hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩১৯
খ্রিস্টানদের জন্য নিরাপত্তা সনদ
হযরত ফারূকে আযম (রা) জাবিয়াহ্ নামক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করেন। সেখানেই বায়তুল মুকাদ্দাসের নেতৃবর্গ তার সাথে মিলিত হন এবং তিনি তাদের জন্য নিম্নবর্ণিত নিরাপত্তা সনদ লিখে দেন।

এ হলো সেই নিরাপত্তা সনদ, যা আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ফারুক (রা) ইলিয়াবাসীদের জন্য প্রদান করছেন। তার মাধ্যমে ইলিয়াবাসীদের জান, মাল, গির্জা, ক্রশ সবকিছুকে এবং সুস্থ-অসুস্থ সকল মানুষকে নিরাপত্তা প্রদান করা হলো। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীকেও নিরাপত্তা প্রদান করা হলো। ঐ সমস্ত গির্জাকে আবাসস্থলে পরিণত করা হবে না, ধ্বংস করা হবে না, এমন কি সেগুলোর সীমানা প্রাচীরও নষ্ট করা হবে না। ধর্মীয় ব্যাপারে কোনরূপ বাড়াবাড়ি করা যাবে না এবং কেউ কারো ক্ষতি করতে পারবে না। ইলিয়ায় ওদের (খ্রিস্টানদের) সাথে ইয়াহূদীরা থাকতে পারবে না। ইলিয়াবাসীদের কর্তব্য হলো, জিযিয়া প্রদান করা এবং গ্রীকদেরকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া। তবে গ্রীক তথা রোমানদের মধ্য থেকে যারা শহর ছেড়ে চলে যাবে, তাদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে, যতক্ষণ না তারা একটা নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যায়। যদি কোন রোমান ইলিয়ায় থাকা পছন্দ করে তাহলে তাকে শহরের অন্যান্য নাগরিকদের মত জিযিয়া দিতে হবে। আর যদি ইলিয়াবাসীদের কেউ রোমানদের সাথে চলে যেতে চায়, তাহলে তারও নিরাপত্তা প্রদান করা হবে, যতক্ষণ না সে একটা নিরাপদ স্থানে পৌঁছে। যা কিছু এ নিরাপত্তা সনদে লিপিবদ্ধ করা হলো, তার দায়-দায়িত্ব মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসূল, খুলাফায়ে রাশিদীন এবং সমগ্র মুসলমানগণের উপর বর্তাবে, তবে তা এ শর্তে যে, ইলিয়াবাসীরা নির্ধারিত জিযিয়া পরিশোধ করতে কখনো অস্বীকার করবে না।

ঐ নিরাপত্তা সনদের উপর সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা), হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা), আবদুর রহমান ইব্‌ন আউফ (রা) ও মুআবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা)। বায়তুল-মুকাদ্দাসবাসীরা অবিলম্বে জিযিয়া প্রদান করে শহরের দরজা খুলে দেয়। এভাবে রামাল্লাহ্‌বাসীরাও চুক্তির মাধ্যমে তাদের শহরটি মুসলমানদের হাতে সোপর্দ করে। হযরত ফারূকে আযম (রা) খালি পায়ে বায়তুল-মুকাদ্দাসে প্রবেশ করেন। তিনি সর্বপ্রথম মসজিদে আকসায় যান। মিহরাবে দাউদে পৌঁছে সিজদা-ই-দাউদের আয়াত পড়ে সিজদা করেন। তারপর খ্রিস্টানদের গির্জায় যান এবং তা পরিদর্শন করে ফিরে আসেন। বায়তুল-মুকাদ্দাস জয়ের পর হযরত ফারূকে আযম (রা) ফিলিস্তীন প্রদেশকে দু’ভাগে বিভক্ত করে এক ভাগের উপর হযরত আলকামা ইব্‌ন হাকীম (রা)-কে কর্মকর্তা নিয়োগ করেন এবং তাকে রামাল্লায় অবস্থানের নির্দেশ দেন। অপর ভাগের কর্মকর্তা নিয়োগ করেন হযরত আলকামা ইব্‌ন মুহরিয (রা)-কে এবং তাকে বায়তুল-মুকাদ্দাসে অবস্থানের নির্দেশ দেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন