hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৬২
হযরত উসমান গনী (রা)-এর নির্দেশ
হযরত উসমান গনী (রা) প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাছে নির্দেশ পাঠান যেন তারা অবশ্য অবশ্যই হজ্জে অংশ গ্রহণ করেন। সে মতে মিসরের শাসক আবদুল্লাহ ইব্‌ন সা‘দ (রা), সিরিয়ার প্রশাসক মুআবিয়া ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা), বসরার প্রশাসক আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমের (রা) সহ সকল গভর্নর, কর্মকর্তা ও কর্মচারী হজ্জের মওসুমে মক্কা শরীফে এসে সমবেত হন। অপর দিকে আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সাবার প্রস্তাবানুযায়ী তার অনুগত লোকেরা প্রত্যেকটি প্রদেশ ও প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে রওয়ানা হয়ে মক্কা শরীফের পরিবর্তে মদীনা শরীফে এসে জড় হয়। হজের দিনগুলোতে হযরত উসমান গনী (রা) ঘোষণা দেন যে, এখানে (মক্কা শরীফে) সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত রয়েছেন। যদি তাঁদের কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে বিনা দ্বিধায় যেন তা পেশ করা হয়। কিন্তু সেখানে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ উত্থাপন করেনি। এবার খলীফার মজলিসে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ এ ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা কিভাবে দূর করা যায় সে সম্পর্কে পরস্পর শলা-পরামর্শ করতে থাকেন। কথার পিঠে কথা উঠে এবং প্রসঙ্গটি অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত হযরত উসমান গনী (রা) সকলকে সম্বোধন করে বলেন, এ ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা অবশ্য অবশ্যই ছড়িয়ে পড়বে এবং এর দ্বার শীঘ্রই উন্মুক্ত হবে। আমি চাই না যে, ফিতনার দরজা উন্মুক্ত করার দায়-দায়িত্ব আমার উপর পড়ুক। আল্লাহ্ তা‘আলা খুব ভালভাবেই অবগত আছেন যে, আমি মানুষের উপকার ছাড়া অপকার কখনো করিনি। আমি কখনো তাদের অমঙ্গল চিন্তা করিনি। তার একথা শুনে সকলেই নীরব হয়ে যান এবং হজ্জ সমাপনান্তে মক্কা শরীফ থেকে মদীনা শরীফের দিকে পৌঁছেই যে সমস্ত লোক বাইরে থেকে মদীনা শরীফে এসেছিল তাদেরকে একটি বৈঠকে আহ্বান করেন। তিনি ঐ বৈঠকে হযরত আলী (রা), হযরত তালহা (রা) এবং হযরত যুবায়র (রা)-কেও আহ্বান করেন। হযরত মুআবিয়া (রা)-ও মক্কা শরীফ থেকে হযরত উসমান গনী (রা)-এর সাথে মদীনা শরীফে এসেছিলেন এবং তিনিও ঐ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ঐ বৈঠকে হযরত মুআবিয়া (রা) সর্বপ্রথম উঠে দাঁড়ান এবং হামদ ও ছানার (আল্লাহর প্রশংসা ও নবীর প্রশস্তির) পর সকলকে সম্বোধন করে বলেন :

আপনারা সকলেই হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সাহাবী। আপনারা বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ এবং উম্মতের পৃষ্ঠপোষক। আপনারা আপনাদের বন্ধু উসমান গনী (রা)-কে কোনরূপ পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই খলীফা নির্বাচিত করেছেন। এখন তিনি বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তাঁর সম্পর্কে মানুষের মুখে মুখে নানা ধরনের কথাবার্তা শোনা যায়। যদি আপনারা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছে থাকেন, তাহলে তা প্রকাশ্যে বলুন। আমি তাঁর উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরী আছি। হ্যাঁ, আমি একথাও অবশ্যই বলে দিতে চাই যে, যদি কারো মনে খলীফা বা আমীর হওয়ার সাধ জাগে তাহলে তার বা তাদের মনে রাখা উচিত যে, শেষ পর্যন্ত পিছন ফিরে পালানো ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জুটবে না।

হযরত আলী (রা) হযরত মুআবিয়া (রা)-এর বক্তৃতার শেষ বাক্যটির উপর তাকে একটি শাসানি দেন এবং অন্য কোন কথা না বলেই বসে পড়েন। এবার হযরত উসমান গনী (রা) দাঁড়িয়ে বলেন :

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) ও হযরত উমর (রা) খলীফা হওয়ার পর সতর্কতা হেতু এবং মহান আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে হবে ভেবে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের সুখ-সুবিধার প্রতি মোটেই দৃকপাত করেন নি। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সুখ-সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন এবং তাদেরকে সাহায্য করতেন। আমার আত্মীয়-স্বজনরা সাধারণত গরীব। তাই আমি তাদের সাথে সদয় ব্যবহার করে থাকি। যদি আপনারা তা অবৈধ প্রমাণিত করতে পারেন, তাহলে আমি আমার এ আচরণ পরিত্যাগ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন