hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩২৮
বিভিন্ন অনারব অঞ্চল অধিকার
নিহাওয়ান্দের পর হামাদান জয় করা হয়। কিন্তু কিছু দিন পরই হামাদানবাসীরা বিদ্রোহ করে। তারপর হযরত ফারূকে আযম (রা) ইরানের বিভিন্ন প্রদেশ ও বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য এক-একজন সেনাপতি নিয়োগ করে তাদেরকে নির্দেশ দেন : একের পর এক দেশ জয় কর, তাতে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা কর, এবং আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাও। কাজেই, কূফা, বসরা উভয় ছাউনির সৈন্য ও সেনাপতিগণ সমগ্র ইরান দখলের কাজে মনোনিবেশ করেন। উপরোক্ত ঘটনাবলীর পর হিজরী ২১ সনে এ অগ্রাভিযানের সূচনা হয়। ইরানীদের নিত্যদিনের বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের কারণে হযরত ফারূকে আযম (রা) বাধ্য হয়ে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্যথায় তার একান্ত বাসনা ছিল মুসলমানরা তাদের দখলকৃত এলাকা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুক এবং এমন অবস্থায় বসবাস করুক যে, ইরানীদের পক্ষ থেকে কোনরূপ হামলার আশংকা নেই। মোটকথা, এবার সমগ্র ইরান দখলের কাজ শুরু হয়। প্রথম হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আবদুল্লাহ্ (রা) ইস্পাহান জয় করেন। হযরত নাঈম ইব্‌ন মুকরিন (রা) এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রাই ও আযারবায়জান দখল করেন। নাঈম ইব্‌ন মুকরিন (রা)-এর ভাই হযরত সুওয়ায়দ ইব্‌ন মুকরিন (রা) কূমাস জয় করেন। ইতিপূর্বে মুসলমানগণের হাতে নিহত সেনাপতি রুস্তমের ভাই ইসকান্দিয়ার হযরত উকবা (রা)-এর হাতে বন্দী হন। তারপর জিযিয়া প্রদানের শর্তে জুরজান জয় করেন। তারপর সম্পূর্ণ তাবারিস্তান প্রদেশ মুসলমানগণের দখলে চলে আসে। হযরত বুকায়র (রা) আর্মেনিয়া জয় করেন। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন রাবীআ (রা) ‘বায়যা’ নগরী এবং খাযার এলাকা মুসলমানগণের অধিকারে নিয়ে আসেন।

আসিম ইব্‌ন উমর (রা) হিজরী ২৩ সনে সীস্তান এবং সুহায়ল ইব্‌ন আদী (রা) কিরমান জয় করেন। হযরত হাকাম ইব্‌ন আমর তাগলী (রা) মাকরান অর্থাৎ বেলুচিস্তান রাজ্য দখল করেন। এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ইরানীদের ঐ করদরাজ্যের শাসক মুসলমানগণের হাতে পরাজিত হন। হযরত হাকাম ইব্‌ন আমর (রা) গনীমতরূপে প্রাপ্ত কয়েকটি হাতিসহ ঐ বিজয় সংবাদ হযরত সাহহার আবাদী (রা)-এর মাধ্যমে হযরত ফারূকে আযমের কাছে পাঠান। হযরত ফারূকে আযম (রা) হযরত সাহহার আবাদী (রা)-এর কাছ থেকে বিজিত অঞ্চলের যাবতীয় সংবাদ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর হযরত হাকাম বিন আমর (রা)-কে লিখেন : আপনারা যে পর্যন্ত পৌঁছেছেন সেখানেই থাকুন, আর সামনে অগ্রসর হবেন না।

ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, ইয়ায্‌দেজিরদ খুরাসানের রাজধানী অর্থাৎ মার্ভে অবস্থান করছিলেন। হযরত ফারূকে আযম (রা) আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা)-কে খুরাসান জয়ের হুকুম দেন। তিনি প্রথমে হিরাত জয় করেন। তারপর মার্ভের দিকে অগ্রসর হন। ইয়ায্‌দেজিরদ এ সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে মার্ভেরূদ চলে যান। সেখান থেকে তিনি চীনের ‘খাকান’ (বাদশাহর উপাধি) ও অন্যান্য রাজা-বাদশাহদের কাছে চিঠি মারফত সাহায্যের আবেদন জানান। হযরত আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা) মার্ভ (মার্ভ শাহজাহান) দখল করে ‘মার্ভেরূদ’-এর দিকে অগ্রসর হন। ইয়ায্‌দেজিরদ সেখান থেকেও পলায়ন করেন এবং বলখে গিয়ে আশ্রয় নেন। ইয়ায্‌দেজিরদ যেহেতু খুরাসানে অবস্থান করছিলেন এবং সেখানে এক ভয়ানক সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল, তাই ফারূকে আযম (রা) আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা)-এর সাহায্যার্থে কয়েকজন বাহাদুর সেনাপতির নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সেনাদল প্রেরণ করেন। এ সজীব সতেজ দলগুলো যখন হযরত আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা)-এর কাছে গিয়ে পৌঁছে, তখন তিনি সমগ্র বাহিনীকে নতুন ভাবে সজ্জিত করে বলখের উপর আক্রমণ পরিচালনা করেন। তাতে ইয়ায্‌দেজিরদ পরাজিত হয়ে তুর্কিস্তানের দিকে পলায়ন করেন। হযরত আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা) সমগ্র খুরাসান দখল করে মার্ভেরূদকে মুসলমানগণের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত করেন। যখন খুরাসান জয়ের সংবাদ হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর কাছে পৌঁছে, তখন তিনি হযরত আহনাফ (রা)-এর এ বীরত্বপূর্ণ কাজের প্রশংসা করেন। তবে সঙ্গে সঙ্গে একথাও বলেন, “হায়! যদি আমাদের ও খুরাসানের মধ্যে একটি আগুনের দরিয়া প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াত।” তাঁর এ কথার উদ্দেশ্য শুধু জয়ের বিস্তৃতি প্রশংসনীয় কিছু নয়, যদি না সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা কায়েম করা যায়। তিনি হযরত আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা)-কে লিখলেন, আপনি যেখানে পৌঁছেছেন সেখান থেকে আর অগ্রসর হবেন না।

ইয়ায্‌দেজিরদ যখন ফারগানায় গিয়ে খাকানের দরবারে হাযির হন, তখন খাকান তার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন এবং একটি বিরাট বাহিনী নিয়ে ইয়ায্‌দেজিরদের সাথে খুরাসানের দিকে যাত্রা করেন। বলখ পর্যন্ত পৌঁছে খাকান মার্ভেরূদের উপর হামলা চালান।

অপর দিকে ইয়ায্‌দেজিরদ হামলা চালান মার্ভে শাহজাহানের উপর। খাকান মার্ভেরূদে, হযরত আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রা)-এর কাছে পরাজিত হন। তার কয়েক জন বিখ্যাত সেনাপতিও মুসলমানগণের হাতে নিহত হয়। এবার খাকান ফারগানার দিকে যাত্রা করেন। এ খবর পেয়ে ইয়ায্‌দেজিরদ ও মার্ভে শাহজাহান থেকে অবরোধ উঠিয়ে তুর্কিস্তানের দিকে চলে যান। ইয়ায্‌দেজিরদের আমীর-উমরা ও সেনাপতিরা এবার সুযোগ বুঝে ইয়ায্‌দেজিরদের বিরুদ্ধে চলে যায় এবং তিনি যেসব হীরা-জহরত ও মুল্যবান দ্রব্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে তুর্কিস্তানের দিকে যাচ্ছিলেন তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এবার খাকান একেবারে শূন্যহস্তে ফারগানায় গিয়ে পৌঁছেন। এ জয়ের সুসংবাদ হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর কাছে যখন মদীনা তাইয়িবাতে গিয়ে পৌঁছে, তখন তিনি ঘোষণা দিয়ে সমগ্র শহরের জনসাধারণকে মসজিদে নববীতে একত্র করে একটি ভাষণ দেন, যার সারমর্ম ছিল নিম্নরূপ :

অগ্নি উপাসকদের সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটেছে। এখন, আর তারা তাদের দেশের এক বিঘত জমির মালিক হতে পারবে না এবং মুসলমানগণেরও কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

হে মুসলমানগণ! আল্লাহ্ তা‘আলা আপনাদেরকে অগ্নি উপাসকদের ভূসম্পত্তি, তাদের রাজ্য এবং যাবতীয় ধন-সম্পদের অধিকারী করেছেন, যাতে এখন আপনাদের কাজকর্ম ও স্বভাব-চরিত্র যাচাই করতে পারে না। কাজেই, হে মুসলমানগণ! আপনারা আপনাদের চরিত্র পরিবর্তন করবেন না। অন্যথায় আল্লাহ্ তা‘আলা আপনাদের কাছ থেকেও সাম্রাজ্য ছিনিয়ে নিয়ে অন্য কোন জাতির হাতে তুলে দেবেন।

এর কিছুদিন পরই হযরত ফারূকে আযম (রা) মদীনা তাইয়িবাতে শাহাদত বরণ করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন