hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪৭
মূর্তিপূজা
আরবের সর্বত্র ব্যাপকভাবে মূর্তিপূজার প্রকাশ্য প্রচলন ছিলো। নবী করীম (সাঃ)-এর চার শ‘ বছর পূর্বে পারস্য সম্রাট শাপূরের শাসনামলে হিজাযের বাদশাহ আমর ইব্‌ন লুহায়্যি, সর্বপ্রথম খানা কা‘বার ছাদে হুবল নামের মূর্তি এবং যমযম কূপের ধারে আসাফ ও নায়িলা নামের দু’টি মূর্তি রেখে সেগুলোর পূজার জন্য লোকজনকে উৎসাহিত করে। ঐ ব্যক্তি কিয়ামত বা পরকালে বিশ্বাসী ছিলো না। এ ছাড়াও ইয়াগৃছ, ইয়াউক, নসর, উদ্দ, সুওয়া প্রভৃতির দেবমূর্তির পূজা করতে বিভিন্ন কবীলার লোকজন। প্রত্যেক কবীলার নিজস্ব স্বতন্ত্র দেবমূর্তি ছিলো। উদ্দের আকার ছিল পুরুষের। নায়িলার অবয়ব ছিল নারীর। সুওয়াও ছিল নারীমূর্তি। ইয়াগূছের অবয়ব ছিলো সিংহের। ইয়াউকের অবয়ব ছিল ঘোড়ার এবং নসর ছিল শকুনাকৃতির। তাসাম এবং জাদীসের দেবমূর্তি ছিল অভিন্ন। কালব গোত্র উদ্দের পূজারী ছিল। এটা দূমাতুল জান্দালে অবস্থিত ছিলো। বনূ তামীম পূজা করতো তায়মের। হুযায়ল গোত্রের পূজা ছিল ‘সুওয়া’। মুযজাহ এবং ইয়ামানের গোত্রসমূহ পূজা করতো ইয়াগূছের। হিমইয়ারের ‘যুলকিলা’ গোত্র পূজা করতো শকুনাকৃতির নসর দেবমূর্তির। হামদানরা ইয়াউক দেবমূর্তির আর বনী ছাকীফ গোত্র তায়িফে লাতের পূজা করতো।

বনী ছাকীফের একটি শাখাগোত্র বনী মুগীছ লাত দেবতার দ্বাররক্ষী নিযুক্ত ছিলো। কুরায়শ ও বনী কিনানা উয্‌যার পূজারী ছিলো। বনূ শায়বা ছিলো উয্‌যার দ্বাররক্ষী। আওস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয় পূজা করতো মানাফের। বনী হাওয়াযিন জিহার, বকর ও তাগলিব আউয়ালের, বনী বকর ইব্‌ন ওয়ায়িল মুহরিকের, বনী মালকান ইব্‌ন কিনানা সাআদ-এর, বনী আনতারা সাঈদ-এর, বনী খাওলান উমিয়ানূসের, বনী তাঈ রিযা-এর এবং দুওস গোত্র যুল-কাফফায়নের পূজো করতো। উপরোক্ত দেবমূর্তি ছাড়াও জারীশ, শারিক, আয়িম, মাদান, আওফ, মান্নাফ প্রভৃতি প্রসিদ্ধ দেবমূর্তি কোন-না-কোন গোত্রের দ্বারা পূজিত হতো। খানা কা‘বায় যখন মূর্তিপূজারীদের সমাবেশ হতো তখন কোন গোত্রের লোক নির্ধারিত দিনে কা‘বায় পৌঁছতে না পারলে তারা দাওলার নামে একটি প্রস্তর স্থাপন করে তার চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করতো। আরব দেশে খানা কা‘বার মত আরো কয়েকটি মূর্তিপূজার কেন্দ্র ছিল। গাত্‌ফান গোত্র একেবারে কা‘বার আকৃতির একটি তীর্থকেন্দ্র বানিয়ে নিয়েছিল। তারা এর নাম রেখেছিল লাইস। সেখানেও তারা হজ্জ পালন করতো। বনী খাশআম যুলখালিসা নামে অপর একটি তীর্থকেন্দ্র নির্মাণ করেছিল। সেখানেও অনুরূপ হজ্জ পালিত হতো। উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে সাঈদা নামক একটি উপাসনালয় ছিল। আরবের মূর্তিপূজারীরা তারও হজ্জ পালন করতো। রবীআ গোত্রের উপাসনালয়ের নাম ছিল যুল-কা‘বাত। তারও তাওয়াফ করা হতো। নাজরানেও একটি গোত্রীয় উপাসনা মন্দির বিদ্যমান ছিল—যা তিন শ‘ চর্ম দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ওটাকে বলা হতো নাজরানের কা‘বা। আরবের মূর্তিপূজারীরা কা‘বার মতো, ওটারও-যিয়ারত করতে ছুটে যেতো। অধিকন্তু তারা ওটাকে হারামও বানিয়ে রেখেছিল, অর্থাৎ কোন হত্যাকারী ব্যক্তি ওখানে আশ্রয় গ্রহণ করলে ওখানে সে নিরাপদে থাকতে পারতো। খানা কা‘বার ছাদে হুবল ব্যতীত শামস নামক অপর একটি মূর্তিও ছিল। হযরত ইবরাহীম (আ), হযরত ইসমাঈল (আ), হযরত ঈসা (আ) এবং হযরত মারয়াম (আ)-এর মূর্তিও খানা কা‘বায় পূজিত হতো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন