hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৬০
আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা
আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা ছিল ইব্‌ন সাওদা নামে পরিচিত। সে ছিল সানআ শহরের অধিবাসী একজন ইয়াহূদী। হযরত উসমান গনী (রা)-এর খিলাফতকালে সে যখন লক্ষ্য করল যে, মুসলমানগণ অত্যন্ত প্রতিপত্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং মুসলিম জাতি তখন বিশ্বের বিরাট দিগ্বিজয়ী জাতিতে পরিণত হয়েছে, তখন সে মদীনা শরীফে এসে বাহ্যত ইসলাম গ্রহণ করল এবং মুসলমানগণের সাথে এমনভাবে মিশে গেল যে, তার মনের কথা কেউই জানতে পারল না এবং জানার চেষ্টাও করল না। এ সুযোগে সে মুসলমানদের আভ্যন্তরীণ দুর্বলতাসমূহ আবিষ্কার করল এবং ভালভাবে যাচাই করে নিল। তারপর ইসলামের বিরুদ্ধে কি কি কৌশল অবলম্বন করা যায় বা কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কেও খুব চিন্তা গবেষণা করল। ঐ সময়ে বসরায় হাকীম ইব্‌ন জাবালা নামীয় ব্যক্তি বাস করত। সে তার পার্থিব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এ কৌশল অবলম্বন করেছিল যে, সে কোন একটি ইসলামী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে সুযোগমত যিম্মীদের উপর লুটপাত চালাত। সে অন্যান্য লোককেও নিজের দলে টেনে নিয়ে এখানে সেখানে ডাকাতি ও রাহাজানি করত। তার এ দুষ্কর্মের সংবাদ শেষ পর্যন্ত হযরত উসমান গনী (রা)-এর কানে গিয়ে পৌঁছে।

খলীফা হযরত উসমান গনী (রা) বসরার গভর্নরকে লিখলেন, হাকীম ইব্‌ন জাবালাকে বসরার অভ্যন্তরে নযরবন্দী করে রাখ এবং কখনো শহরের বাইরে যেতে দিও না। কাজেই, হাকীম ইব্‌ন জাবালাকে বসরাতে নযরবন্দী করে রাখা হয়। আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা হাকীম ইব্‌ন জাবালার অবস্থাদি শুনে মদীনা শরীফ থেকে সোজা বসরাতে চলে যায়। সেখানে সে হাকীম ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌র ঘরে অবস্থান করে হাকীম ইব্‌ন জাবালা এবং তার মাধ্যমে তার সঙ্গী-সাথীদের সাথে যোগাযোগ করে ইসলাম ও মুসলমানগণের ধ্বংস সাধনের একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তৈরি করে। ঐ পরিকল্পনা অনুযায়ী সে নিজেকে মুসলমানগণের বন্ধু এবং রাসূল-পরিবারের একান্ত মঙ্গলকামী বলে যাহির করত এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম কথার মারপ্যাচে নিজের ধ্বংসাত্মক চিন্তাধারা ও আকীদা-বিশ্বাস সাধারণ্যে প্রচার করত। সে কখনো বলত, মুসলমানগণই বলে বেড়ায়, দুনিয়ায় হযরত ঈসা (আ) পুনরায় আবির্ভূত হবেন, কিন্তু একথা ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ও দুনিয়ায় পুনরাবির্ভূত হবেন। সে জনসাধারণের সামনে–

إِنَّ الَّذِي فَرَضَ عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لَرَادُّكَ إِلَىٰ مَعَادٍ .

যিনি কুরআনকে তোমার জন্য করেছেন বিধান তিনি অবশ্যই তোমাকে ফিরিয়ে আনবেন প্রত্যাবর্তনস্থলে। (২৮ : ৮৫)

—এ আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে তাদেরকে এ আকীদা-বিশ্বাসে টেনে আনার চেষ্টা করে যে, অবশ্য অবশ্যই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ও দুনিয়ায় পুনরাবির্ভূত হবেন। অনেক বোকাই তার এ প্রতারণার ইন্দ্রজালে পতিত হয় এবং সে ঐ বোকাদের নিয়ে এমন একটি আকীদা দাঁড় করাবার প্রয়াস পায় যে, প্রত্যেক নবীরই একজন ‘খলীফা ও ওসী’ (প্রতিনিধি) থাকেন। আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওসী হযরত আলী (রা)। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেমন ‘খাতামুল ‘আম্বিয়া’ (শেষ নবী) ঠিক হযরত আলী (রা)-ও তেমনি খাতামুল আওসিয়া’ (শেষ ওসী)। তারপর সে প্রকাশ্যে বলতে শুরু করে যে, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর পর মুসলমানগণ হযরত আলী (রা) ব্যতীত অন্যকে খলীফা বানিয়ে তার (আলীর) অধিকার খর্ব করেছে। কাজেই, এখন সকলেরই উচিত হযরত আলী (রা)-কে সাহায্য করা এবং বর্তমান খলীফাকে হত্যা অথবা পদচ্যুত করে হযরত আলী (রা)-কেই খলীফার আসনে অধিষ্ঠিত করা। আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা অনেক ভাবনা-চিন্তার পর এসব পরিকল্পনা তৈরি করেই মদীনা শরীফ থেকে বসরাতে এসেছিল। এখানে এসে সে অত্যন্ত দূরদর্শিতার সাথে এবং যথাযথভাবে তার ঐ সব বদ-আকীদা ও কু-বিশ্বাসসমূহ জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে শুরু করে।

ক্রমে ক্রমে এ ফিতনার খবর যখন বসরার গভর্নর আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমের কানে গিয়ে পৌঁছে, তখন তিনি আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবাকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? কোথা থেকে এসেছ এবং এখানে কেন এসেছ? আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা উত্তর দিল, আমি ইয়াহূদী ধর্মের দুর্বলতা ও অসম্পূর্ণতা লক্ষ্য করে শাশ্বত সুন্দর ধর্ম ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। আমি এখানে আপনার একজন মুসলিম প্রজা হিসাবে বসবাস করতে চাই। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমের বলেন, আমি তোমার হালচাল ও কথাবার্তা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার তো মনে হয়, তুমি একজন ইয়াহূদী হিসাবে মুসলমানগণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, বিভ্রান্তি ও অনৈক্য সৃষ্টি করতে চাও। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমেরের মুখে একথা শুনে সুচতুর আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা বুঝতে পারল, এখন আর বসরাতে অবস্থান করা তার জন্য নিরাপদ নয়। তাই সে তার একান্ত বিশ্বস্ত লোকদেরকে তার দলের আদর্শ ও কার্যপদ্ধতি বুঝিয়ে দিয়ে নিজে বসরা থেকে কূফায় চলে গেল। কূফা ছিল ইসলামী বাহিনীর দ্বিতীয় কেন্দ্র। সেখানে পূর্ব থেকেই হযরত উসমান গনী (রা) এবং তার নিযুক্ত কর্মকর্তার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন একদল লোক ছিল। তাই আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবা কূফায় এসে তাদের মাধ্যমে তার অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার ভাল সুযোগই পেল।

আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবার অন্তরে ছিল একদিকে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ এবং অন্যদিকে হযরত উসমান গনী (রা)-এর প্রতি ব্যক্তিগত শত্রুতা। তার কার্যকলাপ দেখে মনে হয়, সে হযরত উসমান গনী (রা)-এর উপর কোন কিছুর বদলা বা প্রতিশোধ নিতে চায়। কূফায় এসেই ছদ্মবেশী আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা নিজেকে সকলের কাছে একজন অতি মুত্তাকী ও ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিরূপে প্রকাশ করে। তাই সাধারণভাবে লোকেরা তাকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখতে থাকে এবং কেউ কেউ তার ভক্ত-অনুরক্তেও পরিণত হয়। যখন কুফায় আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবার আকীদা-বিশ্বাসের চর্চা শুরু হয় তখন সেখানকার গভর্নর হযরত সাঈদ ইব্‌ন ‘আস (রা) তাকে ডেকে পাঠিয়ে খুব করে শাসিয়ে দেন। কূফার বুদ্ধিমান ও ভদ্রজনেরাও তাকে একজন সন্দেহজনক লোক বলে মনে করে। এবার আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা কূফা থেকে সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা হয়। বসরার নগর কূফায়ও সে তার একদল সাঙ্গ-পাঙ্গ রেখে গেল। মালিক আশতার ছিল তাদের অন্যতম। কূফা থেকে সিরিয়া তথা দামিশকে পৌঁছে সে খুব একটা সুবিধা করতে পারল না। তাই শীঘ্রই সেখান থেকে চম্পট দিল। হযরত উসমান গনী (রা) ও বনূ উমাইয়ার প্রতি আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবার শত্রুতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর এক শহর থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্য শহরে আশ্রয় গ্রহণ যেন তার সামনে সাফল্যের এক একটি নতুন ক্ষেত্র ও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে লাগলো। সিরিয়া থেকে বের হয়ে সে সোজা মিসরের দিকে চলে গেল। সেখানকার গভর্নর ছিলেন আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সা‘দ। মিসরে পৌঁছে আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবা তার অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ আরম্ভ করল। এখানে সে তার গুপ্ত সংগঠনের একটি পরিপূর্ণ সংবিধান রচনা করল। তাতে আহলে বায়তের প্রতি ভালবাসা ও হযরত আলী (রা)-এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করাকে সাফল্যের সবিশেষ মাধ্যম রূপে গণ্য করা হল। হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সা‘দ (রা) তখন আফ্রিকা, বার্বার, কনস্টানটিনোপল প্রভৃতি ইস্যু নিয়ে এতই ব্যতিব্যস্ত ছিলেন যে, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার মত অবকাশ তার বড় একটা ছিল না।

আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবা মিসর থেকে কূফা ও বসরার সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে পত্রালাপ শুরু করে। পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিসর, কূফা ও বসরা থেকে সেখানকার গভর্নরদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ সম্বলিত পত্রাদি মদীনাবাসীগণের কাছে প্রেরিত হতে থাকে। সেই সাথে বসরাবাসীগণের কাছে কূফা ও মিসর থেকে, মিসরবাসীদের কাছে বসরা ও কূফা থেকে এবং কূফাবাসীদের কাছে বসরা, মিসর ও দামিশকে থেকে এ মর্মে অনবরত পত্র আসতে থাকে যে, ঐ সমস্ত এলাকার গভর্নররা মানুষের উপর এতই জুলুম অত্যাচার করছে যে, তাদের জীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যেহেতু কোন অঞ্চলেরই গভর্নর বা কর্মকর্তারা জুলুম করছিলেন না, তাই প্রত্যেক এলাকার লোকও ধারণা করে বসল যে, শুধু আমাদের এলাকা ছাড়া অন্য সব এলাকায়ই জুলুম অত্যাচারের স্টীমরোলার চলছে এবং তা সত্ত্বেও হযরত উসমান গনী (রা) উক্ত গভর্নর ও কর্মকর্তাদেরকে অন্যায়ভাবে তাদের পদে বহাল রাখছেন এবং তাদেরকে পদচ্যুত করতে অস্বীকার করছেন। প্রত্যেক প্রদেশ এবং প্রত্যেক এলাকা থেকে অনবরত রাজধানী মদীনা শরীফেও পত্র আসছিল। এ প্রেক্ষিতে হযরত উসমান গনী (রা) হযরত আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা)-কে মিসরে এবং মুহাম্মদ ইব্‌ন মাসলামা (রা)-কে কূফায় প্রেরণ করেন এবং সেখানকার অবস্থা তদন্ত করে দরবারে খিলাফতে তার রিপোর্ট পাঠাবার নির্দেশ দেন। হযরত আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা) যখন মিসরে পৌঁছেন তখন সে সেখানকার এ সমস্ত লোক যারা গভর্নর আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সা‘দ (রা)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল এবং যারা আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবার দলভুক্ত ছিল— তারা কূটচালের মাধ্যমে হযরত আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা)-কে নিজেদের সম-মতাবলম্বী করে নেয় এবং তাকে এ বলে মদীনা শরীফে ফিরে যাওয়া থেকে বিরত রাখে যে, যেহেতু হযরত উসমান গনী (রা) জেনে শুনেই মানুষের উপর জুলুম অত্যাচারের পথ উন্মুক্ত রেখেছেন, তাই তাঁর সংসর্গ এড়িয়ে চলাই সমীচীন। মুহাম্মদ ইব্‌ন মাসলামা (রা) কূফা পৌঁছে হযরত উসমান গনী (রা)-এর কাছে এ মর্মে সংবাদ পাঠান যে, এখানকার জনসাধারণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রকাশ্যে গভর্নরকে দোষারোপ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। ফলে, একটা বিদ্রোহের ভাব পরিলক্ষিত হয়। ঐ সময়ে আশআছ ইব্‌ন কায়স, সাঈদ ইব্‌ন কায়স, সাঈব ইব্‌ন আকবা, মালিক ইব্‌ন হাবীব, হাকীম ইব্‌ন সালামত, জারীর ইব্‌ন আবদুল্লাহ, সালমান ইব্‌ন রিবাঈ প্রমুখ অত্যন্ত প্রভাবশালী, দৃঢ়সংকল্পের অধিকারী এবং খিলাফতে ইসলামিয়ার ঐক্য ও সংহতির পক্ষে ব্যক্তিবর্গ কূফা থেকে বিভিন্ন এলাকা অভিমুখে রওনা হয়ে গিয়েছিলেন।

সাঈদ ইব্‌ন ‘আস চতুর্দিকে বিশৃঙ্খলা এবং মানুষের মুখে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হতে দেখে কা‘ কা‘ ইব্‌ন আমরকে আপন স্থলাভিষিক্ত করে কূফা থেকে মদীনা শরীফের দিকে রওয়ানা হন। তার উদ্দেশ্য ছিল খোদ খলীফার সাথে কূফার লোকেরা মালিক আশতার এবং তার অন্যান্য সঙ্গী-সাথী, যারা তখন হিমসে অবস্থান করছিলেন— তাদের লিখলো, আজকাল কূফা একদম খালি। তোমরা যেভাবে পার, এখানে চলে এসো।’ কূফায় তখন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও সর্বজনমান্য কোন সরকারী কর্মকর্তা বিদ্যমান না থাকায় সাধারণ মানুষের মুখ একেবারে লাগামহীন হয়ে উঠেছিল। মানুষ প্রকাশ্যে হযরত উসমান গনী (রা) এবং তার নিযুক্ত কর্মকর্তাদেরকে গালি-গালাজ ও দোষারোপ করতে লাগলো। পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত এ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াল যে, ইয়াযীদ ইব্‌ন কায়স কূফাবাসীদের একটি প্রতিনিধি দল সঙ্গে নিয়ে এ উদ্দেশ্যে মদীনা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হয় যে, সেখানে পৌঁছে হযরত উসমান গনী (রা)-কে খিলাফতের দায়িত্ব পরিত্যাগে বাধ্য করবে। কিন্তু কা‘ কা‘ ইব্‌ন আমর একদল লোক সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ইয়াযীদের পথে বাধার সৃষ্টি করেন এবং তাকে বন্দী করে নিয়ে আসেন।

ইয়াযীদ অত্যন্ত বিনীতভাবে কা‘ কা‘ ইব্‌ন আমরকে বলল, সা‘দ ইব্‌ন ‘আসের বিরুদ্ধে আমার কিছু অভিযোগ আছে। তাই আমি তাকে কূফার গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করার উদ্দেশ্যে মদীনায় রওয়ানা হয়েছিলাম। তাছাড়া আমার আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। একথার উপর কা‘ কা‘ ইয়াযীদকে ছেড়ে দেন। কিন্তু এরপরই মালিক ইব্‌ন আশতার তার দলবল নিয়ে হিমস থেকে কূফায় এসে পৌঁছালো। তাদের কূফা পৌঁছার সাথে সাথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে যেন নবজীবনের সঞ্চার হল। মালিক আশতার প্রকাশ্যে জনসাধারণকে ইয়াযীদ ইব্‌ন কায়সের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে কূফা থেকে রওয়ানা করল। কা‘ কা‘ এ জনদলের মুকাবিলা করতে পারলেন না। তারা কূফা থেকে কাদিসিয়ার নিকটবর্তী জার’আ নামক স্থানে গিয়ে পৌঁছল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন