hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৫৬
গাযওয়া সাবীক
নজদের এই অভিযান থেকে ফিরে এসে প্রায় তিন মাসকাল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থান করেন। আবূ সুফিয়ান উহুদ যুদ্ধে বলে গিয়েছিল, আগামী বছর বদর প্রান্তরে আবার যুদ্ধ হবে। মুসলমানগণ সে প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলেন। মদীনার মুনাফিকরা রাত-দিন মুসলমানদের ক্ষতি করার চিন্তায় লিপ্ত থাকত। তারা নাঈম ইব্‌ন মাসউদকে মক্কায় প্রেরণ করলো। উদ্দেশ্য কুরায়শদের উহুদের প্রস্তাব স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা। নাঈম আবূ সুফিয়ানকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করলো। মক্কায় ঐ বছর কিছুটা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটন ছিল। আবূ সুফিয়ান বললো, আমরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু তুমি একটি কাজ করবে। মদীনায় গিয়ে আমাদের বিরাট যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা শোনাবে এবং মুসলমানদের মনে ত্রাস সঞ্চার করবে যাতে তারা মদীনা থেকে বের না হয় আর এ বছর যুদ্ধ না হয়। তুমি যদি এ কাজটি করতে পার, তাহলে তোমাকে বিশটি উট পুরস্কার দেয়া হবে। নাঈম মদীনায় এসে খুব ফলাও করে কুরায়শদের যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা সর্বত্র প্রচার করতে শুরু করলো। এই প্রচারণা শ্রবণ করে মুসলমানরা কতকটা চিন্তান্বিত হয়ে পড়লেন। কিন্তু হযরত উমর ফারুক (রা) হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট গিয়ে বললেন, আপনি আল্লাহর সত্য রাসূল! তবু মুসলমানরা এই খবর শুনে ঘাবড়াচ্ছে কেন? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, একজন লোকও যদি আমার সাথে না যায়, তবু আমি একাকী ওয়াদা মতো কাফিরদের মুকাবিলায় বদর প্রান্তরে গিয়ে উপস্থিত হবো। এরপর তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন এবং বদরের দিকে রওয়ানা হলেন। তাঁর সাথে দেড় হাজার সাহাবা ছিলেন। রওয়ানার সময় তিনি আবদুল্লাহ ইব্‌ন রাওয়াহা (রা)-কে মদীনায় শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। এবার তিনি তাঁর বাহিনীর ঝাণ্ডা সোপর্দ করেছিলেন হযরত আলী (রা)-কে। সমগ্র বাহিনীতে এবার দশটি ঘোড়া ছিল। আবূ সুফিয়ান যুদ্ধ থেকে জান বাঁচাতে ও পাশ কাটাতে চেয়েছিল। কিন্তু সে যখন নবী করীম (সাঃ)-এর মদীনা থেকে রওয়ানা হওয়ার কথা জানতে পারলো, তখন মক্কা থেকে দু’হাজার যুদ্ধবাজ সৈন্য নিয়ে যাত্রা করলো। দুর্ভিক্ষের কারণে ঐ সৈন্যদের কাছে খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে সামান্য ছাতু ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এজন্য ঐ সৈন্যবাহিনীর নাম ‘জায়শু’স সাবীক’ (ছাতু বাহিনী) নামে মক্কায় প্রসিদ্ধি লাভ করে।

আবু সুফিয়ানের বাহিনীতে এবার পঞ্চাশজন ঘোড়সওয়ার ছিল। এই দু’হাজার সৈন্য যখন ‘উসফান’ নামক স্থানে পৌঁছলো, তখন জানতে পারল যে, মুসলিম বাহিনীতে দেড় হাজার জানবাজ সৈন্য রয়েছে। মক্কাবাসী বদর ও উহুদ যুদ্ধে দেখেছিল যে, এক-তৃতীয়াংশ ও এক-চতুর্থাংশ মুসলমানের কাছেও তাদের পরাজয় মানতে হয়েছে। এবার যদিও মুসলমান সংখ্যায় কম অর্থাৎ মাত্র তিন-চতুর্থাংশ ছিল, কিন্তু এই সংখ্যার কথা শুনে কাফিরদের আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেলো এবং ‘উসফান’ থেকেই এই কথা বলে মক্কা প্রত্যাবর্তন করলো যে, আমরা দুর্ভিক্ষের সময় যুদ্ধ করা পছন্দ করি না। এই বাহিনী যখন রাস্তা থেকেই মক্কায় ফিরে গেলো, তখন মক্কার মহিলারা বললো, তোমরা কেবল ছাতু খাওয়ার জন্যই গিয়েছিলে। যুদ্ধ করার জন্য গিয়ে থাকলে ফিরে এলে কেন?

হযরত নবী করীম (সাঃ) বদর প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে আট দিন পর্যন্ত কাফিরদের অপেক্ষা করলেন। অষ্টম দিন মা‘বাদ ইব্‌ন আবী মা‘বাদ খুযাঈ এসে জানালো, আবূ সুফিয়ান মক্কা থেকে রওয়ানা হয়ে উসফান নামক স্থানে পৌঁছে পুনরায় মক্কায় ফিরে গেছে। হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) একথা শুনে বদর থেকে মদীনা মুনাওয়ারা চলে এলেন। চতুর্থ হিজরীর রজব মাসের শেষ দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই অভিযান ‘গাযওয়া বদর মাওয়িদ’, ‘গাযওয়া বদর ছানী’, ‘গাযওয়া বদর সুগরা’ ও ‘গাযওয়া বদর উখরা’ নামে মশহুর। এ অভিযানে মুসলমানরা গনীমতের মাল না পেলেও এই সময় যেহেতু বদর প্রান্তরে মেলা বসার প্রচলন ছিল তাই তারা তেজারতের মাধ্যমে লাভবান হলেন।

হযরত নবী (সাঃ) শাবান মাসে মদীনায় ফিরে এলেন। এই বছরই ইমাম হুসায়ন ইব্‌ন আলী (রা) জন্মগ্রহণ করেন। এই বছরই মদ হারাম হয়। এই বছরই হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর দৌহিত্র আবদুল্লাহ ইব্‌ন উসমান (রা) ছয় বছর বয়সে ইনতিকাল করেন। এই শিশুটির মৃত্যুর কারণ ছিল এই যে, মোরগে চোখের মধ্যে থাবা মেরেছিল। আর যন্ত্রণা থেকে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই বছরই উম্মুল মু’মিনীন হযরত যয়নব বিন্‌ত খুযায়মা ইনতিকাল করেন। এই বছরই হযরত নবী করীম (সাঃ) আবূ সালামা মাখযুমীর ইনতিকালের পর তার বিধবা স্ত্রী হযরত উম্মে সালামা (রা)-কে বিবাহ করেন। হযরত ফাতিমা বিন্‌ত উসায়দ (রা) হযরত আলী (রা)-এর মাও এই বছর ইনতিকাল করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন