hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৯৭
আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির ও হাসান ইব্‌ন আলীর কূফা যাত্রা
আশতার ও ইব্‌ন আব্বাস ফিরে আসার পর আলী (রা) আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির এবং আপন পুত্র হাসান (রা)-কে কূফা প্রেরণ করেন। তাঁহার উভয়ের আগমন সংবাদ শুনে হযরত আবূ মূসা কূফা মসজিদে আসেন। তিনি হাসান ইব্‌ন আলী (রা)-এর সাথে গলাগলি করেন এবং আম্মার ইব্‌ন ইয়াসিরকে সম্বোধন করে বলেন, তুমি হযরত উসমান গনী (রা)-কে কোন সাহায্য কর নি, বরং দুষ্কৃতিকারীদের সাথে মিশে গিয়েছিলে। আম্মার উত্তরে বলেন, আমি তা করিনি। হযরত হাসান বলেন, লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের সাথে কোন পরামর্শ করেনি। আর এখন লোকদের সংশোধন করা ছাড়া আমাদের কোন উদ্দেশ্য নেই। আর আমীরুল মু’মিনীন (রা) উম্মতের সংশোধনমূলক কাজের ক্ষেত্রে কাউকেই ভয় করেন না। আবূ মূসা অত্যন্ত শিষ্টতার সাথে উত্তর দেন, আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গ হোন, আপনি সত্যি কথাই বলেছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যে বলেছেন, শীঘ্রই ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। আর ঐ অবস্থায় উপবিষ্ট ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তির চাইতে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হবে। তাছাড়া মুসলমান মাত্রই পরস্পর ভাই ভাই। তাদেরকে হত্যা করা এবং তাদের ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করা হারাম। আবূ মূসার ঐ সমস্ত কথায় আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা) এতই বিরক্ত হন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত তাকে গালি দিয়ে বসেন। আবূ মূসা গালি শুনে চুপ হয়ে যান। কিন্তু উপস্থিত লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ এর প্রত্যুত্তর দেয়। এরপর কথায় কথা বাড়ে এবং লোকেরা আম্মারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন আবূ মূসাই আম্মারকে রক্ষা করেন।

ঐ সময়ে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা (রা) বসরা থেকে কূফাবাসীদের কাছে পত্রাদি পাঠান। সেগুলোতে তিনি লিখেছিলেন, এই মুহূর্তে তোমরা কাউকে সাহায্য করো না, বরং নিজ নিজ ঘরে চুপচাপ বসে থাক অথবা আমাদের সাহায্য কর। আমরা উসমান হত্যার প্রতিশোধ নিতে বের হয়েছি। এ বৈঠকেই যায়দ ইব্‌ন সূহান মসজিদের মধ্যে দাঁড়িয়ে হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-এর একটি পত্র সবাইকে পড়ে শোনায়। এজন্য সিবত ইব্‌ন রিবঈ তাকে গালি দিয়ে বসে। ফলে উপস্থিত লোকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। লোকেরা প্রকাশ্যে হযরত উম্মুল মু‘মিনীনকে সমর্থন করতে থাকে। আবূ মূসা (রা) উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছিলেন এবং বলছিলেন, ফিতনা প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা ঘরে বসে থাক, আমার আনুগত্য কর, আরবের টিলাসমূহের মতো এক একটি টিলায় পরিণত হও যাতে মজলুমরা তোমাদের ছায়ায় এসে আশ্রয় নেয়। তোমাদের বর্শার অগ্রভাগ নত করে ফেল এবং নিজ নিজ তরবারি খাপে ভরে নাও।

এসব কথা শোনার সাথে সাথে যায়দ ইব্‌ন সূহান আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী (রা)-এর সাহায্যের জন্য সকলকে অনুপ্রাণিত করতে থাকেন এবং একের পর এক কয়েক ব্যক্তি তার বক্তব্য সমর্থন করেন। অতঃপর আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির বলেন, লোক সকল! হযরত আলী (রা) তোমাদেরকে ন্যায় ও সত্যের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তোমরা উঠ এবং তাঁর বাহিনীতে যোগদান কর। তারপর হযরত হাসান ইব্‌ন আলী (রা) বলেন, লোক সকল! আমাদের আহ্বানও গ্রহণ কর, আমাদের আনুগত্য কর এবং যে বিপদে তোমরা ও আমরা পতিত হয়েছি তা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আমাদেরকে সাহায্য কর। আমীরুল মু’মিনীন বলেছেন, যদি আমরা মজলুম হই তাহলে তোমরা আমাদেরকে সাহায্য কর, আর যদি আমরা জালিম হই তাহলে তোমরা আমাদের থেকে যাবতীয় অধিকার কেড়ে নাও। তিনি এও বলেছেন, সর্বপ্রথম তালহা ও যুবায়রই আমার হাতে বায়‘আত করেছেন, অথচ সর্বপ্রথম তারাই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন। হযরত হাসান ইব্‌ন আলীর বক্তৃতা জনসাধারণকে খুব প্রভাবিত করে এবং তারা হযরত আলীকে সমর্থনের কথা জানায়। আলী (রা) আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির এবং হাসানকে প্রেরণের পর পর আশতারকেও কূফায় প্রেরণ করেন। আশতার ঠিক সেই মুহূর্তে কূফায় গিয়ে পৌঁছে যখন হাসান ইব্‌ন আলী (রা) বক্তৃতা করছিলেন। আশতারের উপস্থিতির কারণে বিষয়টি আরো গুরুত্ব পায়। ফলে আবূ মূসা আশারীর কথা আর কেউ শুনেনি। এতদসত্ত্বেও তিনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই অভিমতই ব্যক্ত করছিলেন যে, নির্জনবাস গ্রহণ কর এবং পক্ষপাতিত্ব ত্যাগ কর। মালিক আশতার কূফায় পৌঁছে বিভিন্ন গোত্রকে উদ্বুদ্ধ করার ব্যাপারে অত্যন্ত কৃতিত্বের পরিচয় দেন। উপরন্তু তিনি আবূ মূসা আশআরীকে গভর্নর ভবন খালি করে দিতে বলেন।

যাহোক, হাসান (রা), আম্মার (রা) ও আশতার কূফা থেকে নয় হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে রওয়ানা হন। কূফাবাসীদের এই বাহিনী ‘যীকার’ নামক স্থানের নিকটবর্তী হলে হযরত আলী তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি তাদেরকে সম্বোধন করে বলেন, “হে কূফাবাসী! আমরা তোমাদের কষ্ট দিচ্ছি। তোমরাও আমাদের সাথে মিলে বসরাবাসীদের মুকাবিলা করবে। যদি তারা তাদের সংকল্প ত্যাগ করে তাহলে তো এর চাইতে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। আর যদি তারা তাদের সংকল্পে অটল থাকে তাহলেও আমরা তাদের সাথে নম্র আচরণ করব যাতে আমাদের পক্ষ থেকে জুলুম বাড়াবাড়ির সূচনা না হয়। যে কাজেই ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবে আমরা তা সংশোধন না করে ছাড়বো না। এই সমস্ত কথা শোনার উপর কূফাবাসীরাও আলী (রা)-এর যীকার নামক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে। পরদিন আলী (রা) কা‘কা‘ ইব্‌ন আমর (রা)-কে বসরা প্রেরণ করেন। এই যীকার নামক স্থানেই বিখ্যাত তাবিঈ হযরত উয়ায়স আল কারনী (রহ) আলী (রা)-এর হাতে বায়‘আত হন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন