hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৯৮
ইসলামী লশকরের যুদ্ধযাত্রা
মোটকথা, নবম হিজরীর রজব মাসে হযরত নবী করীম (সাঃ) ত্রিশ হাজার লশকর নিয়ে মদীনা থেকে রওয়ানা করেন। মদীনা থেকে এক ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত বী-রাওয়াঁ নামক বস্তিতে পৌঁছার পর মুনাফিকরা এসে তাকে বললো, আমরা একটি মসজিদ বানিয়েছি। আমাদের বাসনা যে, আপনি সেখানে গিয়ে সালাত আদায় করুন। তাহলে এ মসজিদটিও ভক্তিযোগ্য বিবেচিত হবে। তিনি বললেন, আমি এক্ষণে যুদ্ধযাত্রায় ব্যস্ত, ফেরার পথে দেখা যাবে। তিনি মদীনা থেকে বের হয়ে ছানিয়াতুল বিদা‘ নামক পাহাড়ের উপর ছাউনি স্থাপন করলেন এবং মুহাম্মদ ইব্‌ন মাসলামা আঁনসারী (রা)-কে মদীনার শাসক নিযুক্ত করলেন। মুনাফিকদের প্রধান সরদার আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়্যও তার দলবলসহ শহর থেকে বের হয়ে ছানিয়াতুল বিদা পাহাড়ের পাদদেশে তাঁবু গাড়লো। এতে বোঝা যাচ্ছিল যে, সেও যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু পরে জানা গেলো যে, তার উদ্দেশ্য ছিল লোকদেরকে হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে যেতে বাধা দেয়া। তিনি যখন লশকরসহ সামনে অগ্রসর হলেন, তখন মুনাফিকরা আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্যর সাথে মদীনায় ফিরে এলো। অবশ্য কোন কোন মুনাফিক গোয়েন্দাবৃত্তি চালিয়ে খ্রিস্টানদের সাহায্য করার জন্য ইসলামীলশকরে মিশে গেলো।

হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত আলী (রা)-কে তাঁর পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তার জন্য মদীনায় রেখে গিয়েছিলেন। মদীনায় মুনাফিকরা হযরত আলী (রা) সম্পর্কে বলাবলি করতে লাগলো যে, হযরত নবী করীম (সাঃ) হযরত আলী (রা)-কে পরোয়া করেন না। তিনি তাকে অপছন্দ করেন, তাই তাকে রেখে গেছেন। হযরত আলী (রা) এ কথা শুনে সহ্য করতে পারলেন না। সশস্ত্র হয়ে মদীনা থেকে চলে গেলেন এবং মদীনা থেকে ক্রোশখানেক দূরে অবস্থিত মাজরাফ নামক স্থানে হযরত নবী করীম (স)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, মুনাফিকরা আমার সম্পর্কে এরূপ কথা বলছে, তাই আমি আপনার নিকট চলে এসেছি। তিনি বললেন, তারা মিথ্যা বলছে। আমি আমার পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তার জন্য তোমাকে মদীনায় রেখে এসেছিলাম। যাও, তুমি মদীনায় চলে যাও। আর তার মনোসন্তুষ্টির জন্য বললেন, তুমি আমার সাথে ঠিক তদ্রুপ, যেমনটি হারূন ছিলেন মূসার সাথে। কিন্তু তফাৎ এতটুকু যে, আমার পর কেউ নবী হবে না। হযরত আলী (রা) সেখান থেকেই পুনরায় মদীনায় ফিরে এলেন। অলসতা বা দুর্বলতার কারণে যারা হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে রওয়ানা হতে পারেননি, তারা তাঁর রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর মদীনা থেকে রওয়ানা হলেন এবং পথিমধ্যে মনযিল ও বিরতিস্থানগুলোতে ইসলামী লশকরে যোগ দিলেন। যেসব মুনাফিক মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য ইসলামী লশকরের মধ্যে মিশেছিল, তারা রাস্তার বিভিন্ন মনযিল থেকে কেটে পড়তে লাগলো। কিন্তু তাদের এই অযৌক্তিক কাণ্ড দেখে মুসলমানগণ মোটেও প্রভাবিত হননি। হযরত নবী করীম (সাঃ) কারো কার্যকলাপে কোনরূপ আপত্তি তোলেননি এবং পথিমধ্যে যারা কেটে পড়লো, তাদেরও কোন পরোয়া করলেন না। যাত্রাপথে ছামূদ জাতির ধ্বংসপ্রাপ্ত বস্তি নজরে পড়লো। এই অঞ্চলের নাম ছিল হিজর। ইসলামী লশকর এই এলাকায় প্রবেশ করার পর হযরত নবী করীম (সাঃ) বললেন, তোমরা এ স্থানটি ইসতিগফার পড়তে পড়তে দ্রুত অতিক্রম করো আর এখানকার কূপের পানিও পান করো না। এই হিজর অঞ্চলের সীমানার মধ্যেই একটি রাত অবস্থান করতে হলো। হযরত নবী করীম (সাঃ) নির্দেশ দিলেন, কোন ব্যক্তি একাকী শিবির থেকে বের হবে না। তিনি দুর্গত অঞ্চলের ধ্বংসস্তূপের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় চাদর দ্বারা মুখ ঢেকে নিলেন, সওয়ারীকে মেহমীয লাগিয়ে দাবড়ে দিলেন। তিনি বললেন, তোমরা যখন কোন জালিম ও পাপীদের বসতি অতিক্রম করবে, তখন ইসতিগফার পড়তে পড়তে অতিক্রম করবে। মনে করবে, হয়তো আমাদের উপরও মুসীবত নাযিল হতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন