hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪১১
সিফফীন যুদ্ধের এক সপ্তাহ
হিজরী ৩৭ সনের মুহাররম মাসের শেষ দিনে আলী (রা) আপন বাহিনীকে সাধারণভাবে জানিয়ে দেন যে, আগামীকাল অর্থাৎ ১লা সফর থেকে চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হবে। তিনি এ ঘোষণাও দেন যে, আমাদের প্রতিপক্ষ যখন পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করবে তখন না তাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে, আর না তাদের হত্যা করা হবে। আহতদের সম্পদ লুট করা যাবে না। কোন লাশ বিকৃত করা চলবে না। স্ত্রী লোকেরা গালি-গালাজ করলেও তাদের উপর কোনরূপ বাড়াবাড়ি করা চলবে না। মুআবিয়া (রা)-ও অনুরূপ নির্দেশ তার বাহিনীর মধ্যে জারি করেন। ১লা সফর ভোরবেলা যুদ্ধ শুরু হয়। ঐ দিন কূফাবাসীরা আশতারের নেতৃত্বে এবং সিরিয়াবাসীরা হাবীব ইব্‌ন মাসলামার নেতৃত্বে পরস্পরের মুকাবিলা করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরাম যুদ্ধ চলে। কিন্তু জয়-পরাজয়ের কোন ফায়সালা হয়নি। দ্বিতীয় দিন আলী (রা)-এর পক্ষ থেকে হাশিম ইব্‌ন উতবা অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে বের হন। সিরিয়াবাসীদের পক্ষ থেকে আবুল আওয়ার সুলামী তার মুকাবিলা করেন। ঐ দিনও সন্ধ্যা পর্যন্ত ভয়ানক যুদ্ধ চলে। কিন্তু চূড়ান্ত ফায়সালা হয়নি। তৃতীয় দিন আলী (রা)-এর পক্ষ থেকে আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা) এবং মুআবিয়া (রা)-এর পক্ষ থেকে আমর ইবনুল ‘আস (রা) স্ব-স্ব বাহিনী নিয়ে বের হন। এ দিনকার যুদ্ধ ছিল প্রথম দুদিনের যুদ্ধের চাইতেও ভয়ংকর। আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা) সন্ধ্যার খানিক পূর্বে এমন জোরদার হামলা চালান যে, আমর ইবনুল ‘আস (রা)-কে কিছুটা পিছনে হটে যেতে হয়। শেষ পর্যন্ত ঐদিনও কোন ফায়সালা হল না। চতুর্থ দিন মুআবিয়া (রা)-এর পক্ষ থেকে উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা) এবং আলী (রা)-এর পক্ষ থেকে তাঁর পুত্র মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতরণ করেন। ঐ দিনও ভয়ানক যুদ্ধ হয়। যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল তখন উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা) তার বাহিনী থেকে পৃথক হয়ে মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়াকে এককভাবে তার সাথে মুকাবিলা করার আহ্বান জানান। সঙ্গে সঙ্গে মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া উচ্ছ্বাসবশে তার দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু আলী (রা) তৎক্ষণাৎ ঘোড়া ছুটিয়ে তার কাছে যান এবং তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। তারপর উবায়দুল্লাহ ইব্‌ন উমর সিরীয় বাহিনীর দিকে ফিরে যান। পঞ্চম দিনে আলী (রা)-এর পক্ষ থেকে ওয়ালীদ ইব্‌ন উত্‌বা বের হন এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রক্তাক্ত যুদ্ধ চলে। ষষ্ঠ দিনে এদিক থেকে মালিক আশতার এবং ওদিক থেকে হাবীব ইব্‌ন মাসলামা দ্বিতীয়বারের মত যুদ্ধক্ষেত্রে অবতরণ করেন। ঐদিনও সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরতর যুদ্ধ চলে; কিন্তু জয়-পরাজয়ের কোন ফায়সালা হয়নি। সপ্তম দিনে স্বয়ং হযরত আলী (রা) ও মুআবিয়া (রা) নিজ নিজ বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। ঐ দিনের যুদ্ধ ছিল পূর্বের দিনগুলোর চাইতে আরো ভয়ংকর। তবে আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই ছিল সমানে সমান।

এই সাতদিনের যুদ্ধকালে প্রতি দিনই উভয় পক্ষ থেকে নতুন নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত হতেন এবং উভয়েই নিজ নিজ বীরত্ব ও যোগ্যতা প্রদর্শন করতেন। যেহেতু উভয় বাহিনীরই সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় সমান (নব্বই হাজার ও আশি হাজার) এবং উভয় বাহিনীতেই বীরত্ব ও রণকৌশলের অধিকারী লোকের সংখ্যাও ছিল সম-পরিমাণ তাই তাদের কেউ জয়ী হয়নি, আবার পরাজিতও হয়নি। উভয় পক্ষ থেকেই একথা প্রকাশ পেতে থাকে যে, তাদের মধ্যে যুদ্ধ করার বা বীরত্ব প্রদর্শনের যথেষ্ট আগ্রহ-উদ্দীপনা বিদ্যমান। এ সপ্তাহটি ছিল মুসলমানদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কেননা এতে উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনাবশে তারা অনরবত একে অন্যের রক্ত ঝরাচ্ছিল। আর অমুসলিমরা অত্যন্ত শান্তি ও স্বস্তির সাথে তামাশা দেখছিল। কিন্তু এর চাইতেও দুর্ভাগ্যজনক আরো দু’টি দিন ছিল সমাগত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন