hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৯৭
কসকর বিজয়
নারসী ত্রিশ হাজার সৈন্য নিয়ে পূর্ব থেকেই কসকরে অবস্থান করছিলেন। এবার জাবান এবং তার পরাজিত বাহিনীও তার সাথে গিয়ে মিলিত হয়। ইরানের রাজদরবারে যখন জাবানের পরাজয়ের সংবাদ গিয়ে পৌঁছল, তখন রুস্তম জালীনূস নামক জনৈক সেনাপতির অধীনে নারসীর সাহায্যার্থে এক বিশাল বাহিনী কসকরের দিকে প্রেরণ করেন। কিন্তু জালীনূস সেখানে পৌঁছার পূর্বেই হযরত আবূ উবায়দ ইব্‌ন মাসঊদ সাকাফী (রা) সাকাতিয়া’র ঢালু ভূমিতে নারসীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। নারসীর সাথে রাজপরিবারের আরো দু’জন উপসেনাপতি ছিলেন। এ রাজকুমাররা তাদের বাহিনীর মধ্যবর্তী এবং ডান ও বাম পার্শ্বস্থ সেনাদলের পরিচালনার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে মুসলিম বাহিনীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করেন। মুসলিম বাহিনীর মধ্যবর্তী সেনাদল পরিচালনার দায়িত্ব হযরত আবূ উবায়দ (রা) স্বহস্তে গ্রহণ করেছিলেন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবায়দ (রা)-এর উপর ডান পার্শ্ববর্তী সেনাদলের এবং হযরত মুছান্না ইব্‌ন হারিছা (রা) উপর ‘মুকাদ্দামাতুল জায়শ’ তথা অগ্রবর্তী বাহিনীর পরিচালনাভার ন্যস্ত করা হয়েছিল। অত্যন্ত জোরেশোরে লড়াই শুরু হয়। হযরত মুছান্না ইব্‌ন হারিছা (রা) যখন দেখেন যে, লড়াই দীর্ঘায়িত হতে চলেছে তখন তিনি আপন সেনাদলকে পৃথক করে নিয়ে চার ক্রোশ আয়তনের একটি চক্কর কেটে ইরানী বাহিনীর পশ্চাৎদিক দিয়ে তাদের উপর হামলা চালান। সেনাপতি নারসী এ অপ্রত্যাশিত আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সেদিকে আপন বাহিনীর একটি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবায়দ (রা) বীরবিক্রমে শত্রু বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং আগে বেড়ে একেবারে নারসীর মাথার উপর পৌঁছে যান। হযরত আবূ উবায়দ (রা) ও শত্রুবাহিনীর সারির উপর সারি বিদীর্ণ করে ইরানী সেনা সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে মুসলমানগণ ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি তুলে দ্বিগুণ উৎসাহে শত্রুবাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে ইরানী বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করতে শুরু করে। নারসী হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবায়দ (রা)-এর মুকাবিলায় টিকতে না পেরে প্রাণ নিয়ে পলায়ন করেন। তার পলায়নের সাথে সাথে তার সমগ্র বাহিনীও পলায়ন করতে থাকে। হযরত মুছান্না (রা) তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেন এবং বাকী সৈন্যরা বন্দীদেরকে সামলে নিয়ে ইরানীদের তাঁবু এবং বাজারসমূহ দখল করে নেয়। তারপর হযরত আবূ উবায়দ (রা), হযরত মুছান্না (রা), হযরত আসিম (রা) এবং হযরত সালীত (রা)-কে এক এক বাহিনীর সৈনাপতি নিযুক্ত করে আশেপাশের ঐ সমস্ত এলাকায় প্রেরণ করেন যেখানে ইরানী সৈন্যরা অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এ সেনাপতিগণ প্রত্যেক স্থানে বিজয় লাভ করে সমগ্র সাওয়াদ এলাকা মুসলমানগণের অধীনে নিয়ে আসেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন