hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৮০
হযরত আলী (রা)-এর খিলাফতকালে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী খিলাফতের বায়‘আত
হযরত উসমান গনী (রা)-এর শাহাদতের এক সপ্তাহ পর হিজরী ৩৫ সনের ২৫ যুলহাজ্জ তারিখে মদীনা শরীফে হযরত আলী (রা)-এর হাতে সাধারণ বায়‘আত অনুষ্ঠিত হয়। হযরত উসমান গনী (রা)-এর শাহাদতের পর মদীনা শরীফে ছিল তার হত্যাকারীদের প্রাধান্য। তারা প্রথমে মদীনা শরীফের অধিবাসিগণকে ধমকিয়ে ও ভয় প্রদর্শন করে একজন খলীফা নির্বাচন করতে বাধ্য করে। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ছিল হযরত আলী (রা)-এর পক্ষে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মদীনা শরীফের অধিবাসিগণও হযরত আলী (রা)-কে সমর্থন করত। লোকেরা হযরত আলী (রা)-এর কাছে গিয়ে বায়‘আত গ্রহণের জন্য তাকে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, তোমরা আমাকে খলীফা নির্বাচন করেছ বটে, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত ‘আসহাবে বদর’ (বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারিগণ) আমাকে খলীফা বলে না মানবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের এ নির্বাচনের কোন মূল্য নেই। একথা শুনে লোকেরা ‘আসহাবে বদর’-এর কাছে গেল এবং যথাসম্ভব তাদেরকে একত্রিত করে হযরত আলী (রা)-এর সামনে হাযির করল। সর্বপ্রথম মালিক আশতার হযরত আলী (রা)-এর হাতে বায়‘আত করে। তারপর অন্য লোকেরা বায়‘আত করার জন্য অগ্রসর হয়।

হযরত আলী (রা) বলেন, হযরত তালহা (রা) এবং হযরত যুবায়র (রা)-এর মতামতও জানা উচিত। তখন মালিক আশতার হযরত তালহা (রা)-এর কাছে এবং হাকীম ইব্‌ন আবদুল্লাহ্ যুবায়র (রা)-এর কাছে গেল এবং তাঁদেরকে জোর করে হযরত আলী (রা)-এর সামনে এনে হাযির করল। হযরত আলী (রা) তাদেরকে বলেন, আপনাদের দু’জনের মধ্য থেকে যিনিই খলীফা হতে চান, আমি তার হাতে বায়‘আত করতে প্রস্তুত আছি। তারা উভয়েই খলীফা হতে অস্বীকার করেন। তারপর ঐ দু’জনকে বলা হয়, যদি আপনারা নিজেরা খলীফা হতে না চান তাহলে হযরত আলী (রা)-এর হাতে বায়‘আত করুন। তারা উভয় বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন। এমনি সময়ে মালিক আশতার খাপ থেকে তরবারি টেনে বের করে হযরত তালহা (রা)-কে বলে, আমি এখনি তোমাকে শেষ করে ফেলব। হযরত তালহা (রা) পরিস্থিতি লক্ষ্য করে হযরত আলী (রা)-কে সম্বোধন করে বলেন, আমি আপনার হাতে এ শর্তে বায়‘আত করছি যে, আপনি মহান আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত অনুযায়ী আদেশ-নিষেধ দিবেন এবং শাস্তির বিধানসমূহ জারি করবেন (অর্থাৎ হযরত উসমান (রা)-এর হত্যাকারীদের উপর কিসাস জারী করবেন)। হযরত আলী (রা) তাতে স্বীকৃত হন। হযরত তালহা (রা) বায়‘আতের জন্য তাঁর কর্তিত দুর্বল হাতটি বাড়ালেন (উহুদ যুদ্ধে ভীষণ ভাবে আহত হওয়ার কারণে তার হাতটি অবশ হয়ে গিয়েছিল)। কোন কোন লোক ঐ মজলিসে সর্বপ্রথম হযরত তালহা (রা) বায়‘আতের জন্য তার কর্তিত হাতটি বাড়িয়ে দিচ্ছেন দেখে সেটাকে হযরত আলী (রা)-এর খিলাফতের জন্য একটি অশুভ সংকেত বলে মনে করে। তারপর হযরত যুবায়র (রা)-এর সাথেও ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। তিনিও হযরত তালহা (রা)-এর শর্তসমূহ পেশ করে হযরত আলী (রা)-এর হাতে বায়‘আত করলেন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-কেও বায়‘আত করতে বলা হলো। কিন্তু তিনি তার ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেললেন এবং বললেন, যখন সকল লোক বায়‘আত করে নেবে তখন আমিও বায়‘আত করবো। তিনি এ প্রতিশ্রুতিও দেন যে, আমার পক্ষ থেকে ভয়ের কোন কারণ নেই। তখন হযরত আলী (রা) তাঁকে আপন অবস্থার উপরই ছেড়ে দিলেন। লোকেরা হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-এর বায়‘আত সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে, তখন মালিক আশতার তরবারি বের করে বলে, আমি তাঁকে হত্যা করব। হযরত আলী (রা) মালিক আশতারকে বাধা দিয়ে বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা)-এর জামিন হচ্ছি। এরপর আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা) উমরা পালনের জন্য মক্কা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হন। যখন আলী (রা) তাঁর এ অবস্থা জানতে পারেন এবং লোকেরাও বলাবলি করতে থাকে যে, তিনি (আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর) (রা) আপনার বিরোধিতা করার ইচ্ছা নিয়েই মদীনা শরীফ থেকে চলে যাচ্ছেন তখন হযরত আলী (রা) তাকে অবিলম্বে বন্দী করার জন্য লোক পাঠান। কিন্তু সেই মুহূর্তে হযরত আলী (রা)-এর কন্যা উম্মে কুলছুম (যিনি ছিলেন হযরত উমর (রা)-এর সহধর্মিণী) হযরত আলী (রা)-এর কাছে আসেন এবং তাকে এ কথার নিশ্চয়তা দেন যে, আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা) আপনার বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করবেন না ; তিনি শুধু উমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হয়েছেন। কাজেই হযরত আলী (রা) আশ্বস্ত হন। এ ছাড়াও মুহাম্মদ ইব্‌ন মাসলামাহ (রা), উসামা ইব্‌ন শুবাহ (রা), আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সালাম (রা) প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিও বায়‘আত করেন নি। বহু লোক বিশেষ করে বনূ উমাইয়া বায়‘আতে অংশগ্রহণ না করার জন্য মদীনা শরীফ থেকে সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা করে। কোন কোন লোক ঐ উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ অভিমুখেও রওয়ানা হয়। যে কয়জন সাহাবায়ে কিরাম মদীনা শরীফে ছিলেন অথচ বায়‘আত করেননি তাদেরকে হযরত আলী (রা) ডেকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা পরিষ্কার ভাষায় বলেন, এখনও মুসলমানদের মধ্যে রক্তারক্তির কারণ বিদ্যমান রয়েছে এবং বিশৃঙ্খলাও পুরাপুরি বন্ধ হয়নি। তাই আমরা কারো হাতে বায়‘আত না করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে চাই।

তারপর হযরত আলী (রা) মারওয়ান ইব্‌ন হাকামকে তলব করেন। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। হযরত উসমান গনী (রা)-এর সহধর্মিণীর (যিনি অকুস্থলে হাযির ছিলেন) কাছে হত্যাকারীদের নাম জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কারো নাম বলতে পারেন নি ; তবে দু’ব্যক্তির আকার-আকৃতির বর্ণনা দেন। মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা) সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি (নায়িলাহ) বলেন, হযরত উসমান (রা) নিহত হওয়ার পূর্বেই তিনি (মুহাম্মদ) দরজা দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। বনূ উমাইয়ার কিছু লোক উসমান (রা)-এর স্ত্রী নায়িলার কর্তিত অংগুলিসমূহ এবং হযরত উসমান (রা)-এর রক্তমাখা জামাটি নিয়ে সিরিয়ায় হযরত মুআবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা)-এর কাছে চলে যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন