hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৩৩
বদর যুদ্ধ
আবু সুফিয়ান আবূ জাহেলের কাছে সংবাদ পাঠালো যে, আমরা নিরাপদে মক্কায় পৌঁছে গিয়েছি। সুতরাং তোমরা ফিরে এসো। কিন্তু আবূ জাহেল তার দুর্ধর্ষ বাহিনীর জন্যে গর্বিত ছিলো। এমনি ফিরে যাওয়াটা তার মনঃপূত হলো না। আসলে আবূ জাহেল কেবল কাফেলার হিফাযতের উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে সদলবলে বেরোয়নি, বরং কুরায়শদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বতনে নাখলার দিকে হযরত নবী (সাঃ)-এর প্রেরিত কয়েকজন মুসলমানের হাতে নিহত কুরায়শদের জনৈক মিত্র আমর ইব্‌ন হাযরামীর হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের ছলে যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলো। যামযাম ইব্‌ন আমর কাফেলাওয়ালাদের পক্ষ থেকে সাহায্যের অনুরোধ পৌঁছানো মাত্র সে সদলবলে বেরিয়ে পড়ে এবং মারমার রবে মদীনার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কুরায়শ বাহিনীর যাত্রার সংবাদ হযরত নবী (সাঃ) যথাসময়েই পেয়ে যান। তিনি এও জানতে পারলেন যে আবূ জাহেল, উত্‌বা, শায়বা, ওয়ালীদ, খাকলা, উবায়দা, ‘আসী, হুরছ, তুআয়মা, যামআ, আকীল, আবুল বুখতারী, মাসঊদ, বানিয়া, মুনাব্বা, নাওফিল, সাইব, রিফাআ প্রমুখ বড় বড় কুরায়শ সরদাররা এ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ সংবাদ পাওয়া মাত্র হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একটি পরামর্শ সভা আহবান করে সাহাবায়ে কিরামকে বললেন যে, মক্কা তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে তোমাদের দিকে রওয়ানা করে দিয়েছে। এদের সাথে মুকাবিলা করার ব্যাপারে তোমাদের অভিমত কি? হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা), হযরত উমর (রা) ও হযরত মিকদাদ (রা) একে একে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত তেজোব্যঞ্জক ও বীরত্বপূর্ণ ভাষায় বললেন : আমরা ঐ বনী ইসরাঈলদের মতো নই যারা হযরত মূসা (আ)-কে বলে দিয়েছিল :

فاذهب انت وربك فقاتلا انا ههنا قاعدون

আপনি আর আপনার প্রভু দু’জনে গিয়ে ফিরাউনের সাথে যুদ্ধ করুন! আমরা এখানে বসে বসে তা উপভোগ করব।

তারপর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আবার বললেন : কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যাপারে তোমাদের কী অভিমত? দ্বিতীয় বার জিজ্ঞাসার উদ্দেশ্য ছিলো আনসারদের অভিমত সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া। কেননা, উপরিউক্ত তিনজনই ছিলেন মুহাজির। আনসারগণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অভিলাষ উপলব্ধি করলেন। তাই তাদের পক্ষ থেকে হযরত সা‘দ ইব্‌ন মুআয (রা) উঠে দাঁড়ালেন এবং আরয করলেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনার এ প্রশ্নের উদ্দিষ্ট বোধ হয় আমরা আনসাররাই? জবাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন : হাঁ, তাই। হযরত সা‘দ (রা) তখন বললেন :

আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি। আপনাকে আল্লাহর রাসূল বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি। এটা কেমন করে সম্ভবপর হতে পারে যে, আল্লাহর রাসূল কাফিরদের মুকাবিলা করার জন্যে নির্গত হবেন আর আমরা ঘরে বসে থাকবো? এই কাফিররা তো আমাদের মতো মানুষই! আপনি যদি নির্দেশ দেন যে, ঐ সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়, তাহলে আমরা নিঃসংকোচে আপনার সে নির্দেশও পালন করবো এবং অকাতরে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

যখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এ মর্মে আশ্বস্ত হলেন যে, সাহাবায়ে কিরাম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন, তখন তিনি মদীনা থেকে রওয়ানা করতে মনস্থ করলেন। যুদ্ধে যাবার মতো উপযুক্ত লোকের সংখ্যা ছিলো মোট তিন শ’ দশ, অথবা তিন শ’ বার অথবা তিন শ’ তের জন, শহর থেকে বেরিয়ে যখন তিনি তার বাহিনীর পর্যালোচনা করলেন তখন লক্ষ্য করলেন তিন শ’ তেরজন লোক। এর মধ্যেও কেউ কেউ বয়সে এতোই কম ছিলো যে, যারা যুদ্ধ করার মতো উপযুক্ত হয়নি। তিনি তাদেরকে ফিরে যেতে নির্দেশ দিলেন, কিন্তু তারা ফিরে যেতে রাযী হলেন না, অনেক কাকুতি-মিনতি করে যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি হাসিল করলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন