hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৩৫
বিজয় অভিযানসমূহ : একটি পর্যালোচনা
বলা হয়ে থাকে যে, হযরত ফারূকে আযম (রা) কর্তৃক বিজিত ভূখণ্ডের আয়তন ছিল সাড়ে বাইশ লক্ষ বর্গমাইল। ইরান ও রোম সম্রাটের মুকাবিলায় আরবের অভাবগ্রস্ত ও ক্ষুদ্র একটি জাতি কর্তৃক এই বিজয় লাভ শুধু বিস্ময়কর নয় বরং অভাবিতও বটে। রোমান সাম্রাজ্য ছিল বলকান উপদ্বীপ থেকে শুরু করে এশিয়া মাইনর, সিরিয়া, ফিলিস্তীন, মিসর ও সুদান পর্যন্ত বিস্তৃত। রোমানরা ইরানীদেরকে পরাজিত করে সিরিয়া, ভূমধ্যসাগরের পূর্ববর্তী অঞ্চল, এমন কি মিসরও অধিকার করে নিয়েছিল। ইরানী সাম্রাজ্যের আয়তন রোমান সাম্রাজ্যের চাইতে কম ছিলো না। তখনকার দিনে এ দুই সাম্রাজ্য প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জগতের সমাজ ও সংস্কৃতির উপর নিজেদের একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমন কোন তৃতীয় শক্তির অস্তিত্ব তখনকার বিশ্বে ছিল না। মুসলমানগণের এ বিস্ময়কর সাফল্য ও অভূতপূর্ব বিজয়ের কারণসমূহ বর্ণনা করতে গিয়ে খ্রিস্টান ও অন্যান্য অমুসলিম ঐতিহাসিকরা বলেন, রোমান ও ইরানী উভয় রাষ্ট্রই তখন দুর্বল হয়ে পড়ায় মুসলমানগণ অতি সহজেই সেগুলো দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু তার বর্ণনা করতে গিয়ে তারা ভুলে যান যে, আরবদের তথা মুসলমানগণের শক্তি এ দুই দুর্বল সাম্রাজ্যের অনুপাতে কিছুই ছিলো না। তাছাড়া যখন মুসলমান এবং ঐ দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে একই সময়ে যুদ্ধবিগ্রহ শুরু হয় তখন রোমান ও ইরানীদের মধ্যে পরস্পর কোন মতবিরোধ বা লড়াই-ঝগড়া ছিলো না। কাজে তারা উভয়েই তাদের সম্পূর্ণ শক্তি মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিয়োজিত রাখতে পেরেছিল। অপর দিকে মুসলমানদেরকে একই সময়ে রোমান ও ইরানী—এ দু’টি বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছিলো। তখনকার দিনে এ দুই ঐতিহ্যবাহী সাম্রাজ্যকে সভ্যতা-সংস্কৃতির দিক দিয়ে অত্যন্ত উন্নতমানের মনে করা হত। তাদের হাতে ছিল প্রচুর যুদ্ধাস্ত্র, উন্নতমানের রণকৌশল, সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী এবং অভিজ্ঞ সেনানায়কবৃন্দ। আরব তথা মুসলমানগণ এসব ক্ষেত্রে ছিল অনেক পিছনে– বলতে গেলে একেবারে নিঃস্বের পর্যায়ে। মুসলমানগণের অনুপাতে রোমান ও ইরানী শক্তির ব্যাপকতা এভাবেও অনুমান করা যেতে পারে যে, ইরানী এবং রোমানরা এক এক যুদ্ধক্ষেত্রে লৌহবর্ম ও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দু’লক্ষের চাইতেও অধিক সৈন্যকে সাহায্য করার জন্য আবার তাদেরই সমপরিমাণ, অপর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সেনাবাহিনী পিছনে অপেক্ষমাণ থাকত। ফলে যুদ্ধরত দু’লাখ প্রকার মানসিক প্রশান্তি নিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ে যেত। অপর দিকে মুসলমানগণের সর্ববৃহৎ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যাও ত্রিশ-চল্লিশ হাজারের বেশী ছিল না। অথচ, তারাই প্রায় সর্বক্ষেত্রে দু’লক্ষ সৈন্যকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মেরে ভাগিয়ে অভূতপূর্ব বিজয়ের অধিকারী হয়েছিল—এমতাবস্থায় যে, তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের পিছনে কোন বিরাট সেনাবাহিনী বা সেনাছাউনি ছিল না। কাজেই একথা বলা বোকামি ছাড়া কিছু নয় যে, ইরানী ও রোমান সাম্রাজ্য তখন পূর্বের চাইতে দুর্বল হয়ে পড়ায় মুসলমানগণ তাদেরকে অতি সহজেই পদানত করতে পেরেছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে এর মূল কারণ হলো ইরানী ও রোমান উভয় জাতিই ছিল মুশরিক (অংশীবাদী)। অপর দিকে আরবগণ ছিল ঈমানের বলে বলীয়ান। তারা তাওহীদ বা একত্ববাদের উপর নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছিল। আর একথা অনস্বীকার্য যে শিরুক বা অংশীবাদিতা মানুষকে কাপুরুষে পরিণত করে, আর ঈমানের বলে বলীয়ান মানুষ স্বভাবতই দুঃসাহসী হয়। কাজেই, ঈমান ও তাওহীদের বদৌলতেই আরবদের মধ্যে সত্যিকার অর্থে সেই বীরত্বের উদ্ভব হয়েছিল যা ঈমানের জন্য এক অতি জরুরী শর্ত এবং যা কোন ক্ষমতার দাপটে কখনো স্তিমিত হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে এ বিষয়টিও বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমে ইসলাম আরবগণকে দিগ্বিজয় ও দেশ শাসনের এমন এক নীতি বা আদর্শ শিক্ষা দিয়েছিল যা ছিল উদার ও জনকল্যাণকর। অপরদিকে ইরানী ও রোমানদের দিগ্বিজয় ও দেশ শাসননীতি ছিল নিম্নমানের, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে অমানবিক ও উৎপীড়নমূলক। এ কারণেই মুসলিমগণ যখন কোন শহর বা জনবসতি দখল করতেন তখন সেখানকার অমুসলিমগণই তাঁদের আগমন এবং তাঁদের হুকুমত বা রাষ্ট্রকে জান্নাত তুল্য মনে করত। বিজিত জাতিগুলো বিজয়ী আরবগণের চরিত্র, মহান আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি তাদের করুণা প্রদর্শন, ন্যায়বিচার, দয়া, নেতৃত্বসুলভ আচরণ, উচ্চ মানসিকতা প্রভৃতি দেখেই সানন্দচিত্তে তাদের অধীনতা স্বীকার করে নিয়েছিল। সত্যি কথা বলতে গেলে, তখন মানব জাতি তাঁদের মনুষ্যত্বকে এ বিজয়ী আরবগণেরই মাধ্যমে রক্ষা করতে পেরেছিল। এমতাবস্থায় মুসলমানগণের বিরুদ্ধে ইরানী বা রোমানদের জয়লাভ কী করে সম্ভব হতে পারে। এখানে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, ইসলাম আরবগণকে শুধু বীরত্বই দেয় নি, বরং অতুলনীয় ঐক্য ও পরের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করার শুভ প্রেরণাও যুগিয়েছে। সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে সামগ্রিক এসব গুণ যেরূপ শিকড় গেড়ে বসে ছিল তার দৃষ্টান্ত কোন দেশে বা কোন জাতিতে কখনো পাওয়া যাবে না পাওয়া যেতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন