hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৫৭
হুতাম ইব্‌ন জুনায়আহ
পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে যে, হযরত আলা ইব্‌ন আল-হাযরামী (রা)-কে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) একটি সেনাদলের প্রধান নিযুক্ত করে বাহ্‌রায়নে প্রেরণ করেছিলেন। বাহ্‌রায়নে বনূ আবদুল কায়স, বনূ বকর ইব্‌ন ওয়াইল তাদের শাখা-প্রশাখাসহ এক বিরাট জনগোষ্ঠী ছিল। আপনারা এও পাঠ করেছেন যে, হযরত জারূদ ইবনুল-মুআল্লা (রা) তার গোত্র বনূ আবদুল কায়স-এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসাবে হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর দরবারে হাযির হয়েছিলেন। হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাতের খবর পেয়ে বনূ আবদুল কায়সের লোকেরা একথা বলে মুরতাদ হয়ে গেলো যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যদি নবী হতেন, তবে তিনি কখনো ইনতিকাল করতেন না। হযরত জারূদ ইবনুল মুআল্লা (রা) তার গোত্রকে এক স্থানে সমবেত করলেন এবং বললেন যে, আমি তোমাদের কাছে একটি কথা জিজ্ঞেস করবো। যে তার উত্তর অবগত আছে, সে চুপ থাকবে। এরপর তিনি তাঁর গোত্রকে সম্বোধন করে জিজ্ঞেস করলেন যে, তোমরা বলো, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পূর্বেও দুনিয়ায় কোন নবী এসেছিলেন কিনা? সবাই বললো, হাঁ, এসেছিলেন। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে, তাঁরা সবাই সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করে ইহধাম ত্যাগ করেছেন কিনা? সবাই বললো, হাঁ, তাঁরা সবাই তাদের মিশন সম্পন্ন করে ইহধাম ত্যাগ করেছেন। এরপর হযরত জারূদ (রা) বললেন, অনুরূপভাবে মুহাম্মদ (সাঃ)-ও তার মিশন শেষ করে পরলোক গমন করেছেন। একথা বলে তিনি বললেন–

اَشْهَدُ اَنْ الاَّ اِلٰهَ اِلاَّ اللّٰهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ .

(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল) এ দৃশ্য বনূ আবদুল কায়সের মনে এরূপ ক্রিয়া করলো যে, তারা তৎক্ষণাৎ তাওবা করলো এবং ইসলামের উপর কায়েম হয়ে গেলো।

বনূ আবদুল কায়স তো হযরত জারূদ ইবনুল-মুআল্লাহর তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় এইভাবে বেঁচে গেলো। কিন্তু বনূ বকর ইব্‌ন ওয়াইল মুরতাদ হয়ে হুতামকে তাদের নেতা নিযুক্ত করলো। হুতাম বনূ বকরের বিরাট বাহিনী নিয়ে বেরিয়ে পড়লো এবং উতায়ফ ও হাজরের মাঝখানে ডেরা ফেললো। আর কিছু লোককে বনূ আবদুল কায়সের প্রতি প্রেরণ করলো তাদেরকে মুরতাদ বানিয়ে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু বনূ আবদুল কায়স পরিষ্কারভাবে মুরতাদ হতে অস্বীকার করলো। ফলে তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলো। এরপর হুতাম মাগরূর ইব্‌ন সুওয়াদকে একটি সেনাদল প্রদান করে আশেপাশের মুসলমানদেরকে মুরতাদ বানানো কিংবা তাদের সাথে লড়াই করার জন্য প্রেরণ করলো। এই অবস্থায় হযরত আলা ইবনুল হাদরামী (রা) সসৈন্যে বাহ্‌রায়নে প্রবেশ করলেন। তিনি হযরত জারূদ ইবনুল মুআল্লার নিকট—যিনি দারায়ন নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন—নির্দেশ পাঠালেন যে, বনূ আবদুল কায়সকে সঙ্গে নিয়ে হুতামের উপর হামলা করো। এই নির্দেশ পৌঁছা মাত্র এবং এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আশেপাশের সকল মুসলমান হযরত আলা ইবনুল হাদরামী (রা)-এর নিকট এসে সমবেত হলো। আর যেসব মুরতাদ ও মুশরিক এই এলাকায় ছিল, তারা সবাই হুতামের দলে এসে জড়ো হলো। হযরত আলা ইবনুল-হাদরামী (রা) তাঁর লশকরসহ সামনে অগ্রসর হলেন এবং হুতামের সেনাছাউনির সন্নিকটে পৌঁছে তাঁবু স্থাপন করলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন যে, হুতাম তার সেনাছাউনির চারপাশে একটি পরিখা খনন করিয়েছে। অবশেষে উভয় বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলো। এক মাস পর্যন্ত উভয় পক্ষ থেকে যুদ্ধ অব্যাহত রইল। কোন পক্ষই বিজয় লাভ করতে পারলো না। যখন পূর্ণ একটি মাস এই অবস্থায় অতিবাহিত হলো, তখন হযরত আলা ইবনুল-হাদরামী (রা) মুসলিম মুজাহিদদের সঙ্গে নিয়ে এক প্রচণ্ড আক্রমণ করলেন এবং মুসলিম বীর সেনারা পরিখা পার হয়ে কাফিরদের সেনাছাউনিতে ঢুকে পড়লো। হযরত কায়স ইব্‌ন আসিম (রা)-এর হাতে হুতাম নিহত হলো। বহু মুরতাদ নিহত হলো। অন্যরা পলায়ন করলো। পলায়নকারীদের পশ্চাদ্ধাবন করা হলো। অবশেষে ক্রমে ক্রমে সবাই ইসলামে ফিরে এলো। উপরোক্ত যুদ্ধে বহু গনীমতের মাল মুসলমানদের হস্তগত হলো। ফলে মুসলিম বাহিনীর অবস্থা খুব ভাল হলো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন