hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৮৮
মক্কার পথে যাত্রা
অষ্টম হিজরীর ১১ই রমযান হযরত নবী করীম (সাঃ) দশ হাজার সাহাবা সমভিব্যাহারে মদীনা থেকে রওয়ানা করলেন। কুরায়শরা আবূ সুফিয়ানের অকৃতকার্য হয়ে ফিরে আসায় খুব দুশ্চিন্তায় ছিল। তারা মুসলমানদের সংকল্প সম্পর্কে কোন খবর পায়নি। কোন গুপ্তচর ও মিত্র গোত্রও তাদের কোন সংবাদ জানায়নি। হযরত নবী করীম (সাঃ) মদীনা থেকে রওয়ানা হয়ে খুব ত্বরিত গতিতে মক্কার পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন। তিনি যখন জুহফা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন তার চাচা হযরত আব্বাস ইব্‌ন আবদিল মুত্তালিব (রা) পরিবার-পরিজনসহ মুসলমান ও মুহাজির হয়ে মদীনার পথে এসে মিলিত হলেন। নবী করীম (সাঃ) তাঁর পরিবার-পরিজনকে মদীনায় পাঠিয়ে দিলেন এবং হযরত আব্বাস (রা)-কে তার সঙ্গে নিলেন। ইসলামী লশকর অগ্রসর হতে হতে মক্কার অদূরবর্তী মাররুয-যাহ্‌রান উপত্যকায় (মক্কার চার ক্রোশ দূরে অবস্থিত) পৌঁছে গেলো। মক্কাবাসী তখনো বেখবর ছিল। তারা এও জানতো না যে, মুসলমানরা তাদের ওয়াদা ভঙ্গের কি শাস্তি দেবে আর কি কর্মপন্থা গ্রহণ করবে? মাররুয-যাহরানে সন্ধ্যার সময় ইসলামী লশকর পৌঁছে শিবির স্থাপন করলেন। রাতে গো-রক্ষকদের মাধ্যমে খবর পৌঁছলো যে, মাররুয-যাহ্‌রানে এক বিশাল বাহিনী শিবির স্থাপন করেছে। এ খবর শুনে আবূ সুফিয়ান অনুসন্ধান করতে বের হলো। বুদায়ল ইব্‌ন ওয়ারাকা ও হাকীম ইব্‌ন হিযামও তার সাথে ছিল। এদিকে হযরত নবী (সাঃ) হযরত উমর ফারূক (রা)-এর নেতৃত্বে একদল টহল সেনা নিয়োগ করেন যাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শত্রুপক্ষ অতর্কিত আক্রমণ করতে না পারে। হযরত আব্বাস (রা)-এর মন তাঁর কওমের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো। তিনি জানতেন যে, প্রত্যুষে যখন ইসলামী লশকর মক্কা আক্রমণ করবে, তখন কুরায়শ ও মক্কার নাম-নিশানা অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি কামনা করতেন কোন প্রকারে মক্কাবাসী মুসলমান হয়ে যাক। তাই তিনি রাতের বেলায় নবী করীম (সাঃ)-এর দুলদুল নামক খচ্চরে আরোহণ করে শিবির থেকে বের হয়ে মক্কার পথে গমন করলেন। ইসলামী লশকরগাহে নবী করীম (সাঃ)-এর নির্দেশক্রমে হাজার হাজার সেনাগুচ্ছ পৃথক পৃথক ছাউনি স্থাপন করেছিল এবং সবাই আগুন জ্বেলে রেখেছিল।

আবু সুফিয়ান দূর থেকে আগুন দেখে হতভম্ব হয়ে পড়লো। এত বড় বাহিনী কোথা থেকে এলো? বুদায়ল ইব্‌ন ওয়ারাকা খুযাঈ বললো, এটি খুযাআ বাহিনী। আবূ সুফিয়ান শুনে অবজ্ঞামিশ্রিত কণ্ঠে জবাব দিলো, বনূ খুযাআর কি ক্ষমতা আছে এত বড় বাহিনী সমাবেশ করার? তারা তো একটি দীন-হীন ও ছোট্ট গোত্র মাত্র।

রাতের অন্ধকারে হযরত আব্বাস (রা) আবূ সুফিয়ানের কথার আওয়াজ চিনে ফেললেন। তিনি এ উদ্দেশ্যেই বের হয়েছিলেন যে, মক্কার কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে এই বিপদ সম্পর্কে অবহিত করে বলে দেবেন যে, এ মুহূর্তে মুসলমান হয়ে যাওয়াই তোমাদের জন্য শ্রেয়। তিনি তৎক্ষণাৎ আবূ সুফিয়ানকে আওয়াজ দিলেন এবং বললেন যে, এ বাহিনী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বাহিনী। এরা প্রত্যুষে মক্কা আক্রমণ করবে। আবূ সুফিয়ান হতবুদ্ধি হয়ে গেলো এবং হযরত আব্বাস (রা)-এর নিকট এসে বললো, এখন উপায় কি? হযরত আব্বাস (রা) বললেন, তুমি আমার পশ্চাতে খচ্চরের উপর আরোহণ করো। আমি তোমাকে মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে নিয়ে যাবো। সেখানে তুমি নিরাপত্তা পেতে পারো। আবূ সুফিয়ান নির্দ্বিধায় খচ্চরের উপর আরোহণ করলো এবং তার অন্য দুই সহচর মক্কায় চলে গেলো। হযরত আব্বাস (রা) আবূ সুফিয়ানকে তার পশ্চাতে আরোহণ করিয়ে যখন ইসলামী লশকরগাহের দিকে ফিরে চললেন, তখন পথে হযরত উমর ফারুক (রা)-এর সাথে দেখা। তিনি আবূ সুফিয়ানকে চিনে ফেললেন এবং কতল করতে উদ্যত হলেন। কিন্তু হযরত আব্বাস (রা) খচ্চর দাবড়িয়ে ত্বরিতগতিতে সটকে পড়লেন। হযরত উমর (রা) ছিলেন পদাতিক। তিনিও পিছনে পিছনে তলোয়ার নিয়ে ছুটলেন। হযরত আব্বাস (রা) নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট প্রথম পৌঁছলেন। তার পরপরই হযরত উমর (রা)-ও পৌঁছে গেলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কাফির বিনাশর্তে আমাদের আয়ত্তে এসে গেছে। আদেশ করুন, গর্দান উড়িয়ে দিই। হযরত আব্বাস (রা) বললেন, আমি আবূ সুফিয়ানকে আমান দিয়েছি। হযরত উমর (রা) পুনরায় অনুমতি চাইলেন। হযরত আব্বাস (রা) বললেন, উমর! তোমার বংশের কোন ব্যক্তি হলে তুমি তাকে হত্যা করার জন্য এত পীড়াপীড়ি করতে না এবং এত উদগ্রীবও হতে না। হযরত উমর ফারূক (রা) হযরত আব্বাস (রা)-এর কথার উত্তরে বললেন, আব্বাস! তুমি মুসলমান হওয়ায় আমি যত খুশী হয়েছি, আমার পিতা মুসলমান হলেও তত খুশী হতাম না। কেননা, আমি জানতাম যে, নবী করীম (সাঃ) তোমার মুসলমান হওয়া কামনা করতেন। এই দুই মনীষীর মধ্যে এরূপ কথোপকথন চলছিল। তখন নবী (সাঃ) বললেন, আচ্ছা! আবূ সুফিয়ানকে একরাত সময় দেয়া গেলো। তারপর হযরত আব্বাস (রা)-কে বললেন, আবূ সুফিয়ানকে তুমিই তোমার তাঁবুর মধ্যে রাখ। হযরত আব্বাস (রা) আবূ সুফিয়ানকে সারা রাত নিজের কাছে রাখলেন। সকাল বেলা আবূ সুফিয়ান মুসলমান হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং হযরত (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন