hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৪৬
যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল!
মুশরিকদের শোচনীয় পরাজয় এবং মুসলমানদের বিজয় প্রায় সুনিশ্চিত হয়ে উঠলো। কাফির সৈন্যরা যখন পিছটান দিচ্ছিলো তখন বেলা দ্বিপ্রহর। পলায়নপর কাফির সৈন্যদের পলায়নের দৃশ্য এবং কাফির বাহিনীর পতাকা দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভূলুণ্ঠিত অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে ঘাঁটিতে মোতায়েন তীরন্দায বাহিনীর মনেও স্পৃহা জাগলো যে, আমরা কাফির সেনাদেরকে ধাওয়া করায় অংশ গ্রহণ করি। তাদের সরদার হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন জুবায়র আনসারী তাদেরকে অনেক করে বললেন যে, মহানবী (সাঃ)-এর পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এ স্থান ত্যাগ করতে পারি না। কিন্তু যুদ্ধজয়ের আনন্দ এবং কাফিরদের পশ্চাদ্ধাবনের অতি আগ্রহ তাদেরকে তা শুনতে দেয়নি। ফলে তারা স্থান ত্যাগ করলেন। কুরায়শদের ডান বাহিনীর পরিচালক খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ এ ঘাঁটির গুরুত্ব যে কত অধিক তা সম্যকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর এক শ’ সৈন্যসহ এক মাইল পথ ঘুরে পশ্চাৎ দিক থেকে ঐ ঘাঁটি দিয়ে এসে মুসলমানদের আচমকা হামলা চালালেন। হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন জুবায়র (রা) এবং তার অল্প ক’জন সঙ্গী সে আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থ হলেন। কেননা, তার অধীনস্থ অন্য সকলে ইতিপূর্বেই স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন জুবায়র (রা) ঘটনাস্থলেই শহীদ হলেন। এ আকস্মিক হামলাটি ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তীরন্দাজদের স্থান ত্যাগে মুসলমানদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। মুসলমানরা এবার কাফির সেনাদের পশ্চাদ্ধাবন ছেড়ে দিলেন।

মুসলমানদের এ বিব্রতকর অবস্থা লক্ষ্যে ইকরামা ইব্‌ন আবূ জাহেল তার অশ্বারোহী সৈন্যদেরকে নিয়ে অন্যদিক থেকে হামলা চালালো। সাথে সাথে ইতিপূর্বে ময়দান পরিত্যাগ করে পলায়নকারী আবূ সুফিয়ান ও পলায়নপর কুরায়শ সৈন্যদেরকে নিয়ে রুখে দাঁড়ালো। কাফির বাহিনী এবার নব উদ্যমে মুসলমানদের উপর হামলা চালালো। মুসলমানদের উপর অতর্কিতে এবং উপর্যুপরি এ সব হামলা পরিচালিত হয়। ফলে যুদ্ধের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরে গেলো। মুসলমানরা চতুর্দিক থেকে কাফির বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লো। তারা ছত্রভঙ্গ ও দিশাহারা হয়ে গেলেন। যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা দাঁড়ালো এই যে, স্থানে স্থানে গুটি কয়েক মুসলমান বিরাট বিরাট কাফির দলের অবরোধের মধ্যে পড়ে গেলেন। তারা পরস্পরের সংযোগ হারিয়ে ফেললেন এবং এ অবস্থায় চতুর্দিক থেকে তাদের উপর তরবারি বর্ষিত হচ্ছিলো। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাত্র বারজন সঙ্গীসহ কাফিরদের এক বিরাট দলের মধ্যে পড়ে গেলেন। হযরত মুসআব পতাকা হাতে ধরে তাঁর নিকটেই দাঁড়িয়েছিলেন। কাফির বাহিনীর জনৈক নামজাদা অশ্বারোহী ইব্‌ন কুমাইয়া লায়ছী আক্রমণ চালিয়ে হযরত মুসআব (রা)-কে শহীদ করে দিলো। হযরত মুসআব (রা)-এর অবয়ব যেহেতু দেখতে অনেকটা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অবয়বের মতো ছিলো তাই সে ধারণা করলো যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শহীদ হয়ে গেছেন। সে একাই উঁচু স্থানে আরোহণ করে সে মুহূর্তেই উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করলো : قد قتلت محمدا আমি মুহাম্মদকে হত্যা করেছি। তার এ ধ্বনি শুনে মুশরিকদের মনোবল অনেক গুণে বৃদ্ধি পেলো। তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। মুসলমানদের জন্যে এ ধ্বনিটি ছিল প্রাণান্তকর। তাঁরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। এমন সময় হযরত কা‘ব ইব্‌ন মালিক (রা)-এর দৃষ্টি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি নিবদ্ধ হলো এবং তিনি তৎক্ষণাৎ চীৎকার করে বলে উঠলেন : “মুসলমানরা! শুনে সুখী হও। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) জীবিত এবং সুস্থই রয়েছেন।” তখনি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) উচ্চৈঃস্বরে আহবান জানাল :

الى عباد الله انا رسول الله .

“আল্লাহর বান্দারা, আমার দিকে এগিয়ে এসো; আমি আল্লাহর রাসূল।

এ ধ্বনি উচ্চারিত হওয়া মাত্র মুসলমানরা তা শুনতে পেয়ে চতুর্দিক থেকে এসে জমায়েত হতে শুরু করলেন। কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের হামলা প্রতিরোধ করে, তাদেরকে মারতে মারতে তারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নিকটে আসতে লাগলেন। ওদিকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সে আওয়াজ কাফিরদেরকেও তাঁর অবস্থান জানিয়ে দিলো। ফল দাঁড়ালো এই যে, তারাও সেদিকে মনোনিবেশ করলো এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অবস্থানস্থল যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ালো। মুসলমানদের কিছু সংখ্যক সৈন্য এমন স্থানে এবং এমন অবস্থায় ছিলেন যে, তারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নিকট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন নি। তাঁরা এদিকসেদিক ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এই বিশৃংখল অবস্থায় আবদুল্লাহ ইব্‌ন শিহাব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নিকটে এসে সজোরে তরবারির এমন একটি আঘাত হানে যে শিরস্ত্রাণের দু’টি কড়া তাঁর পবিত্র গণ্ডদেশে অক্ষির নিচের অস্থির মধ্যে ঢুকে পড়লো। হযরত আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা) আপন দাঁত দিয়ে তা সজোরে টেনে বের করে আনেন। এতে নবী করীম (সাঃ)-এ দু’টি দন্ত মুবারক উঠে আসে। কাফির বাহিনী, তার উপর আক্রমণ পরিচালনায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন