hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩১০
জালূলার যুদ্ধ
যখন মাদায়েনের উপর মুসলিমগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ইয়াযদেজিরদ মাদায়েন থেকে হালওয়ানে পলায়ন করেন। রুস্তম ইব্‌ন ফাররুখ যাদ-এর ভাই খারযাদ ইব্‌ন ফাররুখযাদ মুসলমানগণের মুকাবিলা করার জন্য জালূলা নামক স্থানে সৈন্য সমাবেশ করেন। তিনি দুর্গ ও শহরের চারপাশে পরিখা খনন করেন এবং মুসলিম বাহিনীর আগমন ও আক্রমণের পথে নানা ধরনের প্রতিবন্ধক দাঁড় করিয়ে রাখেন। এ যুদ্ধের পরিস্থিতি ও সৈন্য সমাবেশ এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, বিষয়টির প্রতি ইরানীরা যেমন আশার দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলো তেমনি মুসলমানগণের সতর্ক দৃষ্টিও সেদিকে নিবদ্ধ ছিল। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) সমগ্র পরিস্থিতি সম্পর্কে হযরত ফারূকে আযম (রা)-কে অবহিত করেন। দরবারে ফারূকী থেকে নির্দেশ এলো হাশিম ইব্‌ন উতবা বার হাজার সৈন্য নিয়ে যেন জালূলা অভিযানে বহির্গত হন, আর হযরত কা‘কা‘ (রা)-র হাতে যেন অগ্রবর্তী বাহিনীর, হযরত মা‘শারা ইব্‌ন মালিক (রা)-এর হাতে বাম পাশের বাহিনীর এবং আমর ইব্‌ন সুররাহকে পশ্চাৎ বাহিনীর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর এ নির্দেশ অনুযায়ী হযরত হাশিম (রা) মাদায়েন থেকে রওয়ানা হয়ে চতুর্থ দিন জালূলায় গিয়ে পৌঁছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে শহরটি ঘিরে ফেলেন। এ ঘেরাও বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ঐ সময়ে ইরানীরা মাঝে মাঝে দুর্গ থেকে বের হয়ে মুসলিমদের উপর ব্যর্থ হামলা চালাতে থাকে।

জালূলা অবরোধ চলাকালে মুসলমান ও ইরানীদের মধ্যে বহুবার অনুরূপ সংঘর্ষ হয় এবং প্রত্যেক বারই ইরানীরা পরাজিত হয়। জালূলায় যেখানে ইরানী যোদ্ধাদের সংখ্যা ছিল কয়েক লক্ষ সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। ইরানীরা তাদের জনশক্তির আধিক্য এবং যুদ্ধাস্ত্রের প্রাচুর্যের উপর নির্ভর করে মুসলমানদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইরানীদেরকে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়। ঐ যুদ্ধে মুসলমানদের হাতে প্রায় একলক্ষ ইরানী নিহত হয় এবং তিন কোটি দীনার মূল্যের মালে গনীমত মুসলমানদের হাতে আসে। জালূলার পতন-সংবাদ যখন হালওয়ানে অবস্থানরত ইয়াযদেজিরদের কাছে গিয়ে পৌঁছে তখন সেখানে একটি বাহিনীসহ খাসরা শানূমকে রেখে ‘রাই’-এর দিকে পালিয়ে যান। জালার যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে কা‘কা‘ (রা) হাল্‌ওয়ানের দিকে যাত্রা করেন। খাসরা শানূম হালওয়ান থেকে বের হয়ে মুসলিম বাহিনীর মুখোমুখি হন এবং পরাজিত হয়ে সেখান থেকে পলায়ন করেন। এরপর কা‘কা‘ (রা) হাল্ওয়ান অধিকার করে নেন।

হযরত সা‘দ (রা) এ বিজয় সংবাদ এবং সেই সাথে মালে গনীমতের খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) হযরত যিয়াদ (রা)-এর মাধ্যমে হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর কাছে পাঠান এবং ইরানের দিকে আরো অগ্রসর হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। হযরত যিয়াদ (রা) মালে গনীমত নিয়ে সন্ধ্যার সময় মদীনা শরীফে প্রবেশ করেন। ফারূকে আযম (রা) তাঁর কাছ থেকে মোটামুটিভাবে বিজয় সংবাদ শ্রবণ করে জনসাধারণকে একত্র করেন। তারপর তাকে (যিয়াদকে) নির্দেশ দেন, যেন তিনি বিস্তারিতভাবে যুদ্ধের অবস্থাদি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। যিয়াদ অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় জনসাধারণের সামনে মুসলিম বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তুলে ধরেন। হযরত ফারূকে আযম (রা) মালে গনীমত মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় স্তুপীকৃত করে রাখেন এবং তা পাহারায় ব্যবস্থা করেন। পরদিন ফজরের পর তিনি জনসাধারণের মধ্যে মালে গনীমত বন্টন করে দেন। তাতে সোনা, রূপা ও হীরা-জহরতের অলংকার এবং বহু মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী ছিল। হযরত ফারূকে আযম (রা) সেগুলো দেখে কেঁদে ফেলেন। যখন হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আউফ (রা) বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ তো শুকরিয়া জ্ঞাপনের সময়, অথচ আপনি কাঁদছেন? হযরত ফারূকে আযম (রা) জবাব দেন, আল্লাহ তা‘আলা যে জাতিকে পার্থিব সম্পদ দান করেন তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ জন্ম নেয় এবং তা থেকে দলাদলির সৃষ্টি হয়। সে কথা চিন্তা করেই আমি এখন কাঁদছি।

তারপর হযরত ফারূকে আযম (রা) হযরত সা‘দ (রা)-এর কাছে নির্দেশ পাঠান : মুসলমানগণ যেহেতু একাধারে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে, তাই আপাতত তাদেরকে কিছুদিন বিশ্রাম গ্রহণ করতে দাও।

হিজরী ১৬ সনে জালূলার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ পর্যন্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি বর্ণনাকালে ইচ্ছাকৃতভাবেই সন-তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। কেননা, কোন কোন ঘটনায় সন-তারিখ একদল ঐতিহাসিক একরূপ বলেছেন, তো অন্যদল বলেছেন অন্যরূপ। অর্থাৎ অনেক ঘটনারই সন-তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কাজেই, সন তারিখ বর্ণনার পরিবর্তে ঘটনার ধারাবাহিকতা বর্ণনার উপরই আমরা অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছি। হিজরী ১৬ সনে জালূলার যুদ্ধ সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ইরাকে ঘটনাসমূহ যেভাবে ঘটেছিল, উপরে ঠিক সেভাবে তা বর্ণিত হয়েছে। এবার আমরা ইরাকের ঘটনাবলীর পরিবর্তে সিরিয়ার ঘটনাবলী বর্ণনায় মনোনিবেশ করবো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন