hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৮৯
মক্কায় উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা (রা)-এর যুদ্ধ প্রস্তুতি
যেমন উপরে বর্ণিত হয়েছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা) হজ্জ সমাপনান্তে মক্কা থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন। তিনি সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলে হযরত উসমান গনী (রা)-এর শাহাদত বরণের সংবাদ পান এবং সেখান থেকেই পুনরায় মক্কায় ফিরে যান। তার কাছে এই সংবাদও পৌঁছে যে, মদীনার লোকেরা খলীফা হিসাবে হযরত আলী (রা)-এর হাতে বায়‘আত করেছেন। তার মক্কায় ফিরে যাওয়ার কারণ জানার জন্য লোকেরা তাঁর সওয়ারীর চারপাশে সমবেত হলে তিনি সবাইকে সম্বোধন করে বলেন : “আল্লাহর কসম! উসমান (রা)-কে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং আমি এই হত্যার প্রতিশোধ নেব। আক্ষেপের বিষয়, আগত লোকেরা ক্রীতদাসদের সাথে একজোট হয়ে এই বিদ্রোহ করেছে। তারা এইজন্য হযরত উসমান (রা)-কে বিরোধিতা করেছে যে, তিনি যুবক বয়সের লোকদের আমিল (গভর্নর) নিয়োগ করেছেন। অথচ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, তার পূর্ববর্তীরাও অনুরূপ করেছিলেন। ঐ বিদ্রোহীরা নিজেদের দাবীর অনুকূলে প্রমাণ পেশ করতে অপারগ হয়ে হযরত উসমান (রা)-এর শত্রুতায় বদ্ধপরিকর হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা যে রক্তপাত হারাম করেছেন।

তারা তা প্রতিহত করেছে, যে শহরকে আল্লাহ্ তা‘আলা আপন রাসূল (সাঃ)-এর হিজরত স্থল বানিয়েছিলেন সে শহরেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং যে মাসে রক্তপাত তথা যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল সে মাসেই রক্তপাত করেছে, যে সম্পদ গ্রহণ করা তাদের জন্য অবৈধ ছিল তারা তা ছিনিয়ে নিয়েছে। আল্লাহর কসম! উসমান (রা)-এর একটি অঙ্গুলীও এই দাঙ্গাবাজ গোষ্ঠী তথা সমগ্র বিশ্বের চাইতেও শ্রেষ্ঠ। যে ত্রুটি-বিচ্যুতির অজুহাতে ওরা হযরত উসমান (রা)-এর শত্রুতে পরিণত হয়েছিল তিনি তা থেকে পবিত্র হয়ে গিয়েছিলেন।

হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষ থেকে মক্কার আমিল (গভর্নর) ছিলেন আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমির হাদরামী। তিনি হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-এর এই বক্তৃতা শুনে বলে উঠেন, সর্বাগ্রে আমি হযরত উসমান (রা)-এর হত্যার প্রতিশোধ নেব।

একথা শুনে বনূ উমাইয়ার লোকেরা, যারা হযরত উসমান (রা)-এর শাহাদত লাভের পর সবেমাত্র মক্কায় গিয়ে পৌঁছে ছিল, এক বাক্যে বলে উঠল, আমরা সবাই আপনার সাথে আছি। সাঈদ ইবনুল আস, ওয়ালীদ ইব্‌ন উকবা প্রমুখও ছিলেন ঐ সমস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আমির বসরা থেকে পদচ্যুত হয়ে মক্কার দিকেই আসেন। ইয়ালা ইব্‌ন মুনাব্বিহ আসেন ইয়ামন থেকে এবং সাথে করে নিয়ে আসেন ছয় শ’ উট ও ছয় লক্ষ দীনার। এরপর প্রস্তাব গৃহীত হতে থাকে যে, অবশ্যই উসমান হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

হযরত তালহা (রা) এবং যুবায়র (রা) মদীনা থেকে মক্কায় এসে পৌঁছলে উম্মুল মু‘মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা) তাঁদের উভয়কে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কি কারণে ও কিভাবে মক্কা থেকে চলে এসেছ? তারা উভয়ে উত্তর দেন, মদীনার পুণ্যবান ও অভিজাত লোকদের উপর বেদুঈন এবং বিদ্রোহীরা প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। আমরা তাদের ভয়ে এখানে পালিয়ে এসেছি। হযরত আয়িশা (রা) বলেন, তাহলে তো ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের সাথে তোমাদেরও থাকা উচিত। তারা উভয়েই নিজেদের আগ্রহ ও সম্মতির কথা তাঁকে জানান। মক্কাবাসীরা সকলেই হযরত আয়িশা (রা)-এর বাধ্য ও অনুগত ছিলেন। বসরার প্রাক্তন গভর্নর আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমির, ইয়ামনের গভর্নর ইয়ালা এবং তালহা ও যুবায়র (রা) এ চারজনকে হযরত আয়িশা (রা)-এর সেনাবাহিনীর অধিনায়ক এবং সব ব্যাপারেই তাঁর উপদেষ্টা মনে করা হত। প্রথমে কেউ একজন পরামর্শ দিল : মক্কা থেকে রওয়ানা হয়ে মদীনাকে পাশ কাটিয়ে আমাদের সোজা সিরিয়ায় চলে যাওয়া উচিত। একথার উপর আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমের বলেন, সিরিয়ায় আমীরে মুআবিয়া (রা) রয়েছেন এবং সেই দেশ সামাল দেওয়ার মত তার যথেষ্ট ক্ষমতা ও যোগ্যতা রয়েছে। অতএব আমাদের এখান থেকে বসরার দিকে যাওয়া সমীচীন মনে হয়। সেখানে নিশ্চয়ই আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেক লোক রয়েছে। আমিও সেখানে গভর্নর হিসাবে বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিলাম। তাছাড়া বসরাবাসীরা হযরত তালহা (রা)-এর প্রতি সবচাইতে বেশি সহানুভূতিশীল। অতএব বসরায় আমাদের সাফল্য সুনিশ্চিত। এভাবে একটি বিরাট প্রদেশ ও বিরাট জনগোষ্ঠী আমাদের হাতে আসবে। কেউ একজন বললো, আমরা মক্কায় থেকেই শত্রুদের মুকাবিলা করছি না কেন? এর উত্তরে আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমের বললেন, মক্কাবাসীদেরকে নিঃসন্দেহে আমরা আমাদের মতাবলম্বী করে নিয়েছি এবং তারা আমাদের পক্ষে রয়েছেন। কিন্তু আলী বাহিনী মদীনা থেকে এসে হামলা করলে তা তারা প্রতিরোধ করতে পারবে না। আমরা যদি এখান থেকে আমাদের সামরিক শক্তি নিয়ে বসরার দিকে চলে যাই তাহলে মক্কাবাসীরাও আমাদের পক্ষে এসে যাবে। তখন আমাদের শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে, আমরা যে কোন হামলা প্রতিরোধ করতে পারব এবং উসমান হত্যার বদলা নিতেও সক্ষম হব।

মোটকথা সকলেই এ মত সমর্থন করে। এবার বসরা যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হল। এরপর সকলে এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা), যিনি তখন মক্কায় অবস্থান করেছিলেন, তাঁকেও পক্ষে নিতে হবে এবং নেতৃত্ব তার হাতেই সোপর্দ করতে হবে। যা হোক হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-কে ডেকে পাঠানো হল এবং তার কাছে নিবেদন করা হল, আপনি উসমান হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করুন। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা) উত্তরে বলেন, আমি মদীনাবাসীদের সাথে রয়েছি। তারা যা করবে আমি তা-ই করব। তাঁর এই উত্তর শুনে কেউ এ নিয়ে তার সাথে আর কথা কাটাকাটি করল না। হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা) ছাড়া অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন তখন মক্কায় অবস্থান করছিলেন। যখন তারা শুনলেন, হযরত আয়িশা (রা) বসরা যেতে মনস্থ করেছেন তখন তারাও তাঁর সাথে সেখানে যেতে মনস্থ করেন। হযরত হাফসা বিন্‌ত উমরও তাদের সাথে ছিলেন। তাঁর ভাই আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা) তাকে বসরা যেতে নিষেধ করেন। ফলে তিনি মক্কায় থেকে যান। মুগীরা ইব্‌ন শুবাও মক্কায় পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং তিনিও বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন