hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৯১
সত্য সমাগত বাতিল ভূ-লুণ্ঠিত
কা‘বাঘরে মূর্তি ভাঙ্গা সমস্ত আরবদেশের মূর্তি ভাঙ্গার শামিল ছিল। অনুরূপভাবে মক্কার কুরায়শদের ইসলামের দাখিল হওয়া এবং ইসলামের আনুগত্য অবলম্বন করা সারা আরবদেশের অনুগত হওয়ার সমতুল্য ছিল। কেননা, সমস্ত আরবের দৃষ্টি ছিল মক্কার কুরায়শদের প্রতি, তারা ইসলাম গ্রহণ করে কিনা। মক্কা বিজয়ের পর বহু কুরায়শ মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অনেকে তাদের কুফর ও মূর্তিপূজায় অটল রইল। কাউকে জোর করে মুসলমান বানানোর চেষ্টা আদৌ করা হয়নি বরং লক্ষ্য ছিল শুধু শান্তি-নিরাপত্তা কায়েম করা এবং ফিতনা-ফাসাদ ও নিরাপত্তাহীনতা দূর করা। এখন সে আশংকা আর নেই এবং জনগণ ধর্মীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে। এই ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থায় মূর্তিপূজকদের ইসলামকে জানা ও বুঝার সুযোগ হলো এবং তারা একের পর এক অতি দ্রুত সানন্দে ইসলাম গ্রহণ করতে লাগলো। এমনকি অল্পদিনের মধ্যেই সবাই ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হলো।

মক্কা বিজয় সমাপ্ত করে হযরত নবী করীম (সাঃ) মক্কা শহরে ঘোষণা করলেন যে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারা তাদের গৃহে কোন মূর্তি রাখতে পারবে না। তারপর তিনি মক্কার আশপাশের মশহুর মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলতে এবং দেবালয়গুলো ধ্বংস করার জন্য ছোট ছোট সেনাদল প্রেরণ করলেন। একটি খেজুর বাগানে স্থাপিত বনূ কিনানার উযযা নামক মূর্তিটি ভাঙ্গার জন্য হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা)-কে ত্রিশ হাজার আরোহীসহ প্রেরণ করলেন। হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা) গিয়ে উয্‌যাকে টুকরো টুকরো করে ফেললেন এবং তার মন্দিরটি বিধ্বস্ত করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেন। হযরত আমর ইবনুল ‘আস (রা)-কে হুযায়ল-এর সুআ‘ নামক মূর্তিটি ভেঙে ভূমিসাৎ করার জন্য প্রেরণ করা হলো। হযরত আমর ইবনুল ‘আস (রা) যখন মন্দিরের নিকট পৌঁছলেন, তখন পূজারীরা বললো, তোমার কি ক্ষমতা আছে? হযরত আমর ইবনুল ‘আস (রা) বললেন, তোমরা দেখতে থাক। একথা বলে মন্দিরে প্রবেশ করলেন এবং মূর্তিটি টুকরো টুকরো করে ফেললেন। পূজারীরা তৎক্ষণাৎ মূর্তিপূজা থেকে তওবা করে মুসলমান হয়ে গেলো। হযরত সা‘দ ইব্‌ন যায়দ আশহালী (রা)-কে ‘মানাত নামীয় মূর্তি ভাঙার জন্য কুদায়দ নামক স্থানে পাঠানো হলো। সেখানকার পূজারীরাও বিশ্বাস করত যে, মুসলমানরা কখনো মূর্তি ভাঙতে পারবে না। কিন্তু তারা দেখতে পেলো যে, মুসলমানরা সেখানে গিয়েই সেটি ভেঙেচুরে মন্দির মিসমার করে ফেললো। অনুরূপ আরো অনেক মন্দির ধ্বংস হলো। এরপর কোন কোন গোত্রে ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত নবী করীম (সাঃ) প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেন। হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা) বনূ জুযায়মা গোত্রে প্রেরিত হলেন। তাকে রক্তপাত করতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ঘটনাচক্রে হযরত খালিদ (রা)-কে যুদ্ধ করতে হলো এবং বনূ জুযায়মার কয়েকজন লোক নিহত হলো। হযরত খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা) যখন তাদের ধন-সম্পদ মালে গনীমত হিসাবে মক্কায় নিয়ে এলেন, তখন হযরত নবী করীম (সাঃ) এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন। তিনি হযরত আলী (রা)-এর মাধ্যমে বনু জুযায়মার মাল-পত্র ও তাদের নিহতদের রক্তপণ তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। মক্কা বিজয়ের পর তিনি মক্কা মুআয্‌যমায় পনের দিন অবস্থান করেন এবং সালাতে কসর আদায় করতে থাকেন। মক্কায় তাঁর অনির্দিষ্টকাল অবস্থানে আনসারদের মনে সন্দেহ হলো। তারা ভাবলেন, সম্ভবত তিনি মক্কায়ই বসবাস করবেন এবং মদীনায় ফিরে আসবেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন