hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১১৯
মদীনায় মুসআব ইব্‌ন উমায়রের সাফল্য
মুসআব ইব্‌ন উমায়র (রা) মদীনায় পৌঁছে অত্যন্ত উদ্যম ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইসলামের প্রচারকার্যে মনোনিবেশ করলেন। আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ ও দয়ায় মদীনাবাসীদের সৌভাগ্য সূর্য উদিত হলো। তাই তারা দলে দলে গোত্রে গোত্রে ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করেন। মদীনায় আওস গোত্রের শাখা গোত্রসমূহের মধ্যে বনূ যুফার অত্যন্ত মশহুর ও শক্তিশালী গোত্র ছিল। সা‘দ ইব্‌ন মুআয বনূ আবদে আশহাল কবীলার সরদার হওয়ার সাথে সাথে সকল গোত্রের মধ্যে প্রধান সর্দার বলে গণ্য হতেন। বুআছ যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর আওস গোত্রসমূহের মধ্যে যিনি সর্বাধিক গণ্যমান্য বলে বিবেচিত হতেন তিনি হলেন আসআদ ইব্‌ন যুরারা—যার বাড়ীতে মুসআব ইব্‌ন উমায়র (রা) অবস্থান করছিলেন। তিনি ছিলেন সাআদ ইব্‌ন মুআযের খালাতো ভাই।

একদিন মুসআব ইব্‌ন উমায়র (রা) ও আসআদ ইব্‌ন যুরারা (রা) বনী আবদে আশহালের মহল্লায় কূপের পাশে বসে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। সাআদ ইব্‌ন মুআয তার মহল্লায় তাদের আগমন ও ইসলাম প্রচার পছন্দ করতেন না। সা‘দ উসায়দ ইব্‌ন হুযায়রকে ডেকে বললো, আমার খালাতো ভাই বলে আমি একটু সতর্কতা অবলম্বন করছি, তুমি গিয়ে কঠোর ভাবে বলে দাও ওরা যেন আর কখনো আমাদের মহল্লায় না আসে। ওরা আমাদের লোককে পথভ্রষ্ট করে বিধর্মী বানাতে আসে। তার কথামত উসায়দ তৎক্ষণাৎ তলোয়ার হাতে আসআদ ও মুসআবের কাছে গিয়ে উপনীত হলেন এবং তাহাদের বেশ কষে গালমন্দ দিলেন। তিনি তাদেরকে অত্যন্ত কঠোরভাবে ধমকালেন। তারা বললেন : আপনি যদি দয়া করে একটু বসে আমাদের দু’টি কথা শোনেন, তাতে আপনার তো কোন ক্ষতি হবে না।

তারপর আপনি যা ইচ্ছে আদেশ দেবেন, আমাদের বলার কিছু থাকবে না। উসায়দ বললেন, বেশ তো, তারপর তিনি তাদের কাছে বসে পড়লেন। মুসআব তাকে ইসলামের তাৎপর্য বুঝিয়ে বললেন, এবং কুরআন মজীদ পড়ে শোনালেন। উসায়দ চুপচাপ তা শুনে যাচ্ছিলেন। মুসআবের কথা শেষ হতেই উসায়দ বলে উঠলেন : আমি ইসলাম গ্রহণ করছি। একথা বলেই তিনি তৎক্ষণাৎ ইসলাম গ্রহণ করলেন। উসায়দ (রা) বললেন : আরও এক ব্যক্তি আছে তাকে যদি আপনারা মুসলমান বানাতে পারেন তাহলে আপনাদের বিরোধিতা করার মতো কেউ থাকবে না। আমি এক্ষুণি গিয়ে তাকে আপনাদের কাছে পাঠাচ্ছি। উসায়দ সেখান থেকে উঠে সাআদ ইব্‌ন মুআযেব কাছে গেলেন। সা‘দও এতক্ষণ তারই প্রতীক্ষায় ছিলেন। বললেন : বলো হে! তুমি তাদেরকে কী বলে আসলে? উসায়দ (রা) বললেন : তারা অঙ্গীকার করেছেন যে, তোমাদের মতের বিরুদ্ধে তারা কিছুই করবেন না। কিন্তু সেখানে আরেকটি কাণ্ড ঘটে গেছে। বনু হারিছের কতিপয় যুবক কোথা থেকে সেখানে এসে পৌঁছেছে। তারা আসআদ ইব্‌ন যুরারাকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। এ কথাটি শোনামাত্র সা‘দ ইব্‌ন মুআয উঠে দাঁড়ালেন এবং তলোয়ার হাতে ওখানে গিয়ে উপনীত হলেন। তিনি গিয়ে দেখলেন আসআদ ও মুসআব অত্যন্ত শান্ত শিষ্টভাবে নির্বিকারে সেখানে বসে আছেন। তা দেখে তার সন্দেহ হলো উসায়দ বুঝি আমাকে মিথ্যা কথা বলে ধোঁকা দিয়ে এদের কাছে পাঠিয়েছেন যাতে আমিও তাদের কথা শুনি। সাথে সাথে তিনি দু’জনকে গাল দিতে দিতে আসআদকে লক্ষ্য করে বললেন : আমি কেবল আত্মীয়তার খাতিরে চুপ করে আছি, নতুবা তোমার কি সাধ্য ছিল যে, আমার মহল্লায় এসে লোকদেরকে পথভ্রষ্ট করবে। মুসআব বললেন : আপনি একটু শান্ত হয়ে বসুন। আমাদের দু’টি কথা শুনুন। যদি শোনার মত হয় শুনবেন, নতুবা শুনবেন না, প্রত্যাখ্যান করবেন। এ ব্যাপারে কেউ কি আপনাকে জোর করতে পারবে?

সা‘দ তলোয়ারখানা রেখে দিয়ে বসে পড়লেন। মুসআব সা‘দকেও ঠিক তা-ই শোনালেন যা একটু আগে উসায়দকে শুনিয়েছিলেন। আল্লাহ্‌র কী মর্যি, সাদও তৎক্ষণাৎ ইসলাম গ্রহণ করলেন। কবীলায় ফিরে এসে তিনি সকলকে একত্রিত করে বললেন, তোমাদের আমার সম্পর্কে কী ধারণা? তারা সমস্বরে বললো, আপনি আমাদের সর্বজনমান্য সর্দার। আপনার নির্দেশ আমরা সর্বদা মেনে আসছি। এবার সা‘দ বললেন : যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা মুসলমান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের সাথে আমার কোনই সম্পর্ক নেই। একথা শোনা মাত্র আবদে আশহাল গোত্রের সবাই একযোগে ইসলাম গ্রহণ করলো। অনুরূপভাবে মদীনায় অন্যান্য গোত্রেও ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটতে লাগলো। এটা ছিল নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বছর। এদিকে মুসআব ইব্‌ন উমায়র একের পর এক সাফল্য অর্জন করে চলেছিলেন; ওদিকে মক্কায় মুসলমানদের প্রতি কুরায়শদের অত্যাচার সকল সীমা ছাড়িয়ে অসহনীয় হয়ে উঠছিলো। ১৩তম নববী সালের যিলহাজ্জ মাসে হযরত মুসআব ইব্‌ন উমায়র (রা) মদীনার ৭২ জন মুসলিম নর-নারীর একটি কাফেলা নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। মদীনার নবদীক্ষিত মুসলিমগণ এই কাফেলাকে এজন্য প্রেরণ করে যে, তারা প্রিয়নবী (সাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে মদীনায় তশরীফ আনার জন্য মদীনাবাসীদের পক্ষ থেকে দরখাস্ত করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন