hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৫২
হযরত আবূ যর গিফারী (রা)-এর ঘটনা
ঘটনাটি হিজরী ৩০ সনের। হযরত আবূ যর গিফারী (রা) হযরত মুআবিয়া (রা)-এর অধীনে সিরিয়ার একজন সরকারী কর্মচারী ছিলেন। পবিত্র কুরআনের এক আয়াতের অর্থ ও ব্যাখ্যা নিয়ে হযরত মুআবিয়া (রা)-এর সাথে তার বিরোধ বাঁধে।

আয়াত কারীমা হলো–

وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ .

যারা সোনা ও রূপা জমা করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদের অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ দাও। (৯:৩৪)

হযরত আবূ যর গিফারী (রা)-এর মতে আল্লাহর পথে খরচ না করে অযথা সম্পদ জমা করে রাখা মোটেই বৈধ নয়। আর হযরত আমীরে মুআবিয়া (রা)-এর মতে, মহান আল্লাহর পথে খরচ করার অর্থ মালের যাকাত প্রদান করা। কাজেই যে মালের যাকাত প্রদান করা হয়, তা জমা করে রাখা অবৈধ নয়। যদি শর্তহীনভাবে মাল জমা করে রাখা গুনাহর কাজ হত, তাহলে পবিত্র কুরআনে পরিত্যক্ত মাল বন্টন এবং উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য অংশের কোন উল্লেখ থাকত না। হযরত আবূ যর গিফারী (রা)-এর উপরোক্ত মতাদর্শের কথা জানাজানি হবার পর স্থানীয় জনগণ বিশেষ করে যুবক কিশোররা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা শুরু করে। হযরত আবূ যর (রা)-ও দমবার পাত্র ছিলেন না। তিনিও বেপরোয়া হয়ে তার মতাদর্শ প্রচারে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। অবস্থা শেষ পর্যন্ত এ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যে, হযরত আমীরে মুআবিয়া (রা) হযরত উসমান গনী (রা)-কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। তখন হযরত উসমান গনী (রা) এ মর্মে নির্দেশ পাঠান যে, হযরত আবূ যর (রা)-কে অত্যন্ত সম্মানের সাথে মদীনা তাইয়িবাতে পাঠিয়ে দাও। মদীনা তাইয়িবাতে এসেও হযরত আবূ যর (রা) তার মতাদর্শ প্রচার করতে থাকেন। যেহেতু তিনি গোঁড়া মেজাযের লোক ছিলেন, তাই জনগণ সাধারণত তাঁকে উপেক্ষা করেই চলত। কিন্তু মদীনা তাইয়িবাতেও তো অল্প বয়স্কও ঠাট্টা-তামাশা করার মত লোক ছিল। তারা মাঝে মাঝে তাকে ক্ষেপিয়ে তুলত। ঘটনাচক্রে ঐ সময়ই হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা)-এর ওফাত হয়। তিনি অত্যন্ত সম্পদশালী এবং জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজনের অন্যতম ছিলেন। কেউ না কেউ হযরত আবূ যর (রা)-কে বললো, আবদুর রহমান তো বিরাট পরিমাণ মাল-সম্পদ রেখে গেছেন। আপনি তাঁর সম্পর্কে কি বলেন? হযরত আবূ যর (রা) নির্দ্বিধায় হযরত আবদুর রহমান (রা)-এর উপর আপন ফতওয়া জারি করেন (অর্থাৎ তিনিও অবৈধ কাজ করেছেন)। হযরত কা‘ব আহবার (রা) তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি হযরত আবূ যর (রা)-এর ঐ ফতওয়ার বিরোধিতা করেন। তখন হযরত আবূ যর (রা) রাগতস্বরে বলে উঠেন, ‘হে ইয়াহূদী! তুই এ সমস্ত বিষয়ের কি জানিস?১ সঙ্গে সঙ্গে লাঠি দ্বারা তিনি হযরত কা‘ব আহার (রা)-কে আক্রমণও করে বসেন। অগত্যা কা‘ব আহবার (রা) সেখান থেকে সোজা হযরত উসমান গনী (রা)-এর দরবারের দিকে ছুটতে থাকেন। হযরত আবূ যর (রা)-ও লাঠি হাতে তার পশ্চাদ্ধাবন করেন। শেষ পর্যন্ত হযরত উসমান গনী (রা)-এর ভৃত্যরা অনেক কষ্টেসৃষ্টে হযরত কা‘ব আহবার (রা)-কে হযরত আবূ যর (রা)-এর হাত থেকে রক্ষা করেন। হযরত আবূ যর (রা)-এর রাগ যখন প্রশমিত হল তখন তিনি নিজেই হযরত উসমান গনী (রা)-এর দরবারে হাযির হয়ে বললেন, আমার আকীদা তো সব ধন-সম্পদই মহান আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। সিরিয়ার লোকেরা আমার এ আকীদার বিরোধিতা করেছে এবং আমাকে কষ্ট দিতে চেয়েছে। এখন মদীনা শরীফের লোকেরাও অনুরূপভাবে আমার বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। আপনিই বলুন, এখন আমি কি করবো এবং কোথায় যাব? হযরত উসমান গনী (রা) তখন তাঁকে পরামর্শ দেন। আপনি মদীনা তাইয়িবার বাইরে কোন পল্লীতে গিয়ে বসবাস করুন। তখন থেকে আবূ যর (রা) মদীনা শরীফ থেকে তিন মাইল দূরবর্তী ‘রাবযাহ’ নামক একটি পল্লীতে গিয়ে বসবাস করতে থাকেন।

────────────────১. হযরত কা‘ব আহবার (রা) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ইয়াহূদী ধর্মাবলম্বী একজন বিরাট আলিম ছিলেন। হযরত উমর (রা)-এর খিলাফতকালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন