hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৪১
বায়‘আত
হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাতের খবর শুনে একদিকে মসজিদে নববীতে লোকজন জমা হয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই ছিলেন মুহাজির। কেননা, মুহাজিরদের ঘরদোর ঐ মহল্লায়ই ছিল বেশী। এখানে আনসার অনেক কম ছিল। অপর দিকে বাজার সংলগ্ন সাকীফা বনূ সাইদায় ছিল মুসলমানদের আরেকটি সমাবেশ। এই সমাবেশের প্রায় সকলেই ছিলেন আনসার। ঘটনাক্রমে দু’একজন মুহাজিরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামের সূচনা ও তার ক্রমবিকাশ, শত্রুদের অপচেষ্টা, যুদ্ধ-বিগ্রহের ডামাডোল, শিরকের পরাজয় ও বিলুপ্ত হওয়া এবং ইসলামী আইন-কানুনের সামনে সকলের মাথা নত করা—এসব কিছুই ছিল তাদের দৃষ্টিপথে দেদীপ্যমান। তাঁরা এত জানতেন যে, হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাতের পর এই ব্যবস্থা কেবল তাঁর স্থলাভিষিক্ত নির্বাচনের মাধ্যমেই সুষ্ঠুভাবে কায়েম থাকতে পারে।

মসজিদে নববীতে হযরত উমর ফারূক (রা)-এর প্রেমিকসুলভ ভাবাবেগ লোকদেরকে খিলাফত বিষয়ে কিছু চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগই দেয়নি। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাতের খবর শুনে যদি দ্রুত এখানে না পৌঁছাতেন, তবে আল্লাহ্ জানেন মসজিদে নববীতে রাসূল-প্রেমিকগণের এই চিত্তচাঞ্চল্য ও অস্থিরতার ভাব কতক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতো। পক্ষান্তরে অপর সমাবেশটির—যা হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবাদার বৈঠকখানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছিল—অবস্থা তদ্রুপ ছিল না। সেখানে খলীফা নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা হলো। এই সমাবেশ ছিল আনসারদের জনৈক গোত্রপতির বৈঠকখানায় যিনি ছিলেন খাযরাজ গোত্রের সরদার। আর খাযরাজ গোত্র ছিল জনসংখ্যা ও ধন-দৌলতে আনসারদের অপর গোত্র আওস থেকে শ্রেষ্ঠ ও উন্নত। তাই এই সমাবেশের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ছিল, হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবাদা (রা)-কে খলীফা অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর স্থলাভিষিক্ত বানাতে হবে। মুহাজিরদের লোকসংখ্যা যদিও মদীনায় আনসারদের চেয়ে কম ছিল, কিন্তু তাদের গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব আনসারদের অন্তরে এতই প্রবল ছিল যে, হযরত সা‘দ (রা) যখন খিলাফত আনসারদেরই প্রাপ্য বলে প্রমাণ করতে চাইলেন, তখন আনসারদের এক ব্যক্তি বাধা দিয়ে বললেন, মুহাজিরগণ আনসারদের খিলাফত কিভাবে মেনে নেবেন? এর উত্তরে অপর একজন আনসার বললেন, তারা যদি মেনে না নেন, তাহলে আমরা তাদের বলে দেবো যে, তোমরা তোমাদের মুহাজিরদের মধ্য থেকে একজন খলীফা বানিয়ে নাও, আর আমরা আমাদের আনসারদের মধ্য থেকে একজন খলীফা বানিয়ে নিয়েছি। হযরত সা‘দ (রা) বলেন, না, এটা এক ধরনের দুর্বলতা। অন্য একজন আনসার বললেন, মুহাজিররা যদি আমাদের খলীফাকে মেনে না নেয়, তাহলে আমরা তাদেরকে তলোয়ারের মাধ্যমে মদীনা থেকে বের করে দেবো। ঐ সমাবেশে যে ক’জন মুহাজির ছিলেন, তারা উচ্চকণ্ঠে আনসারদের বিরোধিতা করলেন। এইভাবে ঐ সমাবেশে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গেলো। এমনকি এই অপ্রীতিকর অবস্থা বাড়তে বাড়তে যুদ্ধ ও সংঘাতের আশংকা দেখা দিলো।

এই ভয়াবহ রূপ দেখে হযরত মুগীরা ইব্‌ন শু‘বা (রা) সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লেন এবং মসজিদে নববীতে এসে সাকীফা বনূ সাইদার ঘটনা বর্ণনা করলেন। এ দিকে মসজিদে নববীতে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) তাঁর বক্তৃতা শেষ করে কাফন-দাফনের উপকরণ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি এই আতঙ্কজনক খবর শুনে হযরত উমর ফারূক (রা) ও হযরত আবূ উবায়দা (রা)-কে সঙ্গে নিয়ে সাকীফা বনূ সাইদার দিকে গমন করেন এবং হযরত আলী (রা) ও অন্যান্য সাহাবাকে কাফনের কাজ সম্পন্ন করতে বলে গেলেন। তখন যদি হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) এতটুকু বিলম্ব করতেন, তাহলে আল্লাহ জানেন কি ভয়াবহ পরিস্থিতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতো। এই তিন বুযুর্গ যখন ঐ সমাবেশে পৌঁছলেন, তখন এক আশ্চর্য হুলস্থুল গোলমাল চলছিল। হযরত উমর ফারূক (রা) সেখানকার ঐ সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতে চাইলেন। কিন্তু হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) তাঁকে থামিয়ে দিলেন এবং নিজে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও শালীনতার সাথে বক্তৃতা করলেন।

হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) একটু আগেই হযরত উমর ফারুক (রা)-এর আত্মহারা অবস্থা অবলোকন করেছিলেন। তিনি মসজিদে নববীতে অসি হাতে চক্কর দিচ্ছিলেন আর বলছিলেন, যে ব্যক্তি বলবে যে, হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর মৃত্যু হয়েছে, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেবো। তাই হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) আশংকা করলেন যে, এখানেও তিনি চরম উত্তেজনা ও গভীর শোকে এরূপ কোন মন্তব্য করে না ফেলেন। তাই তিনি নিজেই সমাবেশকে সম্বোধন করে বক্তৃতা শুরু করলেন এবং তখন এরই প্রয়োজন ছিল। তিনি বললেন, প্রথমে মুহাজিরগণ আমীর হবেন এবং আনসারগণ হবেন ওয়াযীর। তাঁর বক্তব্য শুনে হযরত হুবাব ইব্‌নুল মুনযির ইবনুল জামূহ (রা) বললেন, আমাদের মধ্য থেকে একজন আমীর এবং তোমাদের মধ্য থেকে একজন আমীর নির্বাচিত হওয়াই উত্তম। হযরত উমর ফারূক (রা) হযরত হুবাব আনসারীর কথার জবাব দিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের অবশ্যই স্মরণ আছে যে, হযরত নবী করীম (সাঃ) মুহাজিরদের উপদেশ দিয়েছিলেন যে, আনসারদের সাথে তোমরা সদ্ব্যবহার করবে। আনসারদের তিনি মুহাজিরদের সাথে সদ্ব্যবহার করার উপদেশ দেননি। এতেই প্রমাণিত হয় যে, হুকুমত ও খিলাফত মুহাজিরদের মধ্যে থাকবে। হযরত হুবাব ইবনুল মুনযির (রা) তৎক্ষণাৎ হযরত উমর ফারূক (রা)-এর উক্তি খণ্ডন করলেন এবং তাদের স্বপক্ষে কিছু বলতে লাগলেন। ফলে, হযরত উমর ফারুক (রা) ও হযরত হুবাব (রা) উভয়েই উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতে লাগলেন। হযরত আবূ উবায়দা (রা) উভয়কেই থামতে ও চুপ করাতে চেষ্টা করলেন। ইতিমধ্যে হযরত বাশীর ইব্‌ন নু‘মান ইব্‌ন কা‘ব ইব্‌ন খাযরাজ আনসারী উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হযরত নবী করীম (সাঃ) নিঃসন্দেহে কুরায়শ বংশের ছিলেন। সুতরাং তাঁর কওম অর্থাৎ কুরায়শের লোকই খিলাফতের বেশী হকদার। আমরা নিঃসন্দেহে দীন-ইসলামের সাহায্য করেছি এবং আমরা অগ্রবর্তী মুসলমান। কিন্তু আমাদের ইসলাম গ্রহণ এবং হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সাহায্যের জন্য প্রস্তুত হওয়া নিছক আল্লাহ্ তা‘আলাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই ছিল। তার প্রতিদান আমরা এ দুনিয়ায় চাই না। আর না আমরা খলীফা ও আমীর হওয়ার ব্যাপারে মুহাজিরদের সাথে কোন ঝগড়া করা পছন্দ করি। হযরত হুবাব ইবনুল মুনযির বললেন, বাশীর! তুমি এখন কাপুরুষের মতো কথা বলছো! আর একটি গুছিয়ে আনা কাজকে নষ্ট করে দিতে চাচ্ছো। হযরত বাশীর (রা) বললেন, আমি কাপুরুষতা প্রকাশ করিনি বরং যে কওম খিলাফতের হকদার আমি এ বিষয়ে তাদের সাথে বিবাদ করা অপছন্দ করছি। হে হুবাব! তুমি কি শোননি যে হযরত নবী (সাঃ) বলেছেন : الاَئِمَّةُ مِنْ قُرَيْشٍ

অর্থাৎ “নেতা কুরায়শদের মধ্য থেকে হবে!”

হযরত বাশীর (রা)-এর এ উক্তিকে অন্য কয়েকজন আনসারও সমর্থন করলেন। আর এইভাবে এই আল্লাহ্ পোরস্ত কওম তাদের পার্থিব ও বৈষয়িক খিদমতকে তাদের দীনী ও রূহানী প্রেরণার উপর বিজয়ী হতে দিলেন না। হযরত হুবাব ইবনুল মুনযিরও একথা শুনে চুপ হয়ে গেলেন এবং তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর মত পরিবর্তন করলেন।

তিনি চুপ করার সাথে সাথে গোটা সমাবেশের উপর নীরবতা নেমে এলো এবং খিলাফত সম্পর্কে মুহাজির ও আনসারদের ঝগড়া তৎক্ষণাৎ দূর হয়ে গেলো। তখন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) বললেন, এখানে হযরত উমর ও হযরত আবূ উবায়দা উপস্থিত আছেন। তোমরা এ দু’জনের একজনকে বেছে নাও। হযরত আবূ উবায়দা (রা) ও হযরত উমর (রা) বললেন, না, হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) মুহাজিরদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তি। তিনি গুহার মধ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সঙ্গী ছিলেন। সালাতের ইমামতি করানোর ক্ষেত্রে হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁহাকে তাঁর প্রতিনিধি বানিয়েছিলেন। অথচ সালাত হচ্ছে দীনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট আমল। কাজেই হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর বর্তমানে অন্য কোন ব্যক্তি খলীফা ও আমীর হওয়ার যোগ্য হতে পারেন না। একথা বলেই সর্বপ্রথম হযরত ফারূক (রা) হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে বায়‘আত করলেন এবং তারপর হযরত আবূ উবায়দা (রা) ও হযরত বাশীর ইব্‌ন সা‘দ আনসারী (রা) বায়‘আত গ্রহণ করেন। এরপর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, চারদিক থেকে লোকজন বায়‘আত গ্রহণের জন্য ভেঙে পড়লো। এ খবর বাইরে পৌঁছে গেলো এবং লোকেরা শোনা মাত্র ছুটে এলো। মোটকথা, তামাম মুহাজির ও আনসার হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে বিনা মতানৈক্যে সর্বসম্মতভাবে বায়‘আত গ্রহণ করলেন।

আনসারদের মধ্যে কেবল হযরত সা‘দ ইব্‌ন উবাদা (রা) এবং মুহাজিরদের মধ্যে যারা কাফনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তারা ঐ সময় সাকীফা বনূ সাইদায় বায়‘আত গ্রহণ করতে পারেন নি। হযরত সা‘দ (রা) কিছুক্ষণ পর ঐ দিনই হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করলেন। মুহাজিরদের মধ্যে হযরত আলী (রা) এবং হযরত যুবায়র (রা) ও হযরত তালহা (রা) চল্লিশ দিন পর্যন্ত বায়‘আত গ্রহণ করেননি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সাকীফা বনূ সাইদার বায়‘আত অনুষ্ঠানে তাদেরকে কেন ডাকা হলো না!

হযরত আলী (রা) একদিন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর নিকট আগমন করলেন এবং বললেন, আমি আপনার শ্রেষ্ঠত্ব ও খলীফা হওয়ার যোগ্যতাকে অস্বীকার করছি না, কিন্তু কথা হচ্ছে, আমরা হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকটবর্তী আত্মীয়। আপনি সাকীফা বনূ সাইদায় আমাদের পরামর্শ ছাড়া কেন লোকদের নিকট থেকে বায়‘আত নিলেন? আপনি যদি আমাদেরকেও সেখানে ডেকে পাঠাতেন, তাহলে সর্বপ্রথম আপনার হাতে বায়‘আত গ্রহণ করতাম।

হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) বললেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আত্মীয়বর্গের সাথে সদ্ব্যবহার করা আমি আমার নিজের আত্মীয়বর্গের সাথে সদ্ব্যবহার করার চাইতেও অধিক পছন্দ করি। আমি সাকীফায় বায়‘আত গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাইনি বরং মুহাজির ও আনসারদের ঝগড়া মীমাংসা করা অত্যাবশ্যক ছিল। উভয় শ্রেণীই লড়াই করে মারতে ও মরতে প্রস্তুত ছিল। আমি কাউকে আমার হাতে বায়‘আত গ্রহণ করতে বলিনি বরং উপস্থিত জনতা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমার হাতে বায়‘আত গ্রহণ করেছেন। ঐ সময় যদি আমি বায়‘আত গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতাম, তবে এই আশংকা ও বিপত্তি পুনরায় ততোধিক শক্তি নিয়ে মাথাচাড়া দেয়ার প্রবল আশংকা ছিল। তুমি যখন কাফন-দাফনের সাজে মশগুল ছিলে, তখন আমি এই ত্বরিত কাজে তোমাকে কিভাবে সেখান থেকে ডেকে পাঠাতে পারতাম! হযরত আলী (রা) এই কথা শুনে তৎক্ষণাৎ তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন এবং তারপর দিন মসজিদে নববীতে সবার সামনে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন