hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২২৮
ইসলামী খিলাফত
মানব জাতির সমগ্র উন্নতি-উৎকর্ষ এবং মানুষের সমস্ত জ্ঞানগত ও চরিত্রগত শ্রেষ্ঠত্ব মূলত আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ)-এর শিক্ষাবলীরই ফল। হযরত আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ) পৃথিবীতে কখনো শিক্ষক হিসাবে আগমন করেছেন-যেমন, হযরত ঈসা (আ)। আবার কখনো বাদশাহ হিসাবে এসেছেন-যেমন হযরত দাউদ (আ)। বাদশাহ নবীর শরীআত শিক্ষক-নবীর শরীআতের তুলনায় অধিক পূর্ণাঙ্গ ও বৃহৎ। শিক্ষক-নবী তার উম্মতের প্রত্যেক সদস্যের জীবনের জন্য একটি আদর্শ পেশ করেন। কিন্তু বাদশাহ নবী আদর্শ পেশ করা ছাড়াও ঐ আদর্শের উপর লোকদেরকে আমলকারী বানিয়ে তোলেন। অর্থাৎ তার আনীত শারীআতকে প্রায়োগিক আইনের মর্যাদা দেয়া হয়। শিক্ষক-নবী যখন তাঁর মিশন শেষ করে এই দুনিয়া থেকে চলে যান, তখন নবুওয়াত কার্যে অন্য কেউ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারে না। কেননা, নবী আল্লাহ্ তা‘আলার হুকুম পেয়ে বান্দাদের নিকট খবর পৌঁছান। অর্থাৎ তার উপর ওয়াহী নাযিল হয়। এখন এই কাজে কেউ যদি তার স্থলাভিষিক্ত হন, তাহলে তার উপরও ওয়াহী নাযিল হওয়া উচিত এবং নবী যে কাজ করতেন, তিনিও তাই করবেন। এমতাবস্থায় খোদ ঐ স্থলাভিষিক্তকেও নবী বলা হবে এবং তার মধ্যে ও তার পূর্ববর্তীর মধ্যে কোন তফাৎ থাকবে না। প্রথম নবী দুনিয়া থেকে তখনই বিদায় হন, যখন নবুওয়াতের কার্য সমাপ্ত করে ফেলেন, তাই তার জন্য কোন স্থলাভিষিক্ত অর্থাৎ অন্য কোন নবীর আদৌ প্রয়োজন হয় না। আর এ কারণেই সে নবী শুধু শিক্ষক-নবী ছিলেন, তার কোন স্থলাভিষিক্ত ছিল বলে শোনা যায় না। কিন্তু বাদশাহ-নবী যেহেতু নবী হওয়া ছাড়া বাদশাহও হয়ে থাকেন, তাই তাঁর তিরোধানের পর নবুওয়াত কার্যে তার কোন স্থলাভিষিক্ত হন না বটে, কিন্তু সালতানাত কার্যে অবশ্যই তার স্থলাভিষিক্ত হন। বাদশাহ-নবীর স্থলাভিষিক্তও বাদশাহ্ হন এবং যেহেতু তিনি নবী কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পূর্ণরূপে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন, সেহেতু তাঁর সালতানাত ও রাজত্বের নমুনা আরও উৎকৃষ্টতম হয়ে থাকে। এই স্থলাভিষিক্ত বা খলীফা নবীর আনীত শরীআতে তিল পরিমাণও পরিবর্তন সাধন করতে পারেন না। কেননা, নবুওয়াতকার্য অর্থাৎ শরীআতের কাজ তো নবীই শেষ করে গেছেন। রাসূলের এই খলীফার কাজ হচ্ছে কেবল আপন রাসূলের পূর্ণ তরীকা মতো রাজত্ব ও সালতানাতের কাজ চালানো। এ জন্যই তাঁর রাজত্ব ও সালতানাত অন্যান্য রাজত্ব থেকে অধিক শ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্ট ও শ্রদ্ধার্থ বিবেচিত হয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেহেতু পূর্ণ, পরিণত ও শেষ রাসূল ছিলেন এবং পরিপূর্ণ নির্দেশপত্র নিয়ে এসেছিলেন, সেহেতু তিনি বাদশাহ-নবী ছিলেন। তাঁর রাজত্ব ও সালতানাত দুনিয়ার তামাম রাজত্ব ও সালতানাতের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত উৎকৃষ্টতম আদর্শ-যেমনিভাবে নবী করীম (সাঃ)-এর জীবন কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষের জন্য উৎকৃষ্টতম জীবনাদর্শ। নবী করীম (সাঃ)-এর পর তার স্থলাভিষিক্ত বা খলীফা হওয়া প্রয়োজন ছিল। তাই সালতানাতের কার্যে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এই স্থলাভিষিক্তদের মধ্যে যারা সরাসরি নবী করীম (সাঃ)-এর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও আশীর্বাদপ্রাপ্ত অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন, তারা সালতানাতের খলীফা ছিলেন, তাঁরা সালতানাত ও রাজত্বকে নবী করীম (সাঃ)-এর রাজত্ব ও সালতানাতের সাথে অধিক সামঞ্জস্যশীল রাখার অধিক যোগ্যতা ও দক্ষতা রাখতেন। সুতরাং তাদের রাজত্ব ও সালতানাত খিলাফাতে রাশিদা নামে অভিহিত হয়েছে। তারপর যতই নবী করীম (সাঃ) থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে খিলাফতের অবস্থা ও মর্যাদার মধ্যে ততই তারতম্য ঘটেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন