hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৯৭
নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে ধৃষ্টতামূলক আচরণ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একদিন খানায়ে কা‘বায় সালাতরত ছিলেন। এমন সময় উক্‌বা ইব্‌ন আবী মু‘আইত তার গলায় চাদর ফেলে এভাবে পেচাতে লাগলো যে, তাঁর শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছিল। সংবাদ পেয়ে হযরত আবূ বকর (রা) দৌড়ে আসলেন এবং তাঁকে দুষ্টের কবল থেকে উদ্ধার করলেন। সাথে সাথে তিনি কুরায়শদেরকে লক্ষ্য করে বললেন :

أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّيَ اللَّهُ .

তোমরা কি এক ব্যক্তিকে কেবল এ অপরাধেই হত্যা করবে যে, সে বলে আমার রব আল্লাহ্। (৪০ : ২৮)

তখন কাফিররা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে তো ছেড়ে দিলো কিন্তু হযরত আবূ বকর (রা)-কে ঘিরে ফেললো এবং তাকে বেদম প্রহার করলো।

একবার কা‘বা প্রাঙ্গণে কাফিররা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হয়। হযরত হারিছ ইব্‌ন আবী হালা (রা) সংবাদ পেয়ে দৌড়ে এসে সেখানে উপস্থিত হন এবং তাকে দুষ্টদের কবল থেকে রক্ষার প্রয়াস পান। কাফির নরপিশাচরা তাঁকে সেখানেই শহীদ করে ফেলে! কিন্তু আর তার গায়ে হাত তোলার সাহস কারো হয় নি। রাতের বেলা হযরত রাসূল (সাঃ) যে পথ দিয়ে চলাফেরা করতেন, তাকে কষ্ট দেওয়ার মানসে সে পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখা হতো।

একবার প্রিয় নবী (সাঃ) কা‘বা প্রাঙ্গণে সালাত আদায়ে রত ছিলেন। কুরায়শরা তখন সেখানে উপবিষ্ট ছিল। এমন সময় আবূ জাহেল বলে উঠলো, অমুক স্থানে উট যবাহ হয়েছে। তার ভুঁড়ি সেখানে পড়ে আছে। কেউ একজন তা উঠিয়ে নিয়ে এসে মুহাম্মদের উপর ফেলে দাও। উকবা ইব্‌ন আবী মুআইত উঠে গিয়ে তৎক্ষণাৎ তা নিয়ে এলো এবং যখনই তিনি সিজদায় গেলেন তখন সে তা তার পিঠের উপর ফেলে দিল। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তো তখন আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন বিধায় তা টেরও পেয়ে উঠেন নি, কিন্তু কাফিররা পৈশাচিক উল্লাসে ও অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসঊদ (রা) তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কাফিরদের ভিড় দেখে তিনি কিছু করতে সাহস পেলেন না। ঘটনাচক্রে হযরত ফাতিমাতুয্ যুহরা (রা) সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনি তখন বালিকা মাত্র। তিনিই অগ্রসর হয়ে পিতার পিঠ থেকে বহুকষ্টে উটের ভুঁড়ি সরালেন এবং এ সময় তিনি নরপিশাচ কাফিরদেরকে আচ্ছা করে ভর্ৎসনা করেন।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ঘরে প্রায়ই ঢিল পাথর ছোঁড়া হতো। নানারূপ আবর্জনাও নিক্ষিপ্ত হতো তাঁর বাসগৃহে। একবার তিনি ভর্ৎসনার সুরে বললেন : হে বনূ আবদে মানাফ। প্রতিবেশীর উত্তম হকই তোমরা আদায় করছো! কখনো তাকে শায়ের বা কবি, আবার কখনো সাহের বা যাদুকর বলে আখ্যায়িত করা হতো। কখনো তাঁকে জ্যোতিষীর খেতাব দেয়া হতো, আবার কখনো জিনগ্রস্ত বা উন্মাদ বলে অভিহিত করা হতো। মোদ্দাকথা, মক্কার কাফিররা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীদেরকে নির্যাতন করতে এবং তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে কোনরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন করেনি। এ জন্যে হেন কোন পন্থা নেই–যা তারা অবলম্বন করেনি। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ও পূর্ণোদ্যমে সাহস ও প্রত্যয়ের সাথে তার প্রচারকার্যে নিয়োজিত ছিলেন। কাফিররা যখন নিশ্চিত হলো যে, তাদের সকল চেষ্টাই পণ্ড হতে চলেছে এবং এতসব পরেও বিন্দুমাত্র সাফল্য অর্জন তাদের পক্ষে সম্ভবপর হয়নি, তখন তারা বাধ্য হয়ে অন্য পথ অবলম্বন করলো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন