hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩২৯
দুর্ভিক্ষ ও মহামারী
হিজরী ১৭ সনের শেষ দিনগুলোতে ইরাক, সিরিয়া ও মিসরে প্লেগ রোগ দেখা দেয় এবং হিজরী অষ্টাদশ সনের প্রথম দিকে তা মহামারী আকার ধারণ করে। সেই সাথে আরব ভূখণ্ডে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খাদ্যশস্যের অভাবে দেশ জুড়ে হাহাকার উঠে। হযরত ফারূকে আযম (রা) দুর্ভিক্ষ দূরীকরণ এবং মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে দূত পাঠিয়ে মদীনাবাসীদের যথাসম্ভব খাদ্যশস্য পাঠাবার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ অনুযায়ী হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) মিসর থেকে বিশটি জাহাজ ভর্তি খাদ্যশস্য মদীনার দিকে প্রেরণ করেন। এ সমস্ত জাহাজের আগমন সংবাদ পেয়ে খোদ হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর নির্দেশে মদীনা শরীফ থেকে খাদ্যশস্য খালাস করে একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয় এবং অভাবগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে তাদের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়। হযরত ফারূকে আযম (রা) এ মর্মে অঙ্গীকার করছিলেন যে যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি কিছুতেই ঘি এবং দুধ নিজের আহার্য হিসাবে গ্রহণ করবেন না। খরার কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হযরত ফারূকে আযম (রা) মদীনাবাসীদেরকে সঙ্গে নিয়ে উন্মুক্ত প্রান্তরে ইস্‌তিসকার নামায আদায় করেন। নামাযান্তে দু‘আর জন্য হাত উঠান এবং দু‘আ শেষ হওয়ার পূর্বেই বৃষ্টি বর্ষিত হতে থাকে। সিরিয়ায় মহামারীরূপে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে জানতে পেরে হযরত ফারূকে আযম স্বয়ং সিরিয়ার ইসলামী বাহিনীর দিকে রওয়ানা হন। তিনি যখন ‘সারাগ’ নামক স্থানে পৌঁছেন তখন হযরত আবূ উবায়দা ইব্‌ন জাররাহ্ (রা) এবং অন্যান্য সেনানায়ক এগিয়ে এসে তাকে অভ্যর্থনা জানান। কোন কোন সাহাবী আবেদন করেন, আপনি আর অগ্রসর হয়ে প্লেগ আক্রান্ত এলাকায় যাবেন না। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) বলেন, আমি হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যেখানে মহামারী দেখা দেয় সেখানে যাবে না। আর যদি ঘটনাক্রমে তুমি যেখানে রয়েছ সেখানে মহামারী দেখা দেয় তাহলে সেখান থেকে পলায়ন করো না। এ হাদীস শোনার পর হযরত ফারূকে আযম (রা) সেখান থেকে মদীনা শরীফে ফিরে আসেন। আসার সময় তিনি ইসলামী বাহিনীর সেনানায়কদেরকে সতর্ক করে দেন, যেন তারা যতদূর সম্ভব এ রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করেন। হযরত আবূ উবায়দা প্লেগ রোগে আক্রান্ত হন। রোগ যখন মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং তার বাঁচার কোন আশাই রইলো না, তখন হযরত আবূ উবায়দা (রা) আপন জায়গায় হযরত মুআয ইব্‌ন জাবাল (রা)-কে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করেন এবং এর কিছুক্ষণ পরই চিরদিনের জন্য দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। হযরত মুআয ইব্‌ন জাবাল (রা)-ও বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারেন নি। প্রথমে তার ছেলে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর তিনি নিজেও আক্রান্ত হন। তিনি তাঁর ইনতিকালের পূর্বে হযরত আমর ইব্‌ন ‘আসকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে যান।

হযরত মুআয ইব্‌ন জাবাল (রা)-এর ইনতিকালের পর হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) ইসলামী বাহিনী নিয়ে পাহাড়ের উপর উঠে যান এবং সেনাবাহিনীকে ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি দলকে পৃথক পৃথক পর্বত চূড়ায় অবস্থানের নির্দেশ দেন। কিছুদিন পর মহামারীর প্রকোপ হ্রাস পায়। এ মহামারী দেখা দেওয়ার পূর্বেই মিসর বিজিত হয়ে গিয়েছিল। তাই মহামারীর দিনগুলোতেই হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) মিসর থেকে মদীনা শরীফে প্রচুর খাদ্যশস্য প্রেরণ করেন। যখন তিনি জানতে পারেন যে, হযরত ফারূকে আযম (রা) সিরিয়া সীমান্তে আগমন করেছেন, তখন তিনি নিজেও সিরিয়ায় চলে আসেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর খিদমতে স্বয়ং হাযির হয়ে তার কাছে মিসরের অবস্থা বর্ণনা করা এবং সেখানকার প্রশাসনিক ব্যাপারে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ লাভ করা। হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর প্রত্যাবর্তনের পর হযরত আবূ উবায়দা (রা) ও হযরত মুআয (রা)-এর পরপর ওফাতের কারণে হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) সঙ্গে সঙ্গে মিসরে ফিরে যেতে পারেনি। এ মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে দামিশকের কর্মকর্তা ইয়াযীদ ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা) ইনতিকাল করেন। তার ইনতিকালের সংবাদ শুনে হযরত ফারূকে আযম (রা) তার ভাই হযরত মুআবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা)-কে দামিশ্‌কের কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। ঐ ব্যবস্থার অধীন হযরত শুরাহবিল ইব্‌ন হাসানাহ (রা) উরদূন (জর্দান) এলাকায় নিযুক্ত হন। এ মহামারীতে অনেক নেতৃস্থানীয় সাহাবী ইনতিকাল করেন। ফলে ইসলামী বিজয় অভিযান স্তিমিত হয়ে পড়ে। কেননা, ইসলামী সেনাবাহিনী তখন নিজেরাই বিপন্ন অবস্থায় ছিল। এ বছরই (হি. ১৮ সনে) হযরত ফারূকে আযম (রা) হযরত শুরায়হ্ ইব্‌ন হারছ কিন্দি (রা)-কে কূফায় এবং হযরত কাআব ইব্‌ন সওয়ার আরযী (রা)-কে বসরার বিচারক নিয়োগ করেন, এ বছরই হযরত ফারূকে আযম (রা) মুসাফিরগণের সুবিধার জন্য মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের মধ্যবর্তী স্থানে গৃহাদি নির্মাণ ও কূপ খননের ব্যবস্থা করেন এবং কা‘বাঘর সংলগ্ন মানুষের ঘরবাড়ি খরিদ করে কা‘বা ঘরের বারান্দার আয়তন বৃদ্ধি করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন