hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৬৭
হযরত আলী (রা) আপন পোষ্যের (সমর্থকের) জন্য সুপারিশ করেন
হযরত আলী (রা)-এর উপরোক্ত পরামর্শের উপর উসমান গনী (রা) জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আবদুল্লাহ ইব্‌ন সা‘দ (রা)-এর পরিবর্তে কাকে মিসরের গভর্নর নিয়োগ করা হবে? হযরত আলী (রা) ও অন্যান্য সাহাবী হযরত মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা)-এর নাম প্রস্তাব করেন। মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা) প্রথম থেকেই হযরত আলী (রা)-এর সমর্থক ছিলেন এবং তিনি আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবার প্রতারণা জালেও আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। হযরত উসমান গনী (রা) একটি লিখিত নির্দেশের মাধ্যমে মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর (রা)-কে মিসরের আমীর তথা গভর্নর নিয়োগ করেন। এবার হযরত আলী (রা) বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদেরকে বললেন, ‘যাও, এবার তোমাদের দাবী পূরণ হয়েছে। হযরত তালহা (রা) এবং যুবায়র (রা)-ও তাদেরকে মদীনা শরীফ থেকে চলে যেতে বললেন। ফলে তারা ভালোয় ভালোয় মদীনা শরীফ ছেড়ে চলে গেল। কিন্তু পরবর্তী তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে সকল বিক্ষোভকারী তাকবীর ধ্বনি তুলে পুনরায় মদীনা শরীফে এসে প্রবেশ করল এবং সঙ্গে সঙ্গে হযরত উসমান গনী (রা)-এর বাসগৃহ ঘিরে ফেলল। হযরত আলী (রা) তখন তাদেরকে বললেন, তোমরা তো এখান থেকে চলে গিয়েছিলে, আবার ফিরে আসলে কেন? মিসরের বিক্ষোভকারীরা বলল, খলীফা উসমান গনী (রা) আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সা‘দ (রা)-কে লিখিত একটি পত্র তাঁর এক ভৃত্যের মাধ্যমে মিসরে পাঠিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, আমরা যখনই মিসর পৌঁছব, তখনই যেন আমাদেরকে হত্যা করে ফেলা হয়। আমরা রাস্তায়ই এ পত্র ধরে ফেলেছি এবং তা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। কুফা ও বসরার বিক্ষোভকারীরা বলল যেহেতু আমরা আমাদের মিসরী ভাইদের সুখ ও দুঃখের অংশীদার থাকতে চাই, তাই আমরাও তাদের সাথে ফিরে এসেছি। হযরত আলী (রা) বললেন, আল্লাহর কসম! তা তোমাদের একটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। তার মধ্যে তোমাদের নেক নিয়্যতের (সদিচ্ছার) কোন চিহ্নই আমি দেখছি না। তারা তখন বলল, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এ খলীফাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। আপনি আমাদেরকে এ কাজে সাহায্য করুন। হযরত আলী (রা) তখন রাগতস্বরে বলেন, এ রূপ কাজে আমি কি করে তোমাদের সাহায্য করতে পারি? তারা বলে উঠল, তাহলে আপনি আমাদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন কেন? হযরত আলী (রা) বললেন, আমি তো তোমাদের কাছে কখনো কোন চিঠি লিখিনি। একথা শুনে বিক্ষোভকারীরা হতচকিত হয়ে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগল। তারপর হযরত আলী (রা) মদীনা শরীফ থেকে ‘আহজারু’য-যায়ত’ নামক স্থানে চলে যান। এদিকে বিক্ষোভকারীরা হযরত উসমান গনী (রা)-কে বিরক্ত করতে শুরু করে। তখন পর্যন্ত তারা হযরত উসমান গনী (রা)-এর পিছনে নামায পড়ছিল; এবার তা থেকেও বিরত রইল এবং অন্যদেরকেও বিরত রাখার প্রয়াস পেল।

হযরত উসমান গনী (রা) যখন এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করলেন এবং এও লক্ষ্য করলেন যে, বিক্ষোভকারীদের দ্বারা মদীনা শরীফের অলিগলি ভরে উঠেছে তখন তিনি বিভিন্ন প্রদেশের কর্মকর্তাদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখলেন। কিংবা এও হতে পারে যে, এ সমস্ত খবর লোকমুখে আপনাআপনি বিভিন্ন প্রদেশে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই মিসর, সিরিয়া, কূফা ও বসরা থেকে সাহাবায়ে কিরাম ও অন্যান্য পুণ্যবান ব্যক্তি খলীফার সাহায্যের নিমিত্ত অবিলম্বে মদীনা শরীফে আসার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। হযরত মুআবিয়া (রা) হাবীব ইব্‌ন মাসলামা ফিহ্‌রীকে এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন সা‘দ (রা) মুআবিয়া ইব্‌ন খাদীজকে মদীনা শরীফে প্রেরণ করেন। কা‘কা‘ ইব্‌ন আমর একটি দল নিয়ে মদীনা শরীফের অভিমুখে রওনা হয়। বিভিন্ন এলাকায় এ সমস্ত খবর পৌঁছতে বিলম্ব ঘটেছিল অথবা খবর পৌঁছার পর সাহায্যকারী দল পাঠানো হবে কিনা সে ব্যাপারে ইতস্তত করা হচ্ছিল। তাই কোন সাহায্যকারী গোষ্ঠীই হযরত উসমান (রা)-এর শাহাদতের পূর্বে মদীনা তাইয়িবাতে পৌঁছতে পারেনি। তারা সকলে পথিমধ্যেই কোন-না-কোন স্থানে এ মর্মান্তিক সংবাদ জানতে পারে এবং সেখান থেকেই আবার নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যায়।

যা হোক ত্রিশ দিন পর্যন্ত হযরত উসমান গনী (রা) ঘেরাও অবস্থায়ই মসজিদে এসে নামায আদায় করেন। তারপর বিক্ষোভকারীরা তাঁকে ঘর থেকে বের হতে দেয় নি এবং তাঁর ঘরে পানি পৌঁছানোর রাস্তাও বন্ধ করে দেয়। হযরত উসমান গনী (রা) তাদেরকে বার বার বলেন, তোমরা যে চিঠিকে কেন্দ্র করে আমাকে এভাবে হয়রান করছ সে চিঠি যে আমি লিখেছি তার কোন চাক্ষুস প্রমাণ থাকলে পেশ কর, অথবা আমার থেকে কসম নাও। আমি কসম করে বলতে পারি যে, ঐ চিঠি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তখন কোন যুক্তিপূর্ণ কথাই শুনতে রাযী নয়। ব্যাপক বাড়াবাড়ি শুরু হল। ঘরে পানি পৌঁছানোর পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হযরত উসমান (রা) অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে পতিত হন। অবশ্য জনৈক প্রতিবেশীর মাধ্যমে গোপনভাবে কিছু কিছু পানি তার ঘরে পৌঁছতে থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন