hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৭৪
বিক্ষোভকারীদের হাতে মদীনা শরীফের শাসনক্ষমতা
মিসর, কূফা ও বসরার বিক্ষোভকারীরা যে দিন মদীনা শরীফে প্রবেশ করে হযরত উসমান গনী (রা)-এর ঘর ঘেরাও করে ফেলে এবং তাকে মসজিদে আসতে বাধা দেয়, প্রকৃতপক্ষে সেদিন থেকেই মদীনা শরীফের শাসনক্ষমতা তাদের হাতে চলে যায়। কিন্তু যেহেতু অবরুদ্ধ অবস্থায় হলেও খলীফা তখনও বিদ্যমান ছিলেন, তাই বিক্ষোভকারীদের এ হুকুমত (শাসন ক্ষমতা)-কে ‘হুকুমত’ আখ্যা দেওয়া চলে না। অবশ্য হযরত উসমান গনী (রা)-কে শহীদ করার পর মদীনায় আনুমানিক এক সপ্তাহ বিক্ষোভকারীদের নেতা গাফিকী ইব্‌ন হারব মক্কীর শাসন বলবৎ থাকে। তখন সে নিজেই সব রকম হুকুমজারি করত এবং নামাযের ইমামতিও করত। কিন্তু এ বিক্ষোভকারীদের মধ্যেও বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী কিছু লোক ছিল। তারা চিন্তা করে দেখল, এ হত্যাকাণ্ডের পর যদি আমরা এখান থেকে এভাবে নিজ নিজ ঘরে চলে যাই, তাহলে তা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য কোন শুভ পরিণাম বয়ে আনবে না। বরং আমরা যেখানেই থাকব সেখানেই আমাদেরকে হত্যা করা হবে এবং এ বিক্ষোভকে একটি ফাসাদ ও বিদ্রোহ হিসাবে গণ্য করা হবে এবং আমরা এর বৈধতার কোন যুক্তিই তখন পেশ করতে পারব না। তারপর তারা আপোসে সলা-পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এখনি কাউকে খলীফা নির্বাচন করতে হবে এবং কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে ফিরে যাওয়া চলবে না। বিক্ষোভ চলা কালীন দিনগুলোতেও অনুরূপ প্রস্তাব নিয়ে কিছু লোক কূফা ও বসরা থেকে মক্কা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হয়ে গিয়েছিল। আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবাও মিসর থেকে রওয়ানা হয় এবং প্রায় সবার অজ্ঞাতে ও অগোচরে মদীনা শরীফে প্রবেশ করে আপন এজেন্ট ও চরদের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়। যেহেতু বিক্ষোভকারীদের সবাই আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবার বন্ধু ছিল না, বরং তাদের মধ্যে অনেক বেকুফ, হুজুগী ও ভিন্ন মতাবলম্বী লোকও ছিল তাই আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবা মদীনা শরীফে এসে ইচ্ছে করেই নিজে কোন নেতৃত্ব বা কর্তৃত্ব গ্রহণ করল না বরং আপন এজেন্টদের মাধ্যমে জনসমুদ্রকে আন্দোলিত করে নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনে আত্মনিয়োগ করল। একজন খলীফা নির্বাচনের প্রস্তাব মূলত আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবারই ছিল। যাহোক, বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে হযরত তালহা (রা), হযরত যুবায়র (রা) ও হযরত আলী (রা)-এর সাথে পৃথক পৃথক ভাবে সাক্ষাৎ করল এবং তাদের প্রত্যেকের কাছেই আবেদন জানাল : আপনি খলীফার পদ গ্রহণ করুন এবং আমাদের কাছ থেকে বায়‘আত নিন। কিন্তু তাদের প্রত্যেকেই খলীফার পদ গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। শেষ পর্যন্ত এ উদ্ভূত সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবা একটি নতুন কৌশল অবলম্বন করল। সে অনুযায়ী বিক্ষোভকারীরা ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করে দিল যে, যেহেতু মদীনা শরীফের অধিবাসীরাই যাবতীয় ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন, যেহেতু তারাই প্রথম থেকে খলীফা নির্বাচন করে আসছেন এবং তাদেরই নির্বাচিত খলীফাকে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা খলীফা বলে স্বীকার করে আসছে—তাই আমরা ঘোষণা করছি এবং মদীনা শরীফের অধিবাসীদেরকে এ মর্মে সতর্ক করে দিচ্ছি যে, তোমাদেরকে শুধু দু’দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। তোমরা এ দু’দিনের মধ্যে একজন খলীফা নির্বাচন কর, অন্যথায় দুদিন পর আমরা আলী, তালহা ও যুবায়র-এ তিনজনকেই হত্যা করে ফেলবো। এ ঘোষণা শুনে মদীনা শরীফের অধিবাসিগণ আতংকিত হয়ে উঠে। তারা দ্রুত নিজ নিজ ঘর থেকে বের হয়ে হযরত আলী (রা)-এর কাছে ছুটে যায়। অনুরূপভাবে তারা হযরত তালহা (রা) ও হযরত যুবায়র (রা)-এর সাথেও দেখা করে। হযরত তালহা ও হযরত যুবায়র (রা) পরিষ্কার ভাষায় বলেন, আমরা খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করতে মোটেই রাযী নই। হযরত আলী (রা)-ও প্রথমে অস্বীকার করেন। কিন্তু যখন লোকেরা খুব কাকুতি মিনতি করতে লাগল তখন তিনি রাযী হয়ে যান। তিনি রাযী হওয়ার সাথে সাথে লোকজন দলে দলে ছুটে গিয়ে তার হাতে বায়‘আত করে। মদীনা শরীফের অধিবাসী এবং সেই সাথে বিক্ষোভকারীরা সর্বসম্মতিক্রমে তাকে খলীফা বলে মেনে নেয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন