hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৭৫
বাল্যকাল
জন্মের পর প্রথম সাতদিন-আবু লাহাবের আযাদকৃত দাসী ছুওয়াইবিয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে স্তন্যপান করান। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পিতৃব্য হামযাকেও এই ছুওয়াইবিয়া স্তন্যদান করেছিলেন। এ সূত্রে ছুওয়াইবিয়ার পুত্র মাসরূক এবং হযরত হামযা তার দুধ ভাই ছিলেন। জন্মের অষ্টম দিনে আরবের অভিজাত খানদানসমূহের প্রথা অনুযায়ী তাঁকে হাওয়াযিন গোত্রের বনী সাআদ বংশের ধাত্রী হালীমার হাতে অর্পণ করা হয়, যাতে তিনি তাকে স্তন্যদান এবং লালন-পালন করেন। অভিজাত আরবরা এজন্যেও আপন সন্তানদের বেদুঈন ধাত্রীদের হাতে তুলে দিতেন যেন মরুভূমির মুক্ত হাওয়ায় অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করে শিশুরা পুষ্ট বলিষ্ঠ হয়ে গড়ে উঠে এবং তাদের মুখে সুললিত ভাষাও ফুটে ওঠে। কেননা শহরের ভাষার তুলনায় মরুপল্লীর ভাষা অনেক সুললিত ও মার্জিত হতো। হালীমা সা‘দিয়া বছরে দু’বার করে অর্থাৎ প্রতি ছ’মাস অন্তর অন্তর মা আমিনা ও দাদা আবদুল মুত্তালিবকে তাদের আদরের শিশু মুহাম্মদকে দেখিয়ে আনতেন। শিশু নবী দু’বছর পর্যন্ত হালীমার দুধপান করেন এবং অতিরিক্ত আরো দু’বছর অর্থাৎ চার বছর পর্যন্ত হালীমার ঘরে বনী সাআদ কবীলায় লালিত-পালিত হন। যখন তার বয়স চার বছর হলো তখন মা আমিনা তাকে মক্কায় রেখে দিলেন। তার বয়স যখন ছয় বছর তখন তার আম্মাজান তাকে নিয়ে মদীনায় তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যান। একমাস সেখানে কাটিয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তনের পথে আবওয়া নামক স্থানে পৌঁছে তিনি ইন্তিকাল করেন। এবার দাদা আবদুল মুত্তালিব তাঁর লালন-পালনের ভার আপন হস্তে তুলে নেন। কোন কোন রিওয়ায়াতের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, শিশু নবী হালীমার কাছে চার বছর নয়, পাঁচ বছরকাল পর্যন্ত লালিত-পালিত হয়েছিলেন এবং আপন মায়ের কাছে কেবল এক বছর কয়েকমাস সময়ই কাটাবার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। তার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন একদিন যখন তিনি তার দুধ-ভাই দুধ-বোনদের সাথে মরুভূমিতে ছাগল চরাচ্ছিলেন, তখন তাঁর বক্ষ বিদারণের ঘটনাটি ঘটে। ইব্‌ন হিশাম রচিত ‘সীরাতে রাসূলুল্লাহ’ গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, হালীমা বিন্‌ত আবূ যুওয়ায়ের বর্ণনা করেন যে, একদা আমার পুত্র দু’টি দৌড়ে আমার কাছে এসে বললো, দু’জন শ্বেত পোশাকধারী আমাদের কুরায়শ ভাইটিকে ধরে নিয়ে গেছে এবং তারা তার বুক চিরে ফেলেছে। আমি এবং আমার স্বামী (হারিছ ইব্‌ন আবদুল উযযা) দু’জন তখন দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম এবং কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন : দু’জন শ্বেত বসনধারী আমার নিকটে এসে আমাকে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে আমার বুক চিরে দিলেন। তারা আমার হৃৎপিণ্ড বের করলেন এবং তাথেকে কি যেন বের করলেন। হালীমা তীক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করেও কোন ক্ষত বা রক্তের চিহ্ন খুঁজে পেলেন না। তিনি ভাবলেন বোধ হয় জ্বিন ভূতের আছর হয়েছে। তাই এভাবে আর বেশীদিন তাকে তার নিজের কাছে রাখা তিনি সমীচীন মনে করলেন না। তিনি তাঁকে মক্কায় নিয়ে গিয়ে তার আম্মার কাছে সমস্ত ঘটনা বিবৃত করলেন এবং সাথে সাথে এও বললেন, আমার ধারণা, ছেলের উপর জ্বিন-ভূতের আছর হয়েছে। সব শুনে হযরত আমিনা বললেন, ঘাবড়াবার কোন কারণ নেই। আমার এ ছেলে ধরাপৃষ্ঠে মহাসম্মানের অধিকারী হবে। সে হবে অসাধারণ। সমস্ত বিপদাপদ থেকে আল্লাহ্ তাঁকে হিফাযত করবেন। কেননা, সে যখন আমার গর্ভে ছিলো, তখন স্বপ্নে ফেরেশতারা তাঁর সম্পর্কে অনেক সুসংবাদ দিয়েছেন এবং তাঁর অনেক অলৌকিক ব্যাপার আমি প্রত্যক্ষ করেছি।

সহীহ মুসলিমে হযরত আনাস ইব্‌ন মালিক (রা)-এর রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, একদিন তিনি মক্কায় ছেলেদের সাথে খেলছিলেন। তখন হযরত জিবরাঈল (আ) তাঁর সকাশে উপস্থিত হলো এবং তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করে হৃৎপিণ্ড থেকে একটি রক্তবিন্দু বের করে দিয়ে বললেন যে, এটা ছিলো শয়তানের অংশ। তারপর সোনার তশতরীতে যমযমের পানিতে ধুয়ে যথারীতি তা দেহে পুনঃ সংযোজিত করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন