hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২১৭
সালাতে জানাযা ও কাফন-দাফনের ব্যবস্থা
হযরত নবী করীম (সাঃ)-কে কাফন পরানোর পর তাঁর দাফন করার স্থান নিয়ে সাহাবাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলো। কেউ কেউ বলছিলেন তাঁর গৃহে দাফন করতে। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) এসে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট শোনেছি, প্রত্যেক নবীকে তাঁর জান কবয করার স্থানে দাফন করা হয়েছে। লোকেরা একথা শোনা মাত্র যে বিছানায় নবী করীম (সাঃ) ইনতিকাল করেছিলেন, সেটি তুলে ফেললো এবং ঐ স্থানে কবর খনন করা হলো। কবর বাগ্‌লী কায়দায় খনন করা হলো। কবর তৈয়ার হওয়ার পর সালাতে জানাযা পড়া আরম্ভ হলো। প্রথমে পুরুষরা, তারপর নারীরা, তারপর বালকরা জানাযা সালাত পড়লেন। কেউ কারও ইমামতি করলো না। নবী করীম (সাঃ)-এর রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং তারপর তার ইনতিকালের খবর শুনে উসামা ইব্‌ন যায়দ (রা) ও তাঁর গোটা বাহিনী মদীনায় ফিরে এসেছিল এবং ফৌজী ঝাণ্ডা হুজরা মুবারকের দরজায় খাড়া করে রাখা হয়েছিল। সালাতে জানাযা হযরত আয়িশা (রা)-এর হুজরায় পড়া হলো। কেননা, এখানেই নবী করীম (সাঃ) ইনতিকাল করেন এবং এখানেই তার কবর তৈরী হয়েছিল। তাই এটা স্পষ্ট যে, মদীনায় যেসব মুসলমান উপস্থিত ছিলেন, তারা সবাই একসাথে সালাতে জানাযা পড়তে পারতেন না। আবার এ সালাতে জানাযা কারো ইমামতিতেও অনুষ্ঠিত হয়নি বরং পৃথক পৃথক ভাবে আদায় করা হয়। কাজেই মদীনার সমস্ত মুসলমান, গোটা উসামা বাহিনী, সমস্ত নারী, বালক ও গোলামদের দলে দলে হুজরায় এসে সালাতে জানাযা আদায় করা কিংবা তার ইনতিকালের পর তৎক্ষণাৎ তাকে দাফন করা সম্ভবপরই ছিল না। সালাতে জানাযার সিলসিলা নিশ্চিতরূপেই পরের দিন পর্যন্ত অনবরত চালু ছিল। আর তাই এতে এতোটুকুও আশ্চর্যান্বিত হওয়া উচিত নয় যে, নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাত হলো সোমবার এবং তাকে দাফন করা হলো তার পরের দিন মঙ্গলবার। কোন কোন দুর্বল রিওয়ায়াতে এও উল্লেখ আছে যে, নবী করীম (সাঃ)-কে মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যবর্তী রাতে দাফন করা হয় যা ইসলামী হিসাব মতে বুধবারের রাত ছিল। তবু এটা কোন বিস্ময়কর ও আশ্চর্যের ঘটনা নয়। কেননা, নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাত ও তাঁর দাফনের মধ্যে এভাবে ঊর্ধ্বপক্ষে ৩৬ ঘন্টার দূরত্ব মানা যেতে পারে। আর এটা উপরোক্ত অবস্থার প্রেক্ষিতে বেশী কিছু নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন