hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৬
ব্যক্তি গণতান্ত্রিক সরকার
ইসলাম যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছে এবং যে ব্যবস্থার নমুনা ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে পেশ করেছে তাকে ব্যক্তি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বলা যেতে পারে। একে রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মাঝামাঝি রূপ বলা যেতে পারে। খলীফা নির্বাচনে সর্বস্তরের মুসলমানদের রায় প্রদানের সুযোগ থাকে। যোগ্যতম ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার সম্ভাব্য সকল পন্থাই গ্রহণ করা যেতে পারে-যাতে যোগ্যতম ব্যক্তিটির নির্বাচন সুনিশ্চিত হতে পারে। কোন নতুন শাসনতন্ত্র বা রাষ্ট্রীয় আইন রচনার প্রয়োজনই মুসলমানদের নেই। কেননা কুরআন মজীদ ও সুন্নাতে নববী তাদের কাছে রয়েছে। তাই যোগ্যতম ব্যক্তিকে নির্বাচিত করাও তাদের জন্যে তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। যে ব্যক্তি কুরআন হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এবং তার জীবন কুরআন-হাদীসের রঙে অনুরঞ্জিত তিনিই মুসলমানদের নেতা হওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি। কুরআন হাদীসের শিক্ষার আলোকে জাতি ও রাষ্ট্রকে পরিচালিত করা এবং সমাজ জীবনে আল্লাহ ও রাসূলের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করাই হচ্ছে শাসকের দায়িত্ব। মুসলমান যদি তার নেতাকে বা শাসককে কুরআন-হাদীসের বিরুদ্ধাচরণ করতে দেখে তখনই সে তার ত্রুটি নির্দেশ করতে এবং তাকে রীতিমত বাধা দিতে পারে। কিন্তু তার কুরআন-হাদীসের পরিপন্থী নয় এমন সব বিষয় মেনে চলা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরয। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চিন্তা-ভাবনাও মনে আনা উচিত নয়। মুসলমানদের শাসক যদি কুরআন হাদীসের অনুশাসনের বিরুদ্ধাচরণ করে তবে তৎক্ষণাৎ পদচ্যুত করা যেতে পারে। কিন্তু তিনি যদি তার দায়িত্ব পালনে এবং দেশ ও জাতির সেবায় আল্লাহকে ভয় করে চলেন এবং সদিচ্ছার পরিচয় দেন, তবে তাঁর মত একজন অভিজ্ঞ ও বহুদর্শী, দেশ ও জাতি-হিতৈষী সৎ লোককে কেবল এজন্যে অপসারণ বা পদচ্যুত করা যে, ইতিপূর্বে তার শাসনামলের তিন বা পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে—চরম বোকামী বৈ কিছুই নয়। মুসলমানদের খলীফা প্রকৃতপক্ষে তাদের খাদিম, প্রহরী ও আমানতদার। তিনি যদি তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যেতে পারেন তাহলে কেন অযথা তাঁকে অপসারিত করতে যাবো এবং নবাগত অপর একজনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝামেলায় পড়তে যাবো? মুসলমানরা তাদের খলীফার দ্বারা আইন প্রণয়ন করায় না। মুসলমানরা আপন অর্থে খলীফাকে আয়াসে লিপ্ত হবার সুযোগও দিতে চায় না। মুসলমানদের খলীফা একটি অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে আমীর-উমরা তথা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নিকট থেকে প্রয়োজন অনুসারে ধনসম্পদ উশুল করে গরীব-মিসকীন, ইয়াতীম-অনাথদের ভরণ-পোষণে তা ব্যয় করবেন। মুসলমানদের রাজকোষের সমস্ত অর্থ মুসলিম জনগণের যৌথ মালিকানাধীন আর তা তাদের কল্যাণেই ব্যয়িত হবে। খলীফা বা সুলতানের এটা ব্যক্তিগত মালিকানা নয় যে, তিনি যথেচ্ছভাবে তা ব্যয় করতে পারবেন। মুসলিম শাসন ব্যবস্থায় যেহেতু ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নিকট থেকে একটি সঙ্গত হারে কর উশুল করা হয় এবং তা অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, তাই এখানে পুঁজিপতি ও শ্রমিকের দ্বন্দ্ব সৃষ্টিই হতে পারে না—যা গোটা পাশ্চাত্যকে আজ গ্রাস করে রেখেছে।

মুসলমানদের খলীফা একাধারে তাদের প্রহরী ও অভিভাবক। তিনি মুসলিম জনতার পিতাও, আবার পীর বা উস্তাদও। মুসলমানদের খলীফা একাধারে তাদের গৃহশিক্ষক এবং সিপাহসালারও। তিনি তাদের সেবক, আবার শাহানশাহও। যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দেখা দেয়, যেমন কোন দেশ আক্রমণের বা কোন জাতির সাথে যুদ্ধের প্রয়োজন দেখা দেয়, কোন জাতির সাথে সন্ধি করতে হয়, কারো সাহায্যার্থে সৈন্যবাহিনী প্রেরণের প্রয়োজন দেখা দেয়, মুসলমানদের প্রতিরক্ষা এবং দেশের নিরাপত্তার জন্যে কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে এমন প্রশ্ন দেখা দেয় তবে মুসলমানদের খলীফা অবশ্যই তাদের সাথে পরামর্শ করবেন। কেননা কুরআনুল কারীমে এরই নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু এ পরামর্শের উদ্দেশ্য এই নয় যে, সাধারণ মানুষ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে খলীফার বা রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তকে অচল করে দেবে এবং তাকে তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করতে বাধ্য করবে, বরং এ পরামর্শের উদ্দেশ্য হবে, খলীফা যেন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে তাদের সাহায্য লাভ করতে পারেন। অর্থাৎ খলীফা সকলের মতামত শুনবেন এবং পক্ষ-বিপক্ষের দলীল-প্রমাণ সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং অবশেষে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করে দেবেন।

وشاورهم في الامر فاذا عزمت فتوكل على الله .

এবং তাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারসমূহে পরামর্শ করবে এবং যখন কোন স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হবে, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করে কার্যক্রম শুরু করে দেবে।

ইসলাম উপরিউক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করার পক্ষপাতী। খিলাফতে রাশিদায় তারই নমুনা প্রত্যক্ষ করা যেতে পারে। খিলাফতে রাশিদার পর মুসলমানদের শাসন-ব্যবস্থা রাজতন্ত্রে পর্যবসিত হয়, কিন্তু এতদসত্ত্বেও ইসলামের শিক্ষার সৌন্দর্য এবং ইসলামী চরিত্রের প্রতিফলন অধিকাংশ রাষ্ট্রে এবং রাজবংশে সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে মুসলমানরা যে সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছে অন্যত্র তা পরিদৃষ্ট হয় না। ইউরোপ আমেরিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কস্মিনকালেও ইসলামের এ রাষ্ট্র ব্যবস্থার মুকাবিলা করতে পারবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন