hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৯৩
তায়িফ অবরোধ
হুনায়ন থেকে তায়িফ গমনকালে পথিমধ্যে মালিক ইব্‌ন আওফ-এর দুর্গ। হযরত নবী করীম (সাঃ) এই দুর্গটি বিধ্বস্ত করান। তারপর আতাম দুর্গ। সেটিকেও বিধ্বস্ত করা হয়। তায়িফের অদূরে পৌঁছে তিনি তায়িফবাসীকে মুকাবিলার জন্য প্রস্তুত দেখতে পান। তিনি তায়িফ অবরোধ করলেন। বিশ দিন পর্যন্ত তায়িফের অবরোধ অব্যাহত থাকলো। এই বিশ দিনের মধ্যে তায়িফের আশেপাশের এলাকাসমূহ থেকে অধিকাংশ গোত্র স্বেচ্ছায় আগমন করে এবং কোন কোনটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে মুসলমান হতে থাকলো। হুনায়ন যুদ্ধে মাত্র চারজন মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু তায়িফ অবরোধকালে বারোজন মুসলমান শাহাদত বরণ করেন। এ অবরোধেও মুসলিম পক্ষের বিরাট লাভ হয়। তায়িফের আশেপাশের গোত্রসমূহ ইসলাম গ্রহণ করে। হযরত নবী করীম (সাঃ) তখনই তায়িফ বিজয় আবশ্যক মনে না করে সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন এবং জি‘রানা পৌঁছে যুদ্ধবন্দী ও মালে গনীমত বণ্টন করেন।১

─────────────────১. তায়িফ বিজয় যুদ্ধের মাধ্যমে হয়নি বরং এ বিজয় ছিল রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দু‘আর ফল ও ফসল। তায়িফ অবরোধ প্রায় একমাসকাল স্থায়ী হয়। এ সময় কাফিরদের তীর বর্ষণে কয়েকজন মুসলমান শাহাদত লাভ করেন। দীর্ঘ অবরোধ সত্ত্বেও তায়িফের লোকেরা নতি স্বীকার না করায় অবশেষে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অবরোধ প্রত্যাহারপূর্বক ফিরে যাবার ঘোষণা দেন। এতে লোকেরা শোরগোল শুরু করে এবং তায়িফ জয় না করে ফিরে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। তারা বলতে থাকে : আমরা তায়িফ জয় না করে কিভাবে ফিরে যেতে পারি? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন : আচ্ছা ঠিক আছে, চলো আমরা লড়াই করি। তারা লড়াইয়ের সূচনা করেন এবং পরিণতিতে চরম আঘাত খান। অতঃপর তাদের বোধোদয় ঘটলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঘোষণা দেন আমরা কাল ভোরে ইনশাআল্লাহ ফিরে যাব। মুসলমানরা এই ঘোষণা শুনে খুশী হন এবং সফরের প্রস্তুতিতে লেগে যান। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এই দৃশ্যে হাসতে থাকেন।

হাসার কারণ সম্ভবত এই ছিল যে যখন ফেরার কথা বলা হয়েছিল, তখন সকলেই ফিরতে ইতস্তত ও অনীহা প্রকাশ করেছিল কিন্তু চপেটাঘাত পড়তে তারা খুশী হয়ে সফর প্রস্তুতি শুরু করে। মানব স্বভাবের এই ভোজবাজিতে তিনি হেসে ফেলেন।

এ সময় সাহাবায়ে কিরাম তাদের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করার জন্য বললে তিনি দো‘আ করলেন اللهم ثقيفا وائت بهم হে আল্লাহ! তুমি সাকীফকে হিদায়াত দান কর এবং তাদেরকে আমার কাছে এনে দাও।

এরপর সাকীফ গোত্র থেকে গোত্র প্রধান ওরওয়া ইব্‌ন মাসঊদ সাকাফী ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে মদীনায় আগমন করেন এবং ইসলাম কবুল করেন। অতঃপর ওরওয়া (রা) ইসলাম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ইলম হাসিলের পর তাঁর কওমের মধ্যে ইসলামের প্রচারের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি অনুমতি প্রদান করেন, সেই সঙ্গে এই আশংকাও ব্যক্ত করেন যে, তোমার কওম তোমাকে হত্যা না করে বসে। ওরওয়া বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কওম আমাকে এত ভালবাসে যতটা একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে ভালবাসে।

ওরওয়া (রা) তার কওমের মাঝে ফিরে আসেন এবং সর্বপ্রযত্নে ইসলামের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। অতঃপর ইসলাম প্রচারের শুরুতেই তিনি জনৈক পাপাত্মা কর্তৃক নিক্ষিপ্ত তীরের আঘাতে শাহাদত লাভ করেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দু‘আর সঙ্গে ওরওয়া (রা)-র শহীদি খুন তায়িফবাসীদের মনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে থাকে নি। এর অল্প দিনের মধ্যেই সাকীফ গোত্রের একটি নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি দল মদীনায় পৌঁছে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে ইসলাম কবুল করে।—সম্পাদক

এই স্থানেই হাওয়াযিন গোত্রের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয় এবং হালীমা সা‘দিয়ার দোহাই দিয়ে ক্ষমার আবেদন করে। তিনি বললেন, তোমরা যুহরের সময় যখন সমস্ত মুসলমান সালাতের জন্য একত্রিত হবে, তখন আমার সামনে তোমাদের আবেদন পেশ করবে। তারা তাই করলো। হযরত নবী করীম (সাঃ) হাওয়াযিন প্রতিনিধিদলকে বললেন, তোমাদের যে পরিমাণ বন্দী আমার ও বনূ আবদুল মুত্তালিবের অংশে পড়েছে, তাদের সবাইকে আযাদ মনে করো এবং সাথে করে নিয়ে যাও। একথা শুনে সকল মুহাজির ও আনসার বললো– ما كان لنا فهو ارسول الله (আমাদের অংশও রাসূলুল্লাহর অংশ) একথা বলে সবাই সকল হাওয়াযিন বন্দীকে আযাদ করে দিলেন। এইভাবে প্রায় ছয় হাজার বন্দীকে সামান্য সময়ের ব্যবধানে আযাদ করে দেয়া হলো। এই বন্দীদের মধ্যে হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর দুধবোন শায়মা বিন্‌ত হালীমা সা‘দিয়াও ছিলেন। তিনি যখন তার দুধবোন হওয়ার দাবী করলেন, তখন নবী করীম (সাঃ) তার প্রমাণ পেশ করতে বললেন। তিনি বললেন, আমার পিঠে তোমার দাঁতের চিহ্ন আছে। তুমি ছোট্ট সময় কামড় দিয়েছিলে। তিনি বললেন, যথার্থ। এই বলে তিনি তৎক্ষণাৎ তার চাদর বিছিয়ে দিলেন এবং তার উপরে তাকে বসালেন। তারপর বললেন, তুমি যদি আমার কাছে থাকতে চাও, তবে আমি তোমাকে আদরযত্নে রাখবো। আর যদি আপন গোত্রে ফিরে যেতে চাও তবে তাও যেতে পারো। তিনি দ্বিতীয় প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। তখন নবী করীম (সাঃ) তাকে নিজের মালিকানা থেকে বহু ধন-মাল, একটি দাসী, একটি গোলাম দান করে বিদায় করেন। শায়মা এই দাসী ও গোলামের মধ্যে বিবাহ দিয়ে দেন। শোনা যায়, তাদের বংশধারা এখনো অবশিষ্ট আছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন