hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৬৬
ফিতনা সৃষ্টিকারী কাফেলাসমূহের মদীনা তাইয়িবা যাত্রা
সর্বপ্রথম এক হাজার লোকের একটি কাফেলা তাদের হজ্জ যাত্রার কথা সর্বত্র প্রচার করে মিসর থেকে রওয়ানা হয়। আবদুর রহমান ইব্‌ন আদীস, কিনানা ইব্‌ন বাশার ইয়ামানী, সুদান ইব্‌ন ইমরান প্রমুখ ব্যক্তি এ কাফেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাফেলার নেতা নির্বাচিত হয় গাফিকী ইব্‌ন হারব মক্কী। স্থির করা হয় যে, সব লোক এক সাথে রওয়ানা হবে না, বরং চারটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে একের পর এক মিসর থেকে রওয়ানা হবে এবং কয়েকটি মনযিল অতিক্রম করার পর পুনরায় একে অপরের সাথে মিলিত হবে। মালিক আশতারের নেতৃত্বেও কূফা থেকে এক হাজার লোকের আর একটি কাফেলা অনুরূপভাবে (চারভাগে বিভক্ত হয়ে) রওয়ানা হয়। যায়দ ইব্‌ন সাফওয়ান আবদী, যিয়াদ ইব্‌ন রফর হারিছী, আবদুল্লাহ ইব্‌ন আসিম আমিরী প্রমুখ ছিল ঐ কাফেলার অন্তর্ভুক্ত। এভাবে হোরকাওস ইব্‌ন যুহায়দের নেতৃত্বে এক হাজার লোকের একটি দল বসরা থেকে রওয়ানা হয়। ঐ দলে হাকীম ইব্‌ন জাবাল্লাহ আবদী, বাশার ইব্‌ন শুরায়হ কায়সী প্রমুখ ছিলেন। কাফেলাগুলো হিজরী ৩৫ সনের শাওয়াল মাসে নিজ নিজ শহর থেকে রওয়ানা হয় এবং সকলেই এ কথা প্রচার করে যে, তারা হজ্জ করতে চলেছে। তারা গোপনে গোপনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, এবার তারা আমীরুল মু’মিনীন হযরত উসমান গনী (রা)-কে অবশ্য অবশ্যই পদচ্যুত করাবে, নয়ত হত্যা করবে। তারা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ শহর থেকে বের হয় এবং কিছুদুর অগ্রসর হওয়ার পর পুনরায় একত্রিত হয়। এভাবে বেশ কয়েক মনযিল অতিক্রম করার পর তিনটি শহরের তিনটি কাফেলাই পরস্পরের সাথে মিলিত হয় এবং একই কাফেলায় রূপান্তরিত হয়ে মদীনা শরীফের দিকে অগ্রসর হয়। যখন মদীনা শরীফের দূরত্ব ছিল আর তিন মনযিল তখন ঐ কাফেলার মধ্যে যারা হযরত তালহা (রা)-কে খলীফা বানাতে চাচ্ছিলো তারা ‘যুখাশার’ নামক স্থানে থেমে যায়। আর যারা হযরত যুবায়র (রা)-কে খলীফা নির্বাচন করতে চাচ্ছিল তারা আওয়াস নামক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে। বসরার বেশীর ভাগ লোক হযরত যুবায়র (রা)-এর এবং মিসরের বেশীর ভাগ লোক হযরত আলী (রা)-এর পক্ষে ছিল।

যিয়াদ ইব্‌ন মুনযির এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন আসেম ঐ সব লোককে সম্বোধন করে বলেন, তোমরা তাড়াহুড়া না করে এখানেই অপেক্ষা কর। আমরা প্রথমে মদীনা শরীফে গিয়ে চেষ্টা করি। কেননা, আমরা জানতে পেরেছি যে, মদীনা শরীফের অধিবাসীরাও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি এ খবর সত্যি হয় তাহলে আমাদের তো কিছুই করার থাকবে না। এ কথা শুনে সবাই নিশ্চুপ হয়ে যায়। তারপর তারা দু’জন মদীনা শরীফে প্রবেশ করে। তারা হযরত আলী (রা), তালহা (রা), যুবায়র (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে নিজেদের মদীনা শরীফে আগমনের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে। অনুরূপভাবে তারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সহধর্মিণীগণের সাথেও দেখা করে। কিন্তু, কেউই তাদেরকে প্রশ্রয় দেন নি, বরং তিরস্কার করেন এবং অবিলম্বে মদীনা থেকে ফিরে যাবার নির্দেশ দেন।

এখানে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মদীনা শরীফে অবস্থানরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবার লোকেরা হযরত আলী (রা), তালহা (রা), যুবায়র (রা) এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সহধর্মিণীগণের পক্ষ থেকে অনেক চিঠি কূফা, বসরা ও মিসরের ঐ সমস্ত লোকের কাছে পাঠিয়েছিল যারা এ মহান ব্যক্তিদেরকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন, অথচ তখন পর্যন্ত তারা আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবার ফাদে নিশ্চিতভাবে আটকা পড়েন নি। ঐ সমস্ত বানোয়াট চিঠিতে বলা হয়েছিল, যেহেতু হযরত উসমান গনী (রা) খলীফার আসনে অধিষ্ঠিত থাকার যোগ্যতা সম্পূর্ণরূপে হারিয়েছেন, তাই তাকে পদচ্যুত করা একান্ত বাঞ্ছনীয়, আর উম্মতে মুসলিমার স্বার্থে আগামী যিলহাজ্জ মাসেই এ অতি প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধা করা উচিত। বিশেষত এ প্রেক্ষাপটেই এ তিনটি কাফেলা সর্বপ্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং হত্যা ও রক্তারক্তির উদ্দেশ্যে মদীনা শরীফে এসে জড় হয়েছিল। অন্যথায় এ তিনটি হাজার লোকের কী করে এ দুঃসাহস হতে পারে যে, যেখানে মদীনা শরীফে আহযাব যুদ্ধকালে বিরাট কাফিরও কোন সুবিধা করে উঠতে পারে নি, সেখানে তারা জোরপূর্বক নিজেদের একটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মদীনা শরীফের দিকে ধেয়ে আসবে? বরং এ ভরসায় তারা বুক উঁচিয়ে মদীনা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হয়েছিল যে, মদীনা শরীফের গণ্যমান্য সব লোকই তো আমাদের পক্ষে রয়েছে এবং আমরা যা কিছু করব তাতে তাদেরই উদ্দেশ্য সফল হবে। কিন্তু যখন মদীনা শরীফের গণ্যমান্য ব্যক্তিমাত্রই তাদের এ আগমনকে অন্যায় ও অসঙ্গত বলে সাব্যস্ত করলেন এবং তারা নিজেরাও মদীনা তাইয়িবাতে কোন প্রকার যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখতে পেল না, তখন তারা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঐ বিরোধিতাকে একটি দূরদর্শিতামূলক সাময়িক সিদ্ধান্ত বলে মনে করল এবং বিক্ষোভকারীদের কাছে ফেরত গিয়ে তাদের সকল নেতা প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি পরামর্শ সভায় বসল। সভায় মদীনা শরীফের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে সকলকে আশ্বস্ত করা হল এবং এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হল যে, যেহেতু মিসরবাসীদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই হযরত আলী (রা)-কে সমর্থন করে, তাই মিসরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা হযরত আলী-এর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। অনুরূপভাবে বসরার অধিবাসীরা যুবায়র (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি পৃথক প্রতিনিধি দল মদীনা শরীফে এসে উল্লিখিত তিন ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করে। প্রত্যেক দলই তাদের সমর্থিত ব্যক্তিকে বলে, আমরা হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফতকে মোটেই পছন্দ করি না। কাজেই, আপনি আমাদের কাছ থেকে খিলাফতের বায়‘আত গ্রহণ করুন। কিন্তু উল্লিখিত তিন ব্যক্তির প্রত্যেকেই দৃঢ়ভাবে তা অস্বীকার করেন। এবার দাঙ্গাবাজ মিসরবাসীরা হযরত আলী (রা)-কে বলল, আমাদের ওখানে (মিসরে) নিযুক্ত কর্মকর্তা যেহেতু অত্যন্ত জালিম ও স্বেচ্ছাচারী, তাই আমরা তার অপসারণের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কখনো মদীনা শরীফ থেকে ফিরে যাব না। তাদের এ দাপট ও আস্পর্ধা লক্ষ্য করে এবং সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে হযরত আলী (রা) এবং আরো কয়েকজন সাহাবী হযরত উসমান (রা)-এর কাছে গিয়ে তাকে পরামর্শ দেন : এ বিক্ষোভকারীরা যে কথার উপর জিদ ধরেছে তা আপনি পূরণ করে দিন এবং মদীনা শরীফে প্রবেশ করার পূর্বেই ওরা যাতে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যায়, সে ব্যবস্থা করুন। তারা আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সা‘দ (রা)-কে মিসরের গভর্নর পদ থেকে অপসারণের জন্য জিদ ধরেছে। তাই তাকে আপাতত অপসারণ করে অন্য কাউকে তার স্থলে নিয়োগ করুন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন