hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৯৪
ইয়াহূদী মুনাফিক আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবা
আবদুল্লাহ ইব্‌ন সাবাও নিজ সঙ্গী-সাথীসহ হযরত আলী (রা)-এর বাহিনীতে যোগদান করেছিল। আলী (রা) যখন মদীনা থেকে রওয়ানা হন ঠিক তখনি হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন সালাম (রা)-এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আবদুল্লাহ ইব্‌ন সালাম (রা) আলী (রা)-এর ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরেন এবং তাকে বলেন, “হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি মদীনা ছেড়ে যাবেন না। আল্লাহর কসম! যদি আপনি এখান থেকে চলে যান তবে মুসলমানদের আমীর আর কখনো এখানে ফিরে আসবে না। লোকেরা তখন গালি-গালাজ করতে করতে আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন সালাম (রা)-কে তাড়া করে। কিন্তু হযরত আলী (রা) তাদের বলেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাহাবীদের মধ্যে তিনি একজন গণ্যমান্য লোক। এরপর হযরত আলী অগ্রসর হয়ে ‘যীযায়’ নামক স্থান উপনীত হন এবং সেখানেই সংবাদ পান যে, তালহা ও যুবায়র (রা) বসরায় প্রবেশ করেছেন।

হযরত আলী ‘যীযায়’ অবস্থান করেন এবং সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রদেশ ও রাজ্যের জনসাধারণের কাছে নির্দেশাদি পাঠান। তিনি মুহাম্মদ ইব্‌ন আবূ বকর ও মুহাম্মদ ইব্‌ন জা‘ফর (রা)-কে কূফায় প্রেরণ করেন যাতে তারা সেখানকার লোকদের একত্রিত করে যীযায় নিয়ে আসেন। আর যীযায় যেসব লোক অবস্থান করছিল তিনি তাদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। কয়েকদিন পর মদীনা থেকে তিনি তাঁর রসদপত্র ও বাহন ইত্যাদি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার সংকল্প করেন। যেহেতু সাধারণ লোকের কাছে হযরত তালহা ও যুবায়র (রা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা একটি অপছন্দনীয় ব্যাপার ছিল তাই হযরত আলী (রা) বলেন, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের উপর হামলা করব না যতক্ষণ না তারা আমার উপর হামলা করে। আমি যথাসম্ভব বুঝিয়ে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসারই চেষ্টা করব। হযরত আলী (রা) যীযাহ থেকে রওয়ানা হচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ‘তাঈ’ গোত্রের একটি দল এসে তার বাহিনীতে যোগদান করে। এজন্য তিনি তাদের প্রশংসা করেন। যীযাহ থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় তিনি আমর ইবনুল জাররাহকে অগ্রবর্তী বাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত করেন। হযরত আলী (রা) যখন ‘ফীদ’ নামক স্থানে পৌঁছেন তখন ‘তাঈ’ ও ‘আসাদ’ গোত্রের কিছু লোক এসে তাঁর সহযোগী হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলো। তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের অঙ্গীকারে সুদৃঢ় থাক, এটাই যথেষ্ট। যুদ্ধের জন্য তো আমার কাছে যথেষ্ট সংখ্যক মুহাজির রয়েছেন। ঐ স্থানেই কূফা থেকে আগত জনৈক ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাৎ করে। সে বলে, আবূ মূসা আশআরী (রা) সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? যদি আপনি আপোস রফার উদ্দেশ্যে বের হয়ে থাকেন, অর্থাৎ তালহা, যুবায়র প্রমুখের সাথে আপোস করতে চান তাহলে আবূ মূসা এ ক্ষেত্রে আপনার সহায়ক হবেন না। আলী (রা) বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ আমাদের উপর হামলা না করবে ততক্ষণ আমাদের যুদ্ধ করার কোন ইচ্ছা নেই। হযরত আলী ‘ফীদ’ থেকে রওয়ানা হয়ে সালাবিয়াহ’ নামক স্থানে পৌঁছে সংবাদ পান যে, হাকীম ইব্‌ন জাবালা নিহত হয়েছেন। সেখানেই উসমান ইব্‌ন হুনায়ফ তাঁর কাছে এসে হাযির হন। আলী (রা) তাঁকে দেখে বলেন, তোমার উপর দিয়ে যে ভীষণ বিপদ গেছে তার পুরস্কার তুমি অবশ্যই পাবে।

তারপর হযরত আলী (রা) বলেন, তালহা ও যুবায়র তো প্রথমে আমার হাতে বায়‘আত করেছিলেন। এরপর তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তারা আবূ বকর, উমর ও উসমান (রা)-এর আনুগত্য করেছেন, অথচ আমার বিরোধিতা করছেন। হায়, যদি তারা একথা জানতেন যে আমি তাদের (অন্য তিন খলীফা) থেকে পৃথক নই। -একথা বলে তিনি তালহা ও যুবায়রকে বদ দু‘আ করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন