hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৩৮
গুণাবলী ও প্রকৃষ্টতা
লজ্জা ও শালীনতার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সবিশেষ মর্যাদার অধিকারী। হযরত যায়দ (রা) ইব্‌ন সাবিত (রা) থেকে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হযরত উসমান আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় একজন ফেরেশতা আমাকে বললেন, তাকে দেখলে আমি লজ্জায় কুঞ্চিত হয়ে পড়ি। কেননা, তাঁকে তাঁর জাতির লোকেরাই হত্যা করবে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেভাবে উসমান মহান আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-কে লজ্জা (সমীহ) করেন ফেরেশতাগণও তাকে তেমনি লজ্জা (সমীহ) করেন। হযরত ইমাম হাসান (রা)-এর কাছে উসমান গনী (রা)-এর লজ্জার (শালীনতার) কথা উঠলে তিনি বলেন, হযরত উসমান গনি (রা) কখনো গোসল করতে গেলে গোসলখানার দরজা বন্ধ করা সত্ত্বেও পরিধেয় বস্ত্র খুলতে গিয়ে এতবেশী লজ্জাবোধ করতেন যে, শিরদাড়া সোজা করতে পারতেন না। তিনি ‘ঘূ-হিজরাতায়ন’ বা ‘জোড় মুহাজির’ ছিলেন। অর্থাৎ তিনি প্রথম আবিসিনিয়া, তারপর মদীনা তাইয়িবাতে হিজরত করেন। আকার-আকৃতি ও স্বভাব-প্রকৃতিতে হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সাথে তাঁর অনেক মিল ছিল। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নবুওয়াত প্রকাশিত হবার পূর্বেই তিনি আপন কন্যা রুকাইয়াহ্ (রা)-কে তাঁর সাথে বিবাহ দেন। বদর যুদ্ধের দিন হযরত রুকাইয়া (রা) ইনতিকাল করেন। তারপর হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তার অপর কন্যা হযরত উম্মে কুলছুম (রা)-কে তার সাথে বিবাহ দেন। এ কারণে তিনি ‘যুননূরাইন’ (দুই আলোর অধিকারী) উপাধিতে ভূষিত হন। হযরত কুলছুম (রা)-ও হিজরী ৯ সনে ইনতিকাল করেন। পৃথিবীতে হযরত উসমান গনী (রা) ব্যতীত দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি নেই, যিনি কোন নবীর দু’কন্যা পরপর বিবাহ করেছেন। হজ্জের ইবাদত ও অনুষ্ঠানসমূহ তিনি সবচাইতে ভাল জানতেন। এ ক্ষেত্রে হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা) ছিলেন দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী। হযরত উসমান গনী (রা) ছিলেন চতুর্থ মুসলিম অর্থাৎ তার পূর্বে মাত্র তিন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

হযরত উসমান গনী (রা) হযরত আবূ বকর (রা)-এর তাবলীগ বা প্রচারের ফলে মুসলমান হয়েছিলেন। সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে তিনি যেমন প্রভূত ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন, তেমনি ছিলেন সর্বাধিক বদান্য ও মহান আল্লাহর পথে বড় দানশীল। তিনি হযরত রুকাইয়া (রা)-এর কঠিন অসুখের কারণে বদর যুদ্ধে শরীক হতে পারেন নি। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর অনুমোদন ও নির্দেশক্রমে তিনি মদীনা শরীফে রয়ে গিয়েছিলেন। তাই বদর যুদ্ধের মালে গনীমতের অংশ তিনি সেই পরিমাণই পেয়েছিলেন যা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন মুজাহিদের ভাগে পড়েছিল। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছিলেন, উসমান ‘আসহাব-ই-বদরের’ (বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী) অন্তর্ভুক্ত।

ইবাদতে গভীর নিমগ্নতার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে তাঁর বিশেষ খ্যাতি ছিল। তিনি সারারাত নামাযে দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং বছরের পর বছর রোযা রাখতেন। মসজিদে নববীর পার্শ্বস্থিত কিছু জমি তিনি নিজস্ব অর্থ দ্বারা ‘আযওয়াজে মুতাহ্‌হারাত’ [হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সহধর্মিণীবৃন্দ]-এর জন্য খরিদ করে দিয়েছিলেন।

এক সময় মদীনা তাইয়িবাতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি অভাবগ্রস্ত সকল লোকের আহার্যের ব্যবস্থা করেন। মুসলমানগণ যখন মদীনা শরীফে আসেন তখন পানির খুব অভাব ছিল। জনৈক ইয়াহূদীর একটি কুয়া ছিল। সে ঐ কুয়ার পানি অত্যন্ত চড়া দামে বিক্রি করত। হযরত উসমান (রা) পঁয়ত্রিশ হাজার দিরহাম দিয়ে ইয়াহূদীর কাছ থেকে ঐ কুয়াটি খরিদ করে জনসাধারণের জন্য ‘ওয়াক্‌ফ’ (উৎসর্গ করেছেন। তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেন নি। ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি প্রতি সপ্তাহে একটি ক্রীতদাস খরিদ করে আযাদ (মুক্ত) করে দিতেন। তিনি তাঁর বিত্তবৈভব নিয়ে কখনো অহংকার করেন নি। জাহিলিয়ার যুগেও তিনি কখনও মদ পান করেন নি। তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ও সতর্কতার সাথে হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর হাদীস বর্ণনা করতেন। তাবূক যুদ্ধ উপলক্ষে তিনি সাড়ে ছয়শ’ উট ও পঞ্চাশটি ঘোড়া মহান আল্লাহর রাহে দান করেছিলেন। জাহিলিয়া যুগেও তিনি মক্কা মুকাররমার উমরা তথা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের মধ্যে পরিগণিত হতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন