hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৩২
হিজরী দ্বিতীয় বর্ষ
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর মক্কা থেকে সহি-সালামতে তাশরীফ নিয়ে চলে যাওয়াটাকেই কাফির মুশরিকরা মস্ত পরাজয় বলে মনে করছিল। এবার থেকে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা মুসলমানদের উপর থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের চিন্তায় নিয়োজিত হলো। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও মুসলমানদেরকে ধ্বংস করাটাই ছিলো তাদের সর্বাগ্রগণ্য ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজের তুলনায় অন্যান্য কাজ ছিলো তাদের কাছে গুরুত্বহীন। এজন্যে তারা তাদের নিজেদের মধ্যকার খুঁটিনাটি মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সমস্ত শক্তি ও যোগ্যতা এ কাজে নিয়োগের জন্য প্রস্তুত ছিলো। মক্কা ও মদীনার দূরত্ব ছিলো প্রায় তিন শত মাইলের। মদীনার উপর আক্রমণ চালাতে হলে তাদের বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজন ছিলো। মদীনায় যেতে যেসব গোত্র পথে পড়ে সেসব গোত্র এবং আরবের অন্যান্য সম্প্রদায়কে নিজেদের পক্ষে টানা বা কমপক্ষে তাদের সহানুভূতি লাভও জরুরী বলে বিবেচিত হচ্ছিলো। একজন বিচক্ষণ নেতা এবং দুরদর্শী সিপাহসালাররূপে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ও এ অবশ্যম্ভাবী সংকটের কথা উপলব্ধি করেছিলেন। আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতিও তিনি ইতিমধ্যেই লাভ করে ফেলেছিলেন। দীন ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং ইসলামে প্রবেশকারীদের পথের অহেতুক অন্তরায় দূর করাও ছিল একটি জরুরী কাজ। এদিকে মদীনায় মুসলমান পুরুষদের সংখ্যা তিন চারশ’র বেশী ছিলো না। যদিও সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের দিক থেকে তারা দুর্বল ছিলেন, কিন্তু কাফিরদের দুষ্টামি ও সীমাহীন ঔদ্ধত্য দেখে তাদের আরবী জিদ এবং বীরত্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠতো। তারা বারবার কাফিরদের মুকাবিলা করার এবং তীর তলোয়ার দিয়ে তাদের সমুচিত জবাব দানের অনুমতি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দরবারে পেশ করছিলেন। এখন যেখানে ইসলামের সভ্যতা এবং ঈমানের শক্তি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে, মুসলমানরা হৃদয়বিদারক অত্যাচার-অবিচারকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়ে দুনিয়ার সম্মুখে ইসলামের প্রতি আসক্তি যে সর্বপ্রকার ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে তা সুপ্রমাণিত করে ফেলেছেন। আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে দুরাচারদেরকে শাস্তি দানের এবং আত্মরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি লাভের পর অনুমতিও এসে গেছে, তারপরও ঘটনাবলীর ধারাবাহিকতার প্রতি গভীর ভাবে মনোনিবেশ করলে দেখা যাবে যে, হযরত নবী করীম (সাঃ) সব সময়েই যুদ্ধের উপর শান্তিকে এবং প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের উপর ক্ষমাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। মক্কার জনৈক কাফির নেতা কুরয ইব্‌ন জাবির একটি দলকে সাথে নিয়ে মক্কা থেকে এসে মদীনার সন্নিহিত চারণ ভূমিতে হানা দিয়ে মুসলমানদের বিপুল সংখ্যক উট নিয়ে পালিয়ে যায়। মুসলমানরা এ সংবাদ জানতে পেয়ে সাফওয়ান নামক স্থান পর্যন্ত তার পশ্চাদ্ধাবন করেন। কিন্তু শিকার তখন হাতছাড়া হয়ে গেছে। তারা আর শত্রুর দেখা পেলেন না। অগত্যা তারা ফিরে আসেন। এটা ছিল মক্কাবাসীদের পক্ষ থেকে খোলা চ্যালেঞ্জ ও যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। তারা মদীনাবাসীদেরকে বুঝিয়ে দিল যে, আড়াইশ’ মাইল দূর থেকে এসে আমরা মদীনায় তোমাদের ঘরে হানা দিয়ে তোমাদের ধন-সম্পদ লুট করে নিতে পারি। আনুসঙ্গিক অন্যান্য প্রচেষ্টা থেকেও তারা হাত গুটিয়ে ছিল না। তারা একদিকে আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্যর সাথে এবং অপর দিকে মদীনার ইয়াহূদীদের সাথে রীতিমত চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে সংযোগ রক্ষা করে চলছিলো এবং ভিতরে ভিতরে এদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলেছিল।

এ বছরেরই শাবান মাসে কিবলা পরিবর্তনের আদেশ নাযিল হয়। এর কয়েকদিন পরেই শাবান মাস শেষ হওয়ার আগেই রমযানের সাওম ফরয হয়। রমযানের শুরুতেই মদীনায় এ খবরটি পৌঁছলো যে, মক্কাবাসীদের একটা কাফেলা শামদেশ থেকে আসছে এবং মদীনার পাশ দিয়ে তা অতিক্রম করবে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কাবাসীদের মনে এক প্রকার ভীতি সৃষ্টি এবং কুরয ইব্‌ন জাবিরের হামলার জবাব স্বরূপ মুহাজির ও আনসারদের একটি জামাআতকে মক্কাবাসীদের এ কাফেলাকে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করলেন, যাতে করে তারা উপলব্ধি করতে পারে যে, মদীনাবাসীদের সাথে সম্পর্কের অবনতি তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে, এমন কি এতে সিরিয়ার সাথে তাদের বাণিজ্যপথ বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এ কাফেলাটি আদৌ যুদ্ধের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়নি-নিছক খবরদারী ও হুশিয়ারী প্রদানই এর উদ্দেশ্য ছিল বিধায় সামরিক গোপনীয়তাও তাঁদেরকে প্রেরণের সময় রক্ষিত হয় নি। ফলে, তাদের রওয়ানা হওয়ার সংবাদ সাথে সাথেই মক্কাবাসীদের কাছে পৌঁছে যায় এবং তারা সতর্ক হয়ে যায়। কাফেলার সর্দার আবূ সুফিয়ান অত্যন্ত সন্তর্পণে কাফেলাকে পাশ কাটিয়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়। সে যামযাম ইব্‌ন আমর গিফারীকে পারিশ্রমিক দিয়ে রাস্তা থেকেই মক্কায় সংবাদ দিয়ে পাঠালো যে, মুসলমানদের পক্ষ থেকে হামলার আশংকা রয়েছে, সুতরাং নিজেদের বাণিজ্যসম্ভার রক্ষার্থে সাহায্যের জন্য দ্রুত অগ্রসর হও। সংবাদ পাওয়া মাত্র আবূ জাহেল সাতশ’ উট ও তিনশ’ ঘোড়াসহ এক হাজার দুর্ধর্ষ সৈন্যের একটি বাহিনীসহ অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে মক্কা থেকে বের হলো। এ বাহিনীর প্রতিটি সৈন্যই ছিল অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত এবং বর্ম পরিহিত। গায়ক-সংবাদ পাঠকরাও তাদের সাথে ছিল। আব্বাস ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব, উত্‌বা ইব্‌ন রবীআ, উমাইয়া ইব্‌ন খালফ, নযর ইব্‌ন হারিছ, আবূ জাহেল ইব্‌ন হিশাম প্রমুখ তেরজন খাদ্য পরিবেশনকারী ছিল। আবূ সুফিয়ানের কাফেলা নিরাপদে মক্কায় উপনীত হলো। মুসলমানদের যে দলটি কেবল কাফেলাওয়ালাদেরকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিল তারা মদীনায় ফিরে চললেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন