hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৭৯
ফিজারের যুদ্ধ : প্রথমবারের মত যুদ্ধে অংশগ্রহণ
ওকাযে জমজমাট মেলা বসতো প্রতিবছরেই। সেখানে মুশায়েরা বা কবিসভা হতো। ঘোড়-দৌড় হতো, হতো কুস্তি ও সমরকৌশলের প্রতিযোগিতা। আরবের প্রতিটি কবীলাই ছিলো চরম যুদ্ধবাজ। কথায় কথায় তলোয়ার বের হয়ে আসতো খাপ থেকে। ওকাযের মেলায় কী একটা তুচ্ছ কথা নিয়ে হাওয়াযিন ও কুরায়শ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেল। প্রথমে তো উভয় কবীলার বিচক্ষণ লোকেরা মধ্যে পড়ে কথা বাড়তে দেননি। ঝগড়া সেখানেই রফা হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিটি জাতির মধ্যে দুষ্ট প্রকৃতির লোকই সংখ্যায় বেশী থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হলো। ফলে একটা মীমাংসিত ব্যাপারও মীমাংসিত রইলো না। পুনরায় উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু হলো। মারামারি কাটাকাটি হানাহানিতে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলো। এ যুদ্ধটি মুহাররম মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাই এটা হরবুল ফিজার বা অন্যায় যুদ্ধ নামে অভিহিত হয়। কেননা আরবদের প্রচলিত ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী মুহাররম মাসে যুদ্ধবিগ্রহ অত্যন্ত পাপের কাজ ছিল। তাই পূর্ব থেকে চলে আসা যুদ্ধও এ মাসে মুলতবি হয়ে যেতো। এ যুদ্ধটি ছিল চারটি বড় বড় যুদ্ধের এক অবিশ্রান্ত ধারা। এক যুদ্ধের পর আরেক যুদ্ধের তীব্রতা ও ভয়াবহতা হতে অনেক বেশী। কেননা হাওয়াযিন কবীলার পক্ষে কায়স আইলানের সমস্ত শাখা গোত্র এবং কুরায়শের পক্ষে কিনানা কবীলার সমস্ত শাখা গোত্র এসে যুদ্ধে যোগদান করে। ফলে যুদ্ধটি বিস্তৃত হয়ে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। চতুর্থ বা সর্বশেষ যুদ্ধটি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। এ যুদ্ধে অনেক সর্দার নিজ নিজ পায়ে এজন্য জিঞ্জির বেঁধে নেন যাতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবার সুযোগ অবশিষ্ট না থাকে। এই শেষ বা চতুর্থ যুদ্ধে আমাদের মুহাম্মদ (সাঃ) প্রথমবারের মতো অস্ত্র সজ্জিত হয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। বনূ কিনানার প্রতিটি কবীলার ভিন্ন ভিন্ন সিপাহসালার ছিল। সে হিসাবে বনূ হাশিমের সিপাহসালার ছিলেন তাঁর চাচা যুবায়র ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব এবং বৃহত্তর বনূ কিনানা বংশের প্রধান সেনাপতি ছিলেন হার্‌ব ইব্‌ন উমাইয়া। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বয়স ছিলো তখন পনের বছর। তার উপর দায়িত্ব ছিল চাচাদেরকে তীর কুড়িয়ে এনে দেয়া। সরাসরি কারো সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ তার হয়নি। যুদ্ধের প্রথম দিকে বনী হাওয়াযিনের পাল্লা ভারী ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বনী কিনানাই জয়ী হয় এবং কায়েস বংশীয় কবীলাসমূহ পরাস্ত হয়। ইব্‌ন খালদূনের রিওয়ায়ত অনুসারে ফিজার যুদ্ধের সময় নবী করীম (সাঃ)-এর বয়স ছিল দশ বছর মাত্র। কিন্তু বিশুদ্ধতম মত হলো ফিজার যুদ্ধ ৫৮১ খ্রিস্টাব্দে১ সংঘটিত হয় আর তখন তার বয়স ছিলো এগার বছর।২

─────────────────১. এ পুস্তকে প্রদত্ত জন্মসাল (৫৭১ খৃ.)-কে বিশুদ্ধ মেনে নিলে ৫৮১ খৃ. কোনক্রমেই নবী (সাঃ)-এর বয়স এগার বছরের বেশী ছিলো না। তবে এ যুদ্ধটি দীর্ঘ চার বছর পর্যন্ত চলেছিলো বিধায় যুদ্ধের শেষ দিকে চতুর্থ যুদ্ধের সময় তার বয়স পনের বছর হতে পারে।—অনুবাদক

২ কারো কারো মতে ৫৮৪ খৃ.-৫৮৯ খৃ. হরবে ফিজার সংঘটিত হয়।—সম্পাদক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন