hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৮০
মক্কায় আগমন
সপ্তম হিজরীর শাওয়াল মাসের শেষ নাগাদ হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থান করলেন। অষ্টম হিজরীর যুলকা‘দা মাসের শুরুতে তিনি পূর্বের বছর তার সাথে যেসব সাহাবা হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন, তাদের সবাইকে সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেন। সুতরাং তারা ও অন্যান্য সাহাবাও উমরাহ করার জন্য তৈরি হলেন এবং সর্বমোট দু’ হাজার লোক নিয়ে তিনি উমরাহ আদায় করার জন্য মদীনা থেকে মক্কার পথে যাত্রা করলেন। মদীনায় হযরত আবূ যর গিফারী (রা)-কে প্রশাসক নিযুক্ত করে গেলেন। পূর্বের বছর যে সন্ধিপত্র হুদায়বিয়ায় লিখিত হয়েছিল, তাতে শর্ত ছিল যে, “মুসলমানরা এ বছর উমরাহ আদায় ছাড়াই ফিরে যাবে এবং আগামী বছর এসে উমরাহ আদায় করবে।” সুতরাং সেই শর্ত অনুসারেই হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনা থেকে রওয়ানা করেন। মক্কার নিকটবর্তী পৌঁছে তিনি এবং সকল মুসলমান শুধু নিজ নিজ তলোয়ার সঙ্গে রাখলেন এবং বাকী সমস্ত হাতিয়ার খুলে ফেললেন। মক্কায় প্রবেশ করে বায়তুল্লাহ্‌র মুখোমুখি পৌঁছে হযরত নবী করীম (সাঃ) মুসলমানদের নির্দেশ দিলেন যে, তোমরা তোমাদের স্কন্ধকে অনাবৃত করে নাও এবং ইহরামে কাপড় বগলের নীচ থেকে বের করে গর্দানে পেঁচিয়ে নেয়ার পর সুনিপুণভাবে সাঈ করতে করতে দ্রুত বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করবে। এই নির্দেশের উদ্দেশ্য ছিল—মুসলমানদের এই তাওয়াফের তামাশা দেখার জন্য মক্কায় যেসব মুশরিকের সমাগম হয়েছিল, তাদের সামনে মুসলমানদের উদ্যমশীলতা, শক্তি ও শৌর্যের প্রকাশ ঘটানো। মক্কার বহু মুশরিক মক্কার বাইরের আখড়া ও উপত্যকাসমূহে চলে গিয়েছিল যাতে মুসলমানদের তাওয়াফ করতে দেখে মনে দুঃখ পেতে না হয়। হযরত নবী করীম (সাঃ) ও সাহাবায়ে কিরাম মক্কায় তিন দিন অবস্থান করলেন। উমরার আরকান আদায় করার পর নবী করীম (সাঃ) আব্বাস ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিবের স্ত্রী উম্মে ফযলের বোন মায়মূনা বিন্‌ত হারিছকে বিবাহ করলেন।

চতুর্থ দিন সকাল বেলা মক্কার মুশরিকদের পক্ষ থেকে সুহায়ল ইব্‌ন আমর ও হুওয়ায়তিব ইব্‌ন আক্‌দিল উযযা নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট এসে বললো, আপনার তিন দিন শেষ হয়ে গেছে। এক্ষণই মক্কা থেকে চলে যান। হযরত নবী করীম (সাঃ) তখন আনসারদের মজলিসে বসে সাআদ ইব্‌ন উবাদা (রা)-এর সাথে কথা বলছিলেন। তিনি সুহায়লকে বললেন, তোমরা ভয় পাচ্ছো কেন? আমি নিজেই যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। কিন্তু তোমরা কি জানো যে, আমি এখানে একজন মহিলাকে বিয়ে করেছি। এখনো তার রুখসতি হয়নি। তোমরা অনুমতি দিলে আমি এখানে বৈবাহিক ভোজের আয়োজন করবো এবং সমস্ত মক্কাবাসীদের দাওয়াত করে খাওয়াবো। তারপর এখান থেকে চলে যাবো। এতে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। সুহায়ল বললো, আমরা তোমার খাবারের মুখাপেক্ষী নই। তোমরা চুক্তির পাবন্দী করো এবং এখান থেকে এখনই চলে যাও। সুতরাং নবী করীম (সাঃ) তখনই বিদায়ের আয়োজন করতে বললেন এবং সওয়ারীতে আরোহণ করে মক্কার বাইরে চলে গেলেন। হারাম শরীফের সীমানার বাইরে গিয়ে তিনি সারাফ উপত্যকার ভিতর দিকের ময়দানে অবস্থান নিলেন। এখানেই মায়মূনা বিনত হারিছ হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট আগমন করেন। তিনি যখন মক্কা থেকে রওয়ানা করলেন, তখন হযরত হামযা (রা)-এর কন্যা আম্মারা যিনি তখন ছোট্ট শিশু ছিলেন—চিৎকার করতে করতে দৌড়ে এসে বললেন, আমাকেও আপনার সাথে করে মদীনায় নিয়ে যান। হযরত আলী (রা) তৎক্ষণাৎ ঐ মেয়েটিকে উঠিয়ে তার হাওদায় বসালেন। তখন হযরত জা‘ফর ইব্‌ন আবূ তালিব (রা) ও হযরত যায়দ ইব্‌ন হারিছাও ঐ মেয়েটির দায়িত্ব গ্রহণ ও প্রতিপালনের দাবী করলেন। প্রত্যেকেই চাচ্ছিলেন এই মেয়েটিকে তার তত্ত্বাবধানে রেখে লালন-পালন করতে। যায়দ ইব্‌ন হারিছা (রা) বললেন, হযরত হামযা (রা) আমার দীনী ভাই ছিলেন, তাই আমার দাবী অগ্রগণ্য। হযরত জা‘ফর (রা) বললেন, এটি আমার চাচাত বোন। আর আমার স্ত্রী হচ্ছেন, তার খালা। নবী করীম (সাঃ) সবার বক্তব্য শুনে আম্মারাকে হযরত জা‘ফরের নিকট সোপর্দ করলেন এবং বললেন, খালা হচ্ছেন মায়ের সমতুল্য। তাই তার লালন-পালন জা‘ফরের ঘরেই হওয়া উচিত। হযরত আলী (রা) এবং যায়দ (রা)-কেও তিনি এ ব্যাপারে সম্মত করালেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন