hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪৩৫
এক নজরে ইমাম হাসান (রা)-এর খিলাফত
কোন কোন ঐতিহাসিক হযরত ইমাম হাসান (রা)-এর ছয় মাসের খিলাফতকে খিলাফতে রাশিদার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। কেননা এই খিলাফত ছিল স্বল্পকালীন এবং অসম্পূর্ণ। প্রকৃত পক্ষে এটাকে স্বল্পকালীন বলা হলেও অসম্পূর্ণ বলা ঠিক হবে না। অন্যথায় অসম্পূর্ণ আখ্যা দিয়ে হযরত আলী (রা)-এর খিলাফতকেও খিলাফতে রাশিদার আওতা-বহির্ভূত হবে। আর এটা মোটেই বৈধ হবে না। তাছাড়া কোন খিলাফত স্বল্পকালীন হলে তাকে যে খিলাফত বলা যাবে না, এটাও কোন যুক্তিসঙ্গত কথা নয়। ইমাম হাসান (রা)-এর খিলাফত সম্পর্কে ধৈর্য সহকারে চিন্তা করলে দেখা যাবে, এটা খিলাফতে রাশিদারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা সত্যি যে, তাঁর খিলাফত দেশ জয় তথা যুদ্ধ-বিগ্রহের হাঙ্গামা থেকে মুক্ত ছিল। তবে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে রক্তপাত ছাড়াই ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের সেই উপকার করেছেন যা অনেক বছরের খিলাফত এবং শত শত যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমেও কারো পক্ষে করা সম্ভব হত না। ইসলামী খিলাফত পরিচালনার দিক দিয়ে তিনি নিঃসন্দেহে খুলাফায়ে রাশিদীনের সাথে স্থান পাবার যোগ্যতা রাখেন। কেননা তিনি দশ বছরের যুদ্ধকে, যা বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিল না, নিমিষের মধ্যে বন্ধ করে দেন। তিনি মুনাফিক ও মুসলিম নামধারী ইয়াহূদীদের নানা ধরনের ষড়যন্ত্রকে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বানচাল করে দেন, যা দশ বছর যাবত অনবরত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছিল। ফলে দুষ্কৃতিকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। গত দশ বছর যাবত যে বিজয় অভিযান বন্ধ ছিল তিনি পুনরায় তা পরিচালনার সুযোগ করে দেন। তিনি সেই মুশরিকদের নিরাশ করে দেন, যারা দশ বছর যাবত মুসলমানদের গৃহযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করে তাদের পতন সম্পর্কে আশান্বিত হয়ে উঠেছিল। তিনি পুনরায় ইসলামের শত্রুদের মুসলিম যোদ্ধাদের সেই সব অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন, যা এতদিন পর্যন্ত শুধু মুসলমানদেরই রক্ত পান করেছিল। খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রা)-এর পর তার চাইতেও তিনি অধিক বীরত্ব প্রদর্শন করেন যখন তিনি কুফায় আমীরে মুআবিয়া (রা)-এর হাতে বায়‘আত করে বলেছিল “যদি খিলাফত ও রাষ্ট্র পরিচালনার উপর আমীরে মুআবিয়ার অধিকার থেকে থাকে তাহলে তিনি তা পেয়ে গেছেন। আর যদি আমার অধিকার থেকে থাকে তাহলে আমি তা তার জন্য ছেড়ে দিলাম।”

আমীরে মুআবিয়ার সাথে সন্ধি স্থাপনের মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের সামনে যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের পথপ্রদর্শনের ক্ষেত্রে সমুদ্রের বাতিঘরের মতো কাজ করবে। ইমাম হাসান (রা)-এর কাছে চল্লিশ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী ছিল। এই বাহিনীর লোকেরা যতই বোকা, অস্থিরচিত্ত বা অশিষ্টই হোক, একথা তো সত্যি যে, তারা মুআবিয়া (রা) ও সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের শপথ গ্রহণ করেছিল। এমতাবস্থায় স্বনামধন্য বীরশ্রেষ্ঠ পিতার সন্তান ৩৭ বছরের একজন বীর যুবকের পক্ষে তাঁর প্রতিপক্ষ তথা আমীরে মুআবিয়ার্কে এক হাত না দেখিয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকা কখনো সম্ভব হত না। হাসান (রা) একথাও জানতেন যে, সমগ্র ইসলামী বিশ্ব জানে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁকে কত বেশী ভালোবাসতেন। আলী (রা)-এর চাইতেও তাঁর এ সুযোগ বেশী ছিল যে, তিনি সাহাবায়ে কিরাম এবং মুসলিম বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের সহানুভূতি ও ভালোবাসা অতি অল্প সময়ে এবং অতি সহজে লাভ করতে পারতেন। তিনি সৈন্য পরিচালনা ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট যোগ্যতা রাখতেন। দুঃসাহস ও সংকল্পের দৃঢ়তাও তাঁর মধ্যে ছিল। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার অগণিত রহমত তার উপর বর্ষিত হোক এজন্য যে, তিনি ইসলামের সেবার সেই শ্রেষ্ঠতম নমুনা উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য স্থাপন করে গেছেন, যা শুধু সর্বগুণের অধিকারী রাহমাতুল লিল আলামীনের একজন মহান নাতির পক্ষেই সম্ভব ছিল।

মোটকথা, ইমাম হাসান (রা) মুসলিম মিল্লাতের পরস্পর বিচ্ছিন্ন দু’টি দলকে একত্রিত করে সেই বিরাট কাজ আনজাম দিয়েছেন যা ছিল বিশ্বের পরস্পর বিচ্ছিন্ন দু’টি ভূখণ্ডকে একত্রে জুড়ে দেওয়া কিংবা বিদীর্ণ আসমানের দু’টি খণ্ডকে একত্রে মিলিয়ে দেওয়ার চাইতেও কঠিন। তিনি তাঁর খিলাফত আমলে কোন যুদ্ধ বা রক্তপাত করেন নি। তবে তিনি বিশ্বের সমস্ত বীর সেনানায়ক ও দিগ্বিজয়ীদের মাথার মুকুটে পরিণত হয়েছেন। তিনি মুআবিয়া (রা)-এর সাথে আপোস চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন তাতে মুসলমানদের পক্ষে রোম সাগর এবং রোম সাগরের মধ্যবর্তী দ্বীপসমূহ জয় করাও সম্ভব হয়েছিল। তারা পদানত করতে পেরেছিল ত্রিপলী, মরক্কো, স্পেন, সিন্ধু, আফগানিস্তান, তুর্কিস্তান প্রভৃতি দেশ। ইমাম হাসান (রা) ইসলামী বিশ্বে এক নব জীবনের সূচনা করেছিলেন। তিনি তাঁর অতুলনীয় আভিজাত্যের নমুনা পেশ করে ইসলামী বিশ্বে পুনরায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছিলেন। মুসলমানদের প্রতিটি সাফল্য, বিজয় ও উন্নতি তাঁর আত্মার উপর রহমতের বারি বর্ষণ করবে। হে ফাতিমাতুয যাহরা (রা)-এর আদরের দুলাল, আবূ তালিবের বংশের চন্দ্র, মুসলিম উম্মাহর আলোকবর্তিকা, আমার অন্তর তোমার প্রেমে প্লাবিত, আমার দিল তোমার মর্যাদা ও মাহাত্ম্যে পরিপূর্ণ। আমার দেহের প্রতিটি লোমকূপে, প্রতিটি রক্তকণায় তোমার প্রশংসার সুর ধ্বনিত। তোমার বীরত্ব হিমালয়ের চেয়ে উন্নত। তোমার পৌরুষ মহাসাগরের চেয়ে উদার। হে সুমহান বীর জান্নাতবাসীদের নেতা! আমার পক্ষ থেকে সালাম গ্রহণ কর এবং কিয়ামতের কঠিন দিনে আমাকে ভুলে যেও না। ওয়াস্‌সালাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন