hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৫৮
গাযওয়া বনূ মুসতালিক
পঞ্চম হিজরীর শা‘বান মাসে খবর পৌঁছলো, বনূ মুসতালিকের সরদার হারিছ ইব্‌ন দারার যুদ্ধের আয়োজনে ব্যস্ত। আরবের অন্যান্য গোত্রকেও সে তার দলভুক্ত করছে। মুসলমানদের উপর হামলা করার জন্য সে তাদেরকে আহবান জানাচ্ছে। হযরত নবী করীম (সাঃ) প্রকৃত অবস্থা অবগত হওয়ার জন্য হযরত বুরায়দা ইব্‌ন হাসীব আস্‌লামী (রা)-কে দূত হিসাবে প্রেরণ করেন। হযরত বুরায়দা (রা) ফিরে এসে জানালেন যে, হারিস ইব্‌ন দারার ইসলাম ও মুসলমানদের মূলোচ্ছেদ করার জন্য বদ্ধপরিকর। সে বহু গোত্রকে নিজের দলভুক্ত করেছে এবং কোন মতেই যুদ্ধ ও আক্রমণ থেকে বিরত থাকতে নারায। প্রায় একই সাথে খবর আসলো যে, হারিস তার সৈন্য-সামন্ত নিয়ে যাত্রা করছে। হযরত নবী করীম (সাঃ) কালবিলম্ব না করে মুসলমানদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন এবং মদীনায় হযরত যায়দ ইব্‌ন হারিছা (রা)-কে প্রশাসক নিযুক্ত করে মুসলিম বাহিনীর সাথে রওয়ানা হলেন। এ বাহিনীতে ত্রিশটি ঘোড়া ছিল। মুহাজিরদের দশটি এবং আনসারদের বিশটি। মুহাজির ও আনসারদের পৃথক পৃথক ঝাণ্ডা ছিল। আনসারদের ঝাণ্ডা ছিল হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবাদা (রা)-এর হাতে এবং মুহাজিরদের নিশানবরদার ছিলেন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)। হযরত উমর ফারূক (রা)-কে মুকাদ্দামাতুল জায়শ (অধিনায়ক) নিযুক্ত করা হলো। যেহেতু উপর্যুপরি কয়েকটি অভিযানে মুসলমানদের বিজয় লাভ করতে দেখা গিয়েছিল, তাই এবার গনীমতের মালের লোভে মুনাফিক সরদার আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়ও তার দলসহ শরীক হলো।

এ মুনাফিকরা যেহেতু নিজেদেরকে মুসলমান বলেই দাবী করতো, সেহেতু তারা সমস্ত ইসলামী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতো এবং মুসলিম বাহিনীতে যোগদান করার ক্ষেত্রেও এদের নিষেধ করা হতো না। এই প্রথমবারের মতো আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্য ও তার মুনাফিক দল মুসলিম বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য রওয়ানা করলো। উহুদ যুদ্ধে তো এরা যাত্রাপথ থেকেই ফিরে এসেছিল এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। হারিস ইব্‌ন দারার একজন গুপ্তচর প্রেরণ করেছিল। এই গুপ্তচরটি পথিমধ্যে হঠাৎ মুসলিম বাহিনীর নাগালে এসে পড়লো এবং গ্রেফতার হয়ে হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট নীত হলো। তার গুপ্তচর হওয়া যখন নিশ্চিত হলো এবং ইসলাম গ্রহণ করতেও সে অস্বীকার করলো, তখন আরবের প্রচলিত রীতি ও যুদ্ধনীতি অনুযায়ী তাকে হত্যা করার নির্দেশ জারি করা হলো। সে নিহত হলো। হারিস যখন তার গুপ্তচরের নিহত হওয়া ও নবী করীম (সাঃ)-এর সান্নিকট পৌঁছার খবর পেলো, তখন সে খুব অস্থির ও হতবুদ্ধি হয়ে পড়লো।

অবশেষে হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত উমর ফারুক (রা)-কে বললেন যে, তুমি সামনে অগ্রসর হয়ে তাকে ইসলামের দাওয়াত দাও। হযরত উমর ফারূক (রা) সামনে অগ্রসর হয়ে তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। সে তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করলো। এরপর উভয় পক্ষ থেকে হামলা শুরু হলো। কাফিরদের পতাকাধারী হযরত আবূ কাতাদা (রা) কর্তৃক নিহত হলো। পতাকাধারী ধরাশায়ী হওয়ার সাথে সাথেই কাফিরদের পা ফসকে গেল এবং তারা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে মুসলমানদের সম্মুখ থেকে পলায়ন করলো। কাফিরদের মধ্যে যারা বন্দী হলো, তাদের মধ্যে প্রধান সেনাপতির কন্যা জুওয়ায়রিয়াও ছিল। গনীমতেরও অঢেল মালামাল মুসলমানদের হস্তগত হলো। ইয়াহূদ বনূ মুসতালিকের সাথে ‘মারীসী’তে যে যুদ্ধ হয়েছিল, তা ছিল মদীনা মুনাওয়ারা হতে নয় মনযিল দূরে অবস্থিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন