hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩২০
তিকরীত ও জাযীরা বিজয়
উপরোক্ত বর্ণনা থেকে হিজরী ২৬ সনের রজব পর্যন্ত সিরিয়া ও ইরাকে সংঘটিত ইসলামের ইতিহাসের ঘটনা সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা করা যাবে। এবার রোম ও ইরানের অন্যান্য ঘটনা বর্ণনার পূর্বে তিকরীত বিজয় ও মুসলিম বাহিনী কর্তৃক জাযীরা প্রদেশ দখলের ঘটনাবলী বর্ণনা করা প্রয়োজন। কেননা, তিকরীতে রোমান ও ইরানী বাহিনী সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের মুকাবিলা করেছিল। অনুরূপভাবে মুসলমানদের ইরাকী ও সিরীয় উভয় বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে জাযীরা মুসলমানগণের দখলে এসেছিল। তাছাড়া উল্লিখিত ঘটনাসমূহের পরপরই তিকরীত ও আল-জাযীরার ঘটনাবলী ঘটেছিল।

তিকরীতে একজন ইরানী সুবাদার (প্রাদেশিক শাসনকর্তা) থাকতেন। তিনি যখন শুনলেন, মুসলমানগণ মাদায়েন দখল করে নিয়েছে, তখন তিনি রোমানদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। যেহেতু রোমানদের উপরও মুসলিম বাহিনী আঘাত হেনেছিলো তাই ওরা সহজেই ঐ সীমান্তবর্তী সুবাদারের সাহায্যে এগিয়ে আসে। সাথে সাথে আয়াদ, তাগলিব, নাহার প্রভৃতি আরব বংশোদ্ভূত খ্রিস্টান গোত্রগুলোও রোমানদের প্ররোচনায় তিকরীতের শাসকের সাথে যোগ দেয়। হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর নির্দেশ অনুযায়ী হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন মুতঈমকে পাঁচ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনীসহ তিকরীতের দিকে প্রেরণ করেন। ইসলামী বাহিনী তিকরীত ঘেরাও করে ফেলে। এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর রোমান ও ইরানীরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। আরব বংশোদ্ভূত অধিকাংশ গোত্রই ইসলাম গ্রহণ করে। অতি অল্প সংখ্যক ইরানী ও রোমান সৈন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকীরা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। এ যুদ্ধে এত বিরাট পরিমাণ ‘মালে গনীমত’ মুসলমানদের হস্তগত হয় যে, খুমূস (রাষ্ট্রীয় পঞ্চমাংশ) বের করে নিয়ে যখন অবশিষ্ট মাল-সম্পদ মুজাহিদের মধ্যে বন্টন করা হয়, তখন একজন অশ্বারোহীর ভাগে পড়ে তিন তিন হাজার দিরহাম।

জাযীরা প্রদেশ কখনো রোমান সাম্রাজ্যের প্রভাবাধীন থাকত, আবার কখনো ইরানী সাম্রাজ্যের অধিকারে চলে যেত। জাযীরাবাসীরা ইসলামী বিজয় অভিযানের পর্যালোচনা করে হিরাক্লিয়াসের কাছে লিখলো : আপনি সিরিয়ার পূর্ব সীমান্তের শহরসমূহের দিকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রেরণ করুন। আমরা সকলে মিলে আপনাকে ও আপনার বাহিনীসমূহকে সাহায্য করবো। হিরাক্লিয়াস জাযীরাবাসীদের এ আবেদনকে একটি গাইবী মদদ মনে করে পূর্ব সীমান্তবর্তী শহরসমূহের দিকে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। হযরত ফারূকে আযম (রা) এ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সাথে সাথে হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-কে লিখেন : জাযীরাবাসীদেরকে প্রতিরোধ কর, যেন তারা বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারে। অপর দিকে হযরত আবূ উবায়দা (রা)-কে লিখেন : কায়সারের বাহিনী রুখে রাখ, যাতে তারা হিমস্ ও কানসারীনের দিকে অগ্রসর হতে না পারে। ইরানী ও সিরীয় উভয় বাহিনী-ই যেন নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করে। ফলে কয়েকটি ছোট খাটো যুদ্ধের পর সমগ্র জাযিরা প্রদেশ, হযরত আয়াস ইব্‌ন গানাম (রা)-এর নেতৃত্বে মুসলিম অধিকারে চলে আসে। এ হলো হিজরী ১৭ সনের ঘটনা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন