hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৫৭
ইয়াযদিজার্দের পতন
ইরানী সাম্রাজ্য হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর খিলাফতকালে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের যে কয়েকটি প্রদেশ বা শহর তখনো ইসলামী খিলাফতের বাইরে রয়ে গিয়েছিল সেগুলো হযরত উসমান গনী (রা)-এর খিলাফত আমলে মুসলমানগণ অধিকার করে নেয়। তখন পারস্য-সম্রাট ইয়াযদিজার্দ একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তাকে কখনো দেখা যেত রাইয়ে, কখনো বলখে, আবার কখনো মার্ভে, কখনো ইসফাহানে, আবার কখনো চীনে, আবার কখনো ফিরে আসতেন পারস্যের সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে। তার সাথে কয়েক হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী ছিল। তিনি তার বংশগত সম্মান এবং সামানী পরাক্রম ও আভিজাত্যের কারণে সাধারণ মানুষকে সহজেই নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে পারতেন। একদিন হয়ত তারও সুদিন আসবে—এ প্রত্যাশায়ও মানুষ ইয়াযদিজার্দের পিছনে বার বার সারিবদ্ধ হত। ইরানের বেশীর ভাগ প্রদেশ, জেলা ও শহরে বার বার বিদ্রোহ দেখা দেওয়ার এটাই ছিল সবচেয়ে বড় কারণ। অবশ্য মুসলিম সেনাপতিগণ সবগুলো বিদ্রোহই দমন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। হিজরী ৩১ সনে ইয়াযদিজার্দ এক দল সৈন্য নিয়ে বলখে এসে উপনীত হন এবং কয়েকদিন পর্যন্ত এ অঞ্চলের বিভিন্ন শহর দখল করে রাখেন। মুসলিম বাহিনী যখন উদ্ধার অভিযান চালায় তখন তিনি সেখান থেকে পলায়ন করেন এবং পাছে মুসলমানগণ তাকে বন্দী করে ফেলে এ ভয়ে তিনি জনৈক পানচাক্কী (WATER MILL) চালকের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ অভিনব আগন্তুকের মূল্যবান লেবাস পোশাক, হাতিয়ার ও অলংকারের প্রতি পানচাক্কী চালকের লোভাতুর দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়। আগন্তুকটি ঘুমিয়ে পড়ার সাথে সাথে সে তাকে হত্যা করে তার দেহ থেকে যাবতীয় অলংকার, হাতিয়ার, পোশাক ইত্যাদি খুলে নেয় এবং তার লাশটি একটি জলাশয়ে নিক্ষেপ করে। মার্ভ এলাকার ‘মারগার’ নামক স্থানে ইংরেজী ৬৫১ সালের ২৩ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। ইয়াযদিজার্দ তার রাজত্বের প্রথম চার বছর তো তাকে শুধু পালিয়েই বেড়াতে হয়। ইয়াযদিজার্দের মৃত্যুর সাথে সাথে ইরানী বিদ্রোহেরও অবসান ঘটে।

এ বছরই মিসরে অবস্থানরত মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ হুযায়ফা এবং মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা) সেখানকার গভর্নর আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাআদ ইব্‌ন আবূ সারাহ-এর কোন কোন প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং এটাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দারুন অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যে, তারা একেবারে প্রকাশ্যে হযরত উসমান গনী (রা)-এরও সমালোচনা করতে থাকেন। তারা তাঁকে এই বলে অপবাদ দেন যে, তিনি (উসমান গনী) আবদুল্লাহ ইব্‌ন সা‘দের মত-লোকদেরকে, যাদের উপর খোদ হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অসন্তুষ্ট ছিলেন, ইসলামী রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর নিয়োগ করে রেখেছেন। তারা মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন ও বাড়াবাড়ি করছে, অথচ তিনি তাদেরকে পদচ্যুত করছেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন