hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৪৮
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দৃঢ়তা
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চতুষ্পার্শ্বে যখন তুমুল যুদ্ধ চলছিলো, তখন একটি দুরাচার দূর থেকে তার প্রতি একটি পাথর ছুঁড়ে মারে। তাতে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ঠোঁটে আঘাত লাগে এবং তার নীচের একটি দন্ত মুবারক শহীদ হয়ে যায়। এ অবস্থায়ই তার কদম মুবারক একটি গর্তের মধ্যে পড়ে যায় এবং তিনি পড়ে যান। হযরত আলী (রা) তাঁর হাত ধরেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) এবং হযরত তালহা (রা) তাঁকে উঠিয়ে বের করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চতুষ্পার্শ্বে যখন সাহাবায়ে কিরামের একটি ছোটো খাটো দল এসে সমবেত হয়ে গেলো এবং তারা প্রাণপণে লড়তে লাগলেন তখন কাফিরদের হামলার তীব্রতা হ্রাস পেলো। সাহাবায়ে কিরাম এবার কাফিরদেরকে মেরে মেরে হটিয়ে দিলেন। এ অবস্থায় নবী (সাঃ) সাহাবায়ে কিরামকে পাহাড়ের দিকে যেতে বললেন এবং তাদেরকে নিয়ে পাহাড়ের বেশ উঁচু অংশে আরোহণ করলেন। উদ্দেশ্য ছিলো কাফিরদের ব্যুহ থেকে বেরিয়ে গিয়ে পাহাড় পিছনে রেখে যুদ্ধের জন্য একটি ব্যুহ রচনা করা। এ কার্য প্রণালীটি অর্থাৎ যুদ্ধের জন্যে সুবিধামত অবস্থান গ্রহণ অত্যন্ত উপাদেয় প্রতিপন্ন হয়। মুসলমানদেরকে উচ্চ ভূমিতে অবস্থান নিতে দেখে আবূ সুফিয়ানও পাহাড়ে আরোহণের প্রয়াস পায়। সে কাফিরদের একটি বাহিনী নিয়ে ভিন্ন পথে উচ্চতর অবস্থানে আরোহণ করতে প্রয়াস পাচ্ছিলো। এমন সময় নবী করীম (সাঃ) হযরত উমর ফারুক (রা)-কে তাদেরকে উচ্চভূমিতে আরোহণে বাধাদানের নির্দেশ দিলেন। হযরত উমর (রা) কতিপয় সঙ্গীসহ তৎক্ষণাৎ সেদিকে অগ্রসর হয়ে আবূ সুফিয়ানের দলকে নীচে অবতরণে বাধ্য করেন।

এবার মুসলমানরা দ্রুত এগিয়ে চললেন। যারা ইতিপূর্বে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন তারাও পাহাড়ের ঐ উচ্চ স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চারপাশে এসে সমবেত হয়ে গেলেন। এবার আর কাফিররা মুসলমানদের উপর হামলা করতে সাহস পেলো না। কিন্তু পূর্ব থেকেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে হত্যার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক কাফির উবায়্য ইব্‌ন খালফ তার আপন ঘোড়ায় চড়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উপর হামলা করলো। তাকে আসতে দেখেই আল্লাহর রসূল (সাঃ) বললেন, একে নিকটে আসতে দাও! সে কাছে এসে হামলা করতে উদ্যত হতেই হযরত নবী করীম (সাঃ) জনৈক সাহাবী হারিছ ইব্‌ন সুম্মা (রা)-এর হাত থেকে বল্লম নিয়ে তার উপর আঘাত হানলেন। বল্লমের তীক্ষ্ণ ফলা তার স্কন্ধের নীচের হাড়ে স্পর্শ করলো। বাহ্যত এ আঘাত ছিল মামুলী, কিন্তু এ আঘাতেই সে দিশাহারা হয়ে ছুটে পলালো। সে যখন আক্রমণ করতে এসেছিল তখন চীৎকার করে করে বলছিল, আমি আজ মুহাম্মদ (সাঃ)-কে হত্যা করবই। এবার যখন দিশাহারা হয়ে ছুটে পালাচ্ছিল তখন মুশরিকরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছিল। এ আঘাতেই হতভাগা উবায়্য ইব্‌ন খালফ ফেরার পথে মক্কায় পৌঁছবার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে।

আবু সুফিয়ান চীৎকার করে জিজ্ঞেস করলো : افى القوم محمد -তোমাদের মধ্যে কি মুহাম্মদ রয়েছে? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাহাবাদেরকে এর উত্তর দিতে বারণ করলেন। তারপর সে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করলো : তোমাদের মধ্যে কি আবূ বকর রয়েছে? এবারও কোন জবাব মিললো না। তারপর সে প্রশ্ন করলো, তোমাদের মধ্যে কি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) রয়েছে? তারও কোন জবাব দেওয়া হলো না। তখন সে স্বগতোক্তি করলো : বোঝা গেলো এদের কেউই আর বেঁচে নেই, সবাই নিহত হয়েছে। এবার হযরত উমর ফারূক (রা) আর চুপ করে থাকতে পারলেন না। তিনি চীৎকার করে বললেন : “হে আল্লাহর দুশমন! এঁদের সকলেই জীবিত রয়েছেন। অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবি তুইই।” এ জবাব শুনে সে আচমকা থতমত খেয়ে গেলো এবং অনেকটা গর্বের সুরে বলে উঠলো : اعل هبل اعل هبل “জয় ‘হবলের, জয় ‘হবলের–

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত উমর (রা)-কে বললেন : এর জবাবে বল : الله اعلى واجل “আল্লাহই সর্বোচ্চ ও সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন।” আবূ সুফিয়ান হযরত উমর (রা)-এর কন্ঠে একথা শুনে বললো لنا عزى ولا عزى لكم

“আমাদের উজ্জা দেবী রয়েছে, তোমাদের কোন উজ্জা দেবী নেই।” হযরত উমর ফারুক (রা) হুযূর আকরাম (সাঃ)-এর কথামতো জবাব দিলেন :

الله مولانا ولا مولى لكم .

“আল্লাহ আমাদের মওলা, তোমাদের কোন মওলা নেই।” আবূ সুফিয়ান বললো : এ যুদ্ধটি বদর যুদ্ধের সমান সমান হয়ে গেলো। অর্থাৎ আমরা এবার বদর যুদ্ধের প্রতিশোধ কড়ায় গণ্ডায় নিয়ে নিলাম। হযরত উমর (রা) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কথামতো জবাব দিলেন : না না, সমান সমান হয়নি। কেননা, আমাদের নিহতরা জান্নাতে এবং তোমাদের নিহতরা জাহান্নামে। তারপর আবূ সুফিয়ান চুপ হয়ে গেলো। তারপর সে চীৎকার করে বললো : আবার আগামী বছর বদর প্রান্তরে তোমাদের সাথে বোঝাপড়া হবে। হযরত রসূল (সাঃ) আদেশ করলেন বলে দাও :

نعم هو بيننا وبينكم موعد .

হাঁ, এ চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করলাম!

আবু সুফিয়ান এরূপ বলাবলি করে এবং জবাব শুনে প্রস্থান করলো। নবী করীম (সাঃ) হযরত আলী (রা)-কে তাদের প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার জন্যে পিছু পিছু পাঠিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, লক্ষ্য রাখবে যদি তারা উটের উপর হাওদা বাঁধে এবং ঘোড়াগুলোকে আরোহী শূন্য রাখে তবে বুঝে নিতে হবে যে এরা মক্কায় ফিরে চলেছে। পক্ষান্তরে যদি তারা ঘোড়ায় আরোহণ করে এবং উটের উপর হাওদা না বেঁধে থাকে তবে বুঝে নিতে হবে যে, এরা মদীনায় হামলা চালাতে উদ্যত হয়েছে। যদি তারা একান্তই মদীনায় হামলা করতে উদ্যত হয় তবে আমরা এ মুহূর্তে তাদের উপর আঘাত হানবো। কিছুক্ষণ পরেই হযরত আলী (রা) ফিরে এসে জানালো যে, এরা উটের পিঠে হাওদা বেঁধে ঘোড়াগুলোকে আরোহী শূন্য অবস্থায় রেখেছে। অর্থাৎ সত্যি সত্যি তারা মক্কার পথে রওয়ানা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন