীফা তার ইচ্ছানুযায়ী নিজের জন্য বা নিজের আত্মীয় স্বজনের জন্য একটি পয়সাও খরচ করতে পারতেন না। কেননা রাষ্ট্রীয় কোষাগার তখন ছিল সাধারণ মুসলমানের সম্পত্তি। কিন্তু পরবর্তী খিলাফতসমূহে বায়তুলমাল বা রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে খলীফারই ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হতে থাকে। ফলে খলীফা যাকে ইচ্ছা দান করতেন, উপহার-উপঢৌকন দিতেন। এতে কারো কোনরূপ আপত্তির অধিকার ছিল না।

খুলাফায়ে রাশিদীনের সবাই ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সাহাবী। তাঁরা সব সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সংস্পর্শে থাকতেন। পরবর্তীকালে মুআবিয়া ও আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রা) ছাড়া অন্য কোন উল্লেখযোগ্য সাহাবী খলীফা ছিলেন না।

খুলাফায়ে রাশিদীনের সবাই ছিলেন ঐ সমস্ত ব্যক্তি যাদেরকে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী খিলাফতসমূহে এ ধরনের কোন সাহাবী পাওয়া যায় না। খুলাফায়ে রাশিদীন সাধারণ মুসলমানদের নিজেদেরই সন্তানতুল্য মনে করতেন, তাদেরকে নিজেদের দাস বা প্রজা জ্ঞান করতেন না এবং তাদেরকে অন্যায়ভাবে কোন নির্দেশ পালনে বাধ্য করতেন না। কিন্তু পরবর্তী খিলাফতসমূহে এর বিপরীত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। তখনকার খলীফারা ‘কায়সার’ ও ‘কিসরা’ রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।

খুলাফায়ে রাশিদীনের শাসন পদ্ধতি পার্থিব দিক দিয়ে কায়সার ও কিসরার হুকুমতের মত জুলুম অত্যাচারমূলক ছিল না। ধর্মীয় ব্যাপারেও তারা নিজেরা কিছু করতে পারতেন না। যখন কোন ধর্মীয় ব্যাপারে সন্দেহ বা মতবিরোধ দেখা দিত তখন তারা অন্যান্য সাহাবীকে ডেকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন এবং যে কথাটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে প্রমাণিত হত তদনুযায়ী হুকুম জারি করতেন। যখন কোন ধর্মীয় ব্যাপারে তাদের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যেত এবং পরবর্তী সময়ে তা ধরা পড়ত তারা সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধন করে নিতেন। মোটকথা, ধর্মীয় ও পার্থিব উভয় দিক দিয়ে তাদের নেতৃত্ব ও হুকুমত ছিল বর্তমান যুগের খাঁটি গণতান্ত্রিক রাষ্ঠসমূহের প্রেসিডেন্ট ও দীনী উলামার নেতৃত্ব ও হুকুমতের এক সম্মিলিত রূপ। তবে একমাত্র কুরআন-সুন্নাহ ছিল তাঁর দিক-নির্দেশক। নিজ ইচ্ছানুযায়ী তারা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতেন না। তাঁদের কাজ ছিল শরীআতের হুকুম-আহকাম জারি করা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা। তাদের যুগে জনসাধারণ সব ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করত। তারা যে কোন ছোট-খাটো ব্যাপারেও আপত্তি উত্থাপন করতে পারত এবং খলীফা তার সন্তোষজনক জবাব দানে বাধ্য থাকতেন। খুলাফায়ে রাশিদীনের হুকুম-আহকাম জারি করার জন্য কোন শক্তির বা বাহিনীর প্রয়োজন ছিল না। বরং প্রত্যেক ব্যক্তিই ঐ হুকুম-আহকাম চাই তা তার বিরুদ্ধে যাক না কেন-বিনা দ্বিধায় মেনে নিত। এতে পরিষ্কার প্রমাণিত হয় যে, তাদের হুকুমত ছিল ভক্তি-ভালবাসার উপর প্রতিষ্ঠিত, ভয়ভীতি বা জুলুম অত্যাচারের মাধ্যমে তা পরিচালিত হত না। কিন্তু পরবর্তী খলীফার শরীআতের বিধান জারি এবং তা প্রতিষ্ঠা করার কাজ নিজেরা ছেড়ে দিয়ে মওলভী মুফতী ও বিচারকদের হাতে সোপর্দ করেন। মসজিদসমূহে খতীব ও ইমাম পৃথক পৃথক লোককে নিয়োগ করা হয়। খলীফারা সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রেখে এই দুই শক্তিকে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতে শুরু করেন। যার ফলে তাদের হুকুমত ও রাষ্ট্র ভয়ভীতি ও জুলুম-অত্যাচারের উপর পরিচালিত হতে থাকে। মানুষের বৈধ অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয় বিধান জারি ও প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও পরস্পর ভুল বোঝাবুঝি ও সন্দেহ-সং নিরসনের বৈধ স্বাধীনতা জনসাধারণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ কারণেই আজ অনেকেই বুঝতে পারে না, একজন রঈস-বা নবাবের যে ধরনের ভয়ভীতি সাধারণ মানুষের অন্তরে বিদ্যমান বা রঈস-নবাবরা তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে যে পরিমাণ জরুরী মনে করেন—তা কেন খুলাফায়ে রাশিদীনের মধ্যে বিদ্যমান ছিল না বা কেন তারা তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে কোন জরুরী বিষয় বলে মনে করতেন না। খুলাফায়ে রাশিদীনের প্রতি ভয়-ভীতি

ছিল ঠিক সেরূপ যেরূপ ভয়ভীতি থাকে একজন দয়ালু শিক্ষক সম্পর্কে কিংবা স্নেহময় মাতাপিতার সম্পর্কে। তারা মানুষের রক্ষক ছিলেন, ভক্ষক ছিলেন না। আজ একজন সূফী, মুফতী কিংবা জুব্বাধারী মওলবীর কথা ও কাজের সমালোচনা করতে গিয়ে মানুষ যে পরিমাণ ভয় পায় খুলাফায়ে রাশিদীনের সমালোচনা করতে গিয়ে জনসাধারণ ততটা ভয়ও পেত না।

মুসলমানদের সংশোধনই ছিল খুলাফায়ে রাশিদীনের প্রধান লক্ষ্য। তাঁরা ছিলেন আল্লাহর বাণী প্রচার এবং শরীআতের হুকুম জারি করারই প্রত্যাশী। শুধু সম্পদ ও প্রাচুর্য লাভের উদ্দেশ্যে দেশের পর দেশ জয় করা তাদের লক্ষ্য ছিল না।

খুলাফায়ে রাশিদীন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদায়কৃত কর এবং গনীমাত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) জমাকরে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন না। যে পরিমাণ সম্পদ বায়তুলমালে আসত তারা তা মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন অথবা জনসাধারণের কল্যাণে বিভিন্ন কাজে খরচ করে ফেলতেন। এভাবে সমগ্র মাল খরচ করার পর তারা বায়তুলমালকে একেবারে ঝাড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিতেন; কিন্তু পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত খিলাফতসমূহের অবস্থা ছিল এর ঠিক বিপরীত।

খুলাফায়ে রাশিদীন সর্বদা হজ্জ করতে যেতেন, সেখানে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মুসলমানদের সাথে মিলিত হতেন, তাদের অভাব-অভিযোগ ও প্রয়োজনাদি সম্পর্কে অবহিত হতেন, তাদের অঞ্চলে নিয়োগকৃত সরকারী কর্মকর্তার যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হতেন এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন। এভাবে হজ্জের বিরাট জনসমাবেশকে তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালনের একটা বিরাট সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করতেন। যদি কোন জরুরী কাজ কিংবা অন্য কোন প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা হজ্জে যেতে অপারগ হতেন তাহলে কোন ব্যক্তিকে নিজের প্রতিনিধি পাঠিয়ে উল্লিখিত প্রয়োজনাদি পূরণ করতেন। কিন্তু খিলাফতে রাশিদার পর অন্যান্য খলীফা হজ্জের জনসমাবেশ থেকে উপরোক্ত পদ্ধতিতে উপকৃত হওয়ার দিকটি ত্যাগ করেন।

খুলাফায়ে রাশিদীন রাজধানীর মসজিদে নিজেরা সালাতের ইমামতি করতেন এবং জুমু‘আর খুতবা দিতেন। তাঁদের পর শুধু বনূ উমাইয়ার খলীফাদের এই রীতি প্রচলিত থাকলেও অন্যান্য খলীফা সালাতের ইমামতি ও জুমু‘আর খুতবা প্রদানের দায়িত্ব থেকে নিজেদের অব্যাহতি দেন।

খুলাফায়ে রাশিদীনের যুগে মুসলমানদের মধ্যে পৃথক পৃথক ধর্মীয় ফিরকা বা দল-উপদল ছিল না। তাঁদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিত, তবে দীন ও মিল্লাত এবং আকীদা-বিশ্বাসের ব্যাপারে তাদের মধ্যে দলাদলির নাম-নিশানাও ছিল না, যা পরবর্তীকালে দেখা যায়। আজ তো শীআ‘, সুন্নী, ওয়াহাবী, হানাফী, শাফিঈ, কাদিরী, চিশতী ইত্যাদি শত শত ফিরকা বিদ্যমান। লক্ষণীয় ব্যাপার হল, এদের প্রতিটি ফিরকাই অপরাপর ফিরকা থেকে নিজেদের উৎকৃষ্টতর মনে করে এবং অন্যদের থেকে নিজেদের পৃথক করে রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।

খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে দীন ও শরীআতের সামনে আত্মীয়তা, জাতীয়তা, আঞ্চলিকতা ইত্যাদির কোন গুরুত্ব ছিল না। যখন দীন ও মিল্লাতের প্রশ্ন সামনে আসত তখন ভাই-ভাইয়ের বা পিতা-পুত্রের পক্ষপাতিত্ব করা তো দূরের কথা, তার দিকে ফিরেও তাকাত না। তখন প্রতিটি লোকের বাক-স্বাধীনতা ছিল। একজন সাধারণ মুসলিমও খলীফার সামনাসামনি তাঁর সমালোচনা করতে পারতো। কিন্তু পরবর্তী খলীফাদের আমলে এই বাক-স্বাধীনতা এবং দীন ও মিল্লাতের প্রতি ঐকান্তিকতা আর বাকী থাকে নি।

খুলাফায়ে রাশিদীন নিজেদেরকে মুসলমানদের বাদশাহ্ নয় বরং একজন নগণ্য খাদিম মনে করতেন এবং তদনুযায়ী তাদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতেন। তাঁরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, তারা মুসলমানদের রাখাল বা চৌকিদার ছাড়া কিছু নন। খুলাফায়ে রাশিদীনের কোন কথা বা কাজের উপর সামান্য সন্দেহ দেখা দিলেও যে কোন লোক স্বাধীনভাবে তার সমালোচনা ও প্রতিবাদ করতে পারতো।

তারীখ-ই-ইসলামের এই প্রথম খণ্ডে খিলাফতে রাশিদার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করা হল। এতে অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরামের নাম বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে। আশা করি ঐসব নামের বরকতেই এই খণ্ডটির অধ্যয়ন শ্রদ্ধেয় পাঠকদের জন্য কল্যাণকর হবে। সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে দশজন সাহাবী, যাদেরকে ‘আশারায়ে মুবাশশারাহ’ (বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন) বলা হয়, সর্বাধিক সম্মানিত ছিলেন। এরা হচ্ছেন সেই দশজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, যাঁরা নিজেদের আমলে হাসানাহ তথা পুণ্য কার্যাদির বদৌলতে এই দুনিয়ায়ই স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর পবিত্র মুখ থেকে নিজেদের জান্নাতী হওয়ার সুসংবাদ শ্রবণ করেছেন। এরা হচ্ছেন : হযরত আবূ বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান, হযরত আলী, হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ, হযরত তালহা, হযরত যুবায়র, হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস, হযরত আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ ও হযরত সাঈদ ইব্‌ন যায়দ (রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুম)। শেষোক্ত জন অর্থাৎ হযরত সাঈদ ইব্‌ন যায়দ (রা) ছাড়া বাকি নয়জন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে তার সম্পর্কেও কিঞ্চিৎ আলোচনা করা হচ্ছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন