hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪০৫
মিসরের গভর্নর পদে মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা)-এর নিযুক্তি
যেমন উপরে বর্ণিত হয়েছে, হযরত উসমানের শাহাদত লাভের মুহূর্তে মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ হুযায়ফা আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সা‘দকে মিসরের শাসনক্ষমতা থেকে হটিয়ে নিজেই তা করায়ত্ত করে নেন। আলী (রা) খলীফা নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে কায়স ইব্‌ন সা‘দ (রা)-কে মিসরের গভর্নর নিয়োগ করে মদীনা থেকে প্রেরণ করেন। কায়স মাত্র সাতজন লোক সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হন এবং মিসরে পৌঁছেই মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ হুযায়ফাকে পদচ্যুত করে নিজেই সেখানকার শাসনভার গ্রহণ করেন। মিসরের ইয়াযীদ ইব্‌ন হারিছ, আসলামা ইব্‌ন মুখাল্লাদ প্রমুখ এমন কিছু লোকও ছিল যারা উসমান হত্যার কিসাস দাবী করছিল। তারা কায়সের হাতে বায়‘আত হতে অস্বীকার করে এই অজুহাতে যে, তারা আরো কিছুদিন অপেক্ষা করবে এবং উসমান হত্যার ব্যাপারটি কিভাবে মিটমাট করা হয় তা লক্ষ্য করবে। যখন একটা মীমাংসা হয়ে যাবে তখন তারা অবশ্যই বায়‘আত করবে। আর যতক্ষণ তারা বায়‘আত না করবে ততক্ষণ নীরব থাকবে, কায়সের কোনরূপ বিরোধিতা করবে না। যা হোক কায়স নিজের সুন্দর চরিত্র ও যোগ্যতাবলে মিসরে পুরোপুরিভাবে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন।

জামাল যুদ্ধশেষে আলী (রা) কূফায় যাত্রা করলে আমীরে মুআবিয়া এই ভেবে বিচলিত হয়ে পড়েন যে, এখন তাঁরই উপর আক্রমণ পরিচালনা করা হবে। তিনি এটাও ভেবে রেখেছিলেন যে, মিসরে কায়স ইব্‌ন সা‘দ একজন প্রতিপত্তিশালী জনপ্রিয় গভর্নর। তিনি হযরত আলীর প্রেরিত লোক এবং তারই একান্ত ভক্ত। অতএব আলী (রা) যখন কূফার দিক থেকে সিরিয়া আক্রমণ করবেন তখন তিনি কায়স ইব্‌ন সা‘দকে অবশ্যই নির্দেশ দেবেন, “তুমি ও তোমার বাহিনী নিয়ে মিসরের দিক থেকে সিরিয়া আক্রমণ কর।” আর উভয় দিক থেকে সিরিয়া আক্রমণ করা হলে তাকে (মুআবিয়াকে) নিঃসন্দেহে ভয়ানক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। মুআবিয়া (রা) স্বাভাবিকভাবেই নিজের শক্তি অর্জন ও তা সমন্বিত করার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিলেন এবং তিনি সে সুযোগ পুরোপুরি কাজেও লাগিয়েছিলেন। উসমান (রা)-এর রক্তাক্ত জামা এবং তার স্ত্রীর কর্তিত অঙ্গুলীসমূহ তার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি প্রতিদিন এই জামা ও অঙ্গুলীসমূহ দামিশ্‌কের জামে মসজিদের মিম্বরের উপর রেখে দিতেন এবং জনসাধারণ তা দেখে আহাজারী করত। যেহেতু সিরিয়া প্রদেশ সব সময়ই রোমান সম্রাটের আক্রমণের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাই প্রথম থেকেই সেখানে একটি অতি শক্তিশালী বাহিনী মোতায়েন রাখা হত। এই মুহূর্তেও সেখানে একটি বিরাট বাহিনী মোতায়েন ছিল এবং সে বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্যই এই মর্মে শপথ করেছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উসমান হত্যার প্রতিশোধ না নেবে ততক্ষণ তারা বিছানায় ঘুমাবে না এবং ঠাণ্ডা পানিও পান করবে না। তাছাড়া আরবের গণ্যমান্য ও বাহাদুর লোকদেরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার ব্যাপারে আমীরে মুআবিয়া ছিলেন সদাতৎপর। তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার এবং নানা উপহার উপঢৌকন দিয়ে তাদেরকে বশ করে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সদাসতর্ক। যারা কাজের লোক তাদেরকে নিজের দলে টানা এবং তাদের মন জয় করার অপূর্ব ক্ষমতা ছিল তার। নিজের দাবীর যথার্থতা প্রমাণ এবং নিজেকে উসমান (রা)-এর উত্তরাধিকারী বানিয়ে একজন মজলুম হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করার ব্যাপারে তিনি মোটেই অমনোযোগী ছিলেন না। উসমান (রা)-এর শাহাদত লাভের পর তিনি পুরোপুরি এক বছরের অবকাশ পেয়েছিলেন এবং এই সময়ে উপরোক্ত বিষয়সমূহের প্রস্তুতি গ্রহণ ছাড়া তাঁর অন্য কোন কাজ ছিল না। কিন্তু হযরত আলী এই সময় দারুণ ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন। যদিও কূফায় চলে যাওয়ার পর একমাত্র সিরিয়া প্রদেশ ছাড়া সমগ্র মুসলিম রাষ্ট্র বাহ্যত হযরত আলীর অধিকারে চলে এসেছিল, কিন্তু তিনি তখনো সেই প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন নি, যা হযরত ফারূকে আযমের যুগে মুসলমানদের খলীফা তথা আমীরুল মু’মিনীনের ছিল। হিজায, ইয়ামন, ইরাক, মিসর, ইরান তথা ইসলামী রাষ্ট্রের সর্বত্রই অনুগত লোকদের সাথে সাথে এমন কিছু লোকও পাওয়া যেত যারা আলী (রা)-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তি উত্থাপন করত এবং তার বিভিন্ন কর্মসূচীর প্রকাশ্য সমালোচনা করত। এ কারণেই হযরত আলী কোন প্রদেশ থেকেই আশানুরূপ সামরিক সাহায্য লাভ করতে পারেন নি।

আমীরে মুআবিয়া (রা)-এর অবস্থা ছিল এর সম্পূর্ণ বিপরীত। যদিও শুধুমাত্র সিরিয়া প্রদেশের উপর তার আধিপত্য ছিল, কিন্তু সমগ্র দেশ ছিল তাঁর সমমতাবলম্বী। এজন্য সমগ্র দেশেই তার একটা গ্রহণযোগ্যতা ছিল। হযরত আলী (রা)-এর বিরুদ্ধে তাঁকে শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে, এ বিশ্বাস তার প্রথম থেকেই ছিল। এ প্রেক্ষিতে তিনি সর্বপ্রথম যে কর্মপন্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন তা হলো মিসরের দিক থেকে সিরিয়া, আক্রমণের সম্ভাবনা দূর করা। মুআবিয়া (রা) কায়স ইব্‌ন সা‘দ (রা)-এর শক্তি ও যোগ্যতায় প্রভাবিত ছিলেন। এটাকে আমীরে মুআবিয়ার সৌভাগ্যই বলতে হবে যে, হঠাৎ এমন একটি কারণ সৃষ্টি হয়ে গেল, যার ফলে তার সংকল্প ও মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়ে গেল। আমীরে মুআবিয়া (রা) কায়সকে এই মর্মে পত্র লিখলেন : হযরত উসমান (রা)-কে অন্যায়ভাবে শহীদ করা হয়েছে। অতএব তার কিসাসের দাবীতে আমাকে আপনার সহযোগিতা করা উচিত। কায়স উত্তরে লিখেন : আমি যতটুকু জানি, আলী (রা) উসমান হত্যা ষড়যন্ত্রে মোটেই শরীক ছিলেন না। তার হাতে যখনি লোকেরা বায়‘আত করে ফেলেছে এবং তিনি খলীফার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে গেছেন তখন তার মুকাবিলা বা বিরোধিতা করা আপনার উচিত হবে না। এই সোজা উত্তর পাওয়ার পর আমীরে মুআবিয়ার করণীয় হলো আলী (রা)-এর মুখোমুখি হওয়ার পূর্বেই সর্বশক্তি নিয়োগ করে মিসর আক্রমণ করে কায়সের দিক থেকে আগত সম্ভাব্য বিপদ দূরীভূত করা, এরপর আলী (রা)-এর হামলা প্রতিরোধ করা। কিন্তু এই কাজ ছিল নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা মিসরে যুদ্ধ যদি কিছুটা প্রলম্বিত হয়ে যায় এবং আমীরে মুআবিয়া (রা) সেখান থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে না পারেন তাহলে সমগ্র সিরিয়া আলী (রা)-এর দখলে চলে যাবে এবং আমীরে মুআবিয়ার প্রাণ নিয়ে পালাবারও কোন পথ থাকবে না। অপরদিকে কায়স ইব্‌ন সা‘দ ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলেন যতক্ষণ না হযরত আলী (রা)-এর আক্রমণের খবর এসে পৌঁছে। তার পরিকল্পনা ছিল, ঐ খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনি মিসরের দিক থেকে আমীরে মুআবিয়ার উপর আক্রমণ করে তাঁকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করবেন।

ইতিমধ্যে কায়সের একটি চিঠি আলী (রা)-এর কাছে কূফায় গিয়ে পৌঁছে। তিনি তাতে লিখেছিলেন, মিসরের অভ্যন্তরে বহু লোক এখনো নিরপেক্ষ আছে। আমি তাদেরকে সে অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছি এবং তাদের উপর কোনরূপ পীড়াপীড়ি করা সমীচীন মনে করিনি। তখন হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন জা‘ফর আলী (রা)-কে এই মর্মে পরামর্শ দেন যে, ঐ নিরপেক্ষ লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং তাদের বায়‘আত করতে বাধ্য করার জন্য কায়সকে নির্দেশ দেওয়া উচিত। কেননা এভাবে নীরবে বসে থাকতে দেওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। অতএব কায়সের কাছে এ নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হল। তিনি আলী (রা)-এর এই নির্দেশ পালন অপ্রয়োজনীয় এমন কি ক্ষতি বলে বিবেচনা করে তাকে পুনরায় লিখলেন, ঐ সমস্ত লোকেরা এখন নীরব রয়েছে, তারা আপনার জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হলে তারা সবাই আপনার শত্রুদের সাথে গিয়ে মিলিত হবে এবং তখন তারা আপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে। অতএব তাদেরকে এই অবস্থায়ই ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু এই পত্র প্রাপ্তির পর হযরত আলীর দূতেরা অত্যন্ত জোর দিয়ে বলল যে, কায়স নিশ্চয়ই গোপনে আমীরে মুআবিয়ার সাথে ষড়যন্ত্র করছেন। আলী (রা) তাদের এ কথা বিশ্বাস করতে ইতস্তত করছিলেন। কেননা তিনি কায়সকে মিসরের জন্য অপরিহার্য মনে করতেন। আমীরে মুআবিয়া জানতে পারলেন যে, কায়সের ভূমিকা সম্পর্কে হযরত আলী (রা)-এর দরবারে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে, তখন তিনি নিজ দরবারে প্রকাশ্যভাবে তার প্রশংসা করতে থাকেন এবং সকলের কাছে বলতে শুরু করেন যে, কায়স হচ্ছে আমার পক্ষের লোক। আমি সব সময় তার চিঠিপত্র পেয়ে থাকি। তিনি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সম্পর্কে আমাকে সব সময় অবহিত করেন। কখনো কখনো তিনি জনসমাবেশে এও বলেন যে, যারা মিসরে উসমান (রা) হত্যার কিসাস দাবী করছে কায়স তাদের যথার্থ সম্মান ও মর্যাদা এবং অনেক বড় বড় উপহার-উপঢৌকন প্রদান করেছেন। দামিশকে অবস্থানরত হযরত আলী (রা)-এর গুপ্তচররা আমীরে মুআবিয়ার ঐ সমস্ত কথাবার্তা সম্পর্কে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করে এবং তারই ফলশ্রুতিতে আলী (রা) কায়সকে পদচ্যুত করে মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা)-কে মিসরের গভর্নর নিয়োগ করেন। মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর মিসরে পৌঁছে কায়সকে তাঁর পদচ্যুতি ও নিজের নিয়োগপত্র দেখালে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত হন এবং মিসর থেকে সোজা মদীনা অভিমুখে যাত্রা করেন।

আলী (রা)-এর মদীনা থেকে চলে আসার পর সেখানে কারোরই শাসন-কর্তৃত্ব ছিল না। সেখানে এমন লোকও ছিলেন, যারা তাঁর খিলাফতকে ন্যায়ানুগ বলে স্বীকার করতেন এবং তাঁর প্রত্যেকটি হুকুম অবশ্য পালনীয় মনে করতেন। আর এ ধরনের লোকের সংখ্যাও ছিল প্রচুর যারা উসমান (রা)-এর হত্যাকারীদের থেকে কিসাস গ্রহণ না করার কারণে খুবই অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন এবং এ ব্যাপারে আলী (রা)-এর বিলম্ব ও উপেক্ষাকে অত্যন্ত আপত্তির চোখে দেখতেন। তারা তাকে অভিযুক্ত করার ব্যাপারেও ছিলেন দ্বিধাহীন। কায়স ইব্‌ন সা‘দ মদীনায় পৌঁছলে আমীরে মুআবিয়া প্রায় সাথে সাথেই মারওয়ানকে এই বলে মদীনায় প্রেরণ করেন যে, যেভাবেই হোক কায়সকে বুঝিয়ে সঙ্গে করে সিরিয়ায় নিয়ে আস। মারওয়ান প্রথম প্রথম কায়সকে বোঝান। এতে কোন ফলোদয় না হলে মারওয়ান তাকে এমনভাবে বিরক্ত শুরু করে যে, তিনি তা সহ্য করতে না পেরে মদীনা থেকে সোজা কূফায় হযরত আলীর কাছে চলে যান। তিনি তার সাথে সাক্ষাৎ করে যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। এতে আলী (রা) নিশ্চিত হয়ে তাকে আপন সভাসদ হিসাবে গ্রহণ করেন। মুআবিয়া (রা) এ খবর পেয়ে মারওয়ানকে লিখেন, তুমি যদি এক লক্ষ বীরযোদ্ধার একটি বাহিনী দিয়ে আলী (রা)-কে সাহায্য করতে তবে সেটাও কায়সের তার কাছে চলে যাওয়া থেকে ছিল অধিক শ্রেয়।

মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর মিসরে পৌঁছে নিরপেক্ষ লোকদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিলেন : হয় তোমরা আমার বশ্যতা স্বীকার কর এবং আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী (রা)-এর বায়‘আতের অন্তর্ভুক্ত হও, অন্যথায় আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যাও। তারা বলল, আমাদের সাথে যুদ্ধ বা আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করার ব্যাপারে তাড়াহুড়া করবেন না। অন্তত কিছুদিন অবকাশ দিন, যাতে আমরা আমাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে পারি। কিন্তু মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর বললেন, তোমাদের কোন মতেই অবকাশ দেওয়া যেতে পারে না। আর নবাগত গভর্নরের এই জবাব শুনে তড়িৎ গতিতে নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এবং তাকে প্রতিরোধের জন্যও যথার্থ প্রস্তুতি নেয়। ফলে মুহাম্মদ নিজে তার সৃষ্ট এই সমস্যায় এমনভাবে জড়িয়ে পড়েন যে, সিফফীন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাতে নিমজ্জিত থাকেন। অপর দিকে আমীরে মুআবিয়া মিসরের দিক থেকে একেবারে নিশ্চিত হয়ে সিফফীন যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন