hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৭৪
প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সম্মানিত পিতা
একদিন আবদুল মুত্তালিব স্বপ্নে যমযম কূপের সন্ধান পেয়ে গেলেন এবং সে অনুসারে খননকার্য শুরু করলেন। ঐ স্থানটিতেই আসাফ ও নায়লার মূর্তিদ্বয়ের অধিষ্ঠান ছিল। তাই কুরায়শরা এ খননকার্যে তাদেরকে বাধা দিল। এমনকি তারা তাদের সাথে লড়তে উদ্যত হলো। পিতা পুত্র দু’জন ছাড়া অপর কেউ তাদের সমর্থক ছিল না। কিন্তু সকলে মিলেও তাদের সাথে এঁটে উঠলো না। তারা খননকার্য চালিয়ে গেলেন। এ সময় আবদুল মুত্তালিব হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করলেন যে, তিনি একান্তই নিঃসঙ্গ। তখন তিনি মানত করলেন, আল্লাহ যদি তাঁকে দশটি পুত্র সন্তান দান করেন আর যমযম কূপের সন্ধানও তিনি পেয়ে যান তাহলে তার একটি পুত্রকে তিনি আল্লাহর নামে কুরবানী করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই যমযম কূপ বেরিয়ে আসলো আর আবদুল মুত্তালিবও আল্লাহর ইচ্ছায় একে একে দশটি পুত্র সন্তানের পিতা হলেন। যমযম কূপ উদ্ধারের দরুন আবদুল মুত্তালিবের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং সকলেই তার সর্দারী ও আধিপত্য মেনে নেয়। আবদুল মুত্তালিবের সন্তানরা যখন যৌবনে পদার্পণ করলো তখন তিনি তাঁর মানত পূরণ করতে মনস্থ করলেন। তিনি তাঁর দশ পুত্রকে নিয়ে কা‘বা ঘরে উপস্থিত হলেন। হুল দেবতার সম্মুখে তীর নিক্ষেপ করে দশ ছেলের নামে লটারী করলেন। ঘটনাচক্রে লটারীতে প্রিয়তম কনিষ্ঠ পুত্র আবদুল্লাহর নাম উঠলো। আবদুল মুত্তালিব মানত পুরা করার জন্যে দৃঢ়সংকল্প ছিলেন। অগত্যা তিনি আবদুল্লাহকে নিয়ে বধ্যভূমির দিকে অগ্রসর হলেন। আবদুল্লাহর সমস্ত ভাই-বোন এবং কুরায়শ বংশের সর্দাররা হায়! হায়! করে উঠলো। তারা তাঁকে আবদুল্লাহকে কুরবানী করতে বারণ করলেন। কিন্তু আবদুল মুত্তালিব নাছোড়বান্দা। অবশেষে অনেক তর্ক-বিতর্কের পর ব্যাপারটি সাজা নাম্নী এক জ্যোতিষী মহিলার কাছে উত্থাপিত হলো। তিনি বললেন, তোমাদের সমাজে একজন লোকের রক্তপণ হচ্ছে দশটি উট। তোমরা একদিকে দশটি উট আর অপরদিকে আবদুল্লাহকে রেখে লটারী করে দেখ লটারীর ফলাফল কী দাঁড়ায়। যদি লটারীতে উটের নাম আসে তাহলে দশটি উট যবাহ করে দাও। আর যদি আবদুল্লাহর নামই উঠে, তাহলে আরো দশটি উট যোগ করে বিশটি উটের নামে পুনরায় লটারী করো। এভাবে প্রতিবারে দশটি করে উটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে লটারী চলতে লাগলো। কিন্তু প্রতিবারই লটারীতে আবদুল্লাহর নাম উঠতে লাগলো। অবশেষে যখন একদিকে একশ উট আর অপরদিকে আবদুল্লাহর নাম দিয়ে লটারী করা হলো, তখন একশ উটের নামই উঠলো। সন্দেহমুক্ত হওয়ার জন্যে আবদুল মুত্তালিব আরো দু’বার করে লটারী করলেন। কিন্তু না প্রতিবারেই উটের নাম আসতে লাগলো। তখন একশ’টি উট যবাহ করা হলো। আর সেদিন থেকেই রক্তপণ একশটি উট বলে সাব্যস্ত হলো। আবদুল মুত্তালিবের ঔরসে মোট তেরজন পুত্র এবং ছ’জন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাদের বংশপঞ্জি ৭৯ নং পৃষ্ঠায় সন্নিবেশিত হল :

[এখানে হার্ড কপি বইয়ে ছবি ছিল]

হস্তীবর্ষের কয়েকদিন পূর্বে আবদুল মুত্তালিব তাঁর পুত্র আবদুল্লাহকে কুরায়শের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা আমিনা বিন্‌ত ওয়াহাবের সাথে বিয়ে দেন। সে সময়ে আবদুল্লাহ্‌র বয়স ছিল চব্বিশ বছর। ঐ সময়েই আবদুল মুত্তালিব নিজেও আমিনার নিকটাত্মীয় হালা বিন্‌ত উহায়েবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই হালার গর্ভেই হযরত হামযা (রা) ভূমিষ্ঠ হন। বিবাহের অল্প কিছুদিন পরেই আবদুল মুত্তালিব তাঁর পুত্র আবদুল্লাহকে ব্যবসা ব্যাপদেশে বাণিজ্য কাফেলার সাথে শাম দেশে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনকালে অসুস্থ হয়ে তিনি মদীনায় আত্মীয়-স্বজনের ওখানে উঠেন এবং পিতা আবদুল মুত্তালিবের কাছে লোক মারফত আপন অসুস্থতার সংবাদ প্রেরণ করেন। প্রিয়তম পুত্রের অসুস্থতার সংবাদে বিচলিত আবদুল মুত্তালিব তার সংবাদ নেয়ার এবং তাঁকে মক্কায় সযত্নে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যে অপর পুত্র হারিছকে মদীনায় প্রেরণ করলেন। কিন্তু হারিছ মদীনায় পৌঁছাবার পূর্বেই আবদুল্লাহ ইন্তিকাল করেন এবং মদীনায় তার আত্মীয় বনী নাজ্জার বংশের গোরস্তানে সমাহিত হন। হারিছ মক্কায় ফিরে এ হৃদয়বিদারক সংবাদ আবদুল মুত্তালিবকে অবহিত করলেন। মৃত্যুকালে আবদুল্লাহ্ পরিত্যক্ত সম্পদরূপে রেখে যান কয়েকটি উট, কয়েকটি ছাগল এবং একটি দাসী উম্মে আয়মনকে।

আমিনা তখন সন্তানসম্ভবা। আল্লাহর নবী (সাঃ) মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায়ই পিতৃহারা হয়ে গেলেন। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে আবদুল্লাহ্‌র ইন্তিকাল হয়। আসহাবুল ফিল বা হস্তীর ঘটনার বায়ান্ন বা পঞ্চান্ন দিন পর আল্লাহর নবী ভূমিষ্ঠ হন। তাঁর মাতৃগর্ভে থাকাকালেই আমিনা স্বপ্নে দেখেন যে, একজন ফেরেশতা এসে তাকে বলছেন গর্ভস্থিত সন্তানের নাম যেন আহমদ রাখা হয়। এজন্যে মা নবজাতকের নাম রাখলেন আহমদ। আবদুল মুত্তালিব তার আদরের এ পৌত্রটির নাম রাখলেন মুহাম্মদ। ঐতিহাসিক আবুল ফিদার বর্ণনা অনুসারে, লোকজন বিস্ময়ভাবে আবদুল মুত্তালিবকে জিজ্ঞেস করেন যে, বংশের প্রচলিত নামসমূহ বাদ দিয়ে তিনি পৌত্রের এরূপ নামকরণ করলেন কেন? জবাবে আবদুল মুত্তালিব বলেন যে, তাঁর এ নাতিটি যেন বিশ্বজোড়া সকলের প্রশংসার উপযুক্ত হন এজন্যই তিনি তার এরূপ নামকরণ করেছেন। ইব্‌ন সাআদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সাধারণত নবজাতকের দেহের সাথে যেসব ময়লা আবর্জনা মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে থাকে সেরূপ কিছু মহানবী (সাঃ)-এর প্রসবকালে পরিদৃষ্ট হয়নি। তিনি খানা করা অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হন।

ঐতিহাসিকরা এও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি যখন ভূমিষ্ঠ হন ঠিক সেই মুহূর্তে পারস্য সম্রাট নওশেরওয়ার রাজপ্রাসাদে ভূমিকম্প উপস্থিত হয় এবং তার চৌদ্দটি চূড়া ভেঙ্গে পড়ে। অস্তাখরের (পারস্যের) বিখ্যাত অগ্নিকুণ্ড অকস্মাৎ নিভে যায়। তার জন্মের আনন্দে সপ্তম দিনে আবদুল মুত্তালিব পশু কুরবানী করে সমস্ত কুরায়শকে দাওয়াত করে আপ্যায়িত করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন