hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৪০
নির্বাচন
হযরত ফারূকে আযম (রা) খলীফা নির্বাচনের জন্য তিনদিন সময় দিয়েছিলেন। উপরন্তু, তিনি হযরত মিকদাদ (রা)-কে ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যাদের নাম খিলাফতের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে, তাঁরা মজলিসে বসে পরস্পর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে খলীফা নির্বাচন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন অন্য কাউকে ভিতরে যেতে দেওয়া না হয়। অবশ্য নিজস্ব অভিমত প্রদানের জন্য শুধু হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-কে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যাতে অভিমত প্রদানকারীদের সংখ্যা বেজোড় (অর্থাৎ সাত) হয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্ণয়ও সহজ হয়। আর হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা) সম্পর্কে হযরত ফারূকে আযম (রা) প্রথম থেকেই এ নির্দেশ জারি করে রেখেছিলেন যে তাঁকে কখনো খলীফা নির্বাচন করা যাবে না। তখন জনৈক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা)-কে খলীফা নির্বাচন করার জন্য হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর কাছে সুপারিশ করলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, খিলাফতের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার ভোগান্তি কি কম হয়েছে যে, আমি আমার বংশের অন্য লোকের উপরও এ বোঝা উঠিয়ে দিয়ে যাব এবং তাদেরকে জীবনের আরাম-আয়েশ থেকে বঞ্চিত রাখব? জনৈক ব্যক্তি যখন হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর কাছে এ মর্মে আবেদন জানায় যে আপনি নির্দিষ্ট কোন এক ব্যক্তিকে খলীফা মনোনীত করে যান—তখন তিনি বলেন, হযরত সিদ্দীকে আকবর (রা)-এর রীতি অনুযায়ী যদি আমি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলীফা মনোনীত নাও করি তবু তা আমার জন্য অবৈধ হবে না। আমি আমার পর যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি, তাহলে তিনি হবেন হযরত আবূ উবায়দা ইব্‌ন জাররাহ্ (রা)। কিন্তু, তিনি তো আমার আগেই ইনতিকাল করেছেন। হযরত আবূ হুযায়ফা (রা)-এর ক্রীতদাস হযরত সালিম (রা)-কেও আমি আমার পরবর্তী খলীফা মনোনীত করতে পারতাম। কিন্তু তিনিও তো আমার পূর্বেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তারপর তিনি খলীফা পদের জন্য ছয় ব্যক্তির নাম পেশ করেন যা ইতিপূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।

হযরত মিকদাদ ইব্‌ন আল-আসওয়াদ (রা) এবং হযরত আবূ তালহা আনসারী (রা) হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর ওসীয়াত মুতাবিক নতুন একজন খলীফা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত হযরত সুহায়ব (রা)-কে সাময়িকভাবে (তিন দিনের জন্য) মদীনার শাসনকর্তা (ইমাম) নিয়োগ করেন এবং হযরত আলী (রা), হযরত উসমান (রা), হযরত যুবায়র (রা), হযরত আ‘দ (রা), হযরত আবদুর রহমান (রা) এবং হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-এর ঘরে হযরত মিসওয়ার ইব্‌ন মাখরামা এবং অন্য এক বর্ণনামতে, হযরত আয়িশা (রা)-এর ঘরে একত্রিত করেন এবং অন্য কেউ যাতে সে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নিজের লোকদের নিয়ে দরজায় বসে থাকেন। হযরত তালহা (রা) তখন মদীনা শরীফ ছিলেন না। কাজেই অন্য কারো সে ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) ও হযরত মুগীরা ইব্‌ন শু’বাহ (রা) একবার ঘরের দরজায় এসে বসেছিলেন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) তা জানতে পেরে তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দেন, যাতে তারা কখনো একথা বলতে না পারেন যে, আমরা মজলিসে শূরার অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। যখন সবাই সুস্থির হয়ে সেখানে এসে বসেন, তখন সর্বপ্রথম হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) দাঁড়িয়ে বলেন, খলীফা পদের জন্য যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে এমন কে আছেন, যিনি এ পদ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিতে আগ্রহী? যিনি তা করবেন তাঁকে এ অধিকার দেওয়া হবে যে, তিনি যেন তোমাদের মধ্যে যাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক যোগ্য মনে করেন, তাকেই খলীফা নির্বাচিত করেন। একথা শুনে মজলিসের সবাই নিরুত্তর থাকেন। অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) পুনরায় ঘোষণা করেন, আমি আমার নাম প্রত্যাহার করে নিলাম এবং খলীফা নির্বাচনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলাম। এ কথায় উপস্থিত সকলেই সায় দিলেন এবং হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা)-কে এ অধিকার প্রদান করলেন যেন তিনি তাদের মধ্য থেকে যাকে চান তাকেই খলীফা নির্বাচন করেন। অবশ্য হযরত আলী ইব্‌ন আবূ তালিব (রা) তখন সম্পূর্ণ নীরব থাকেন। তিনি হ্যাঁ বা না কিছুই বলেন নি। তখন হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) হযরত আলী (রা)-কে সম্বোধন করে বলেন, আপনি তো কিছু বললেন না। আপনিও আপনার মত প্রকাশ করুন। হযরত আলী (রা) তখন বলেন, আমিও আপনাদের সাথে একমত, তবে এ শর্তে যে, আপনি প্রথমে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেবেন যে, আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা শুধুমাত্র ন্যায়, সত্য ও উম্মতের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে নেবেন এবং তাতে পক্ষপাতিত্ব বা ব্যক্তিস্বার্থ স্থান দেবেন না। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) বলেন, আমি আপনাকে সে প্রতিশ্রুতি দিলাম যে আমি যে সিদ্ধান্ত নেব তা পক্ষপাতিত্ব বা ব্যক্তিস্বার্থের বশবর্তী হয়ে নয় বরং উম্মতের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল সাধন এবং ন্যায় ও সত্যের খাতিরেই নেব। কিন্তু আপনাদেরকেও এ প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে হবে যে, যাকেই আমি নির্বাচন করবো, আপনারাও সন্তুষ্টচিত্তে তাকে মেনে নেবেন এবং যে আমার মতের ও আমার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে, আপনারা সকলে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করবেন। একথা শুনে হযরত আলী (রা)-সহ উপস্থিত সকলেই অঙ্গীকার করেন : আমরা নির্দ্বিধায় আপনার সিদ্ধান্ত মেনে নেব এবং তা বাস্তবায়নে আপনাকে সাহায্য করবো।

এ অঙ্গীকার ও পাল্টা অঙ্গীকারের পর সেদিনের বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় এবং সবাই নিজ নিজ ঘরে চলে যান। তারপর হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ এবং বিখ্যাত সাহাবায়ে কিরামের সাথে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেন। নিজেও এ সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) থেকে বর্ণিত আছে– তিনি বলেন, আমি, হযরত উসমান (রা)-কে একান্ত নিভৃতে জিজ্ঞেস করলাম, আমি যদি আপনার হাতে বায়‘আত না করি, তাহলে আপনি প্রস্তাবিত ছয়জনের মধ্য থেকে কার হাতে বায়‘আত করতে বলবেন? তিনি জবাব দেন, হযরত আলী (রা)-এর হাতেই বায়‘আত করা উচিত। তারপর আমি হযরত আলী (রা)-কেও একান্ত নির্জনে অনুরূপ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তিনি হযরত উসমান (রা)-এর নাম উল্লেখ করেন। তারপর আমি অন্যান্য বিজ্ঞ ব্যক্তিকেও অনুরূপ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম। তখন দেখা গেল, সংখ্যাগরিষ্ঠের মত হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষে রয়েছে। নির্ধারিত তিন দিনের শেষ রাত্রিতে উল্লিখিত ব্যক্তিবৃন্দ পুনরায় ঐ ঘরে সমবেত হন। তখন আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) হযরত যুবায়র (রা) ও হযরত সা‘দ (রা)-কে পৃথকভাবে ডেকে নিয়ে বলেন, সাধারণভাবে সবাই হযরত আলী (রা) ও হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন। একথা শুনে হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) বলেন, আপনি স্বয়ং আমাদের বায়‘আত নিয়ে নিন এবং এসব ঝগড়া থেকে আমাদের মুক্ত করে দিন। হযরত আবদুর রহমান (রা) বলেন, তা কি করে সম্ভব। আমি তো খলীফা পদের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তিবর্গের তালিকা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তারপর হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) হযরত উসমান ও হযরত আলী (রা)-কে পৃথক পৃথকভাবে ডেকে নিয়ে তাঁদের সাথে কথাবার্তা বলেন। একলা পরামর্শ ও কথোপকথনের মধ্যে সারা রাত কেটে যায়। পরবর্তী ভোরেই কিন্তু খলীফা নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। ফজরের নামাযের পর সমগ্র মসজিদ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) খলীফা পদের জন্য কার নাম ঘোষণা করেন, তা শোনার জন্য সকলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) কিছু বলার পূর্বেই এমন কিছু লোক এ ব্যাপারে নিজেদের মত প্রকাশ করতে শুরু করেন, যাঁরা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিল না। যেমন, হযরত আম্মার (রা) বলেন, আমি হযরত আলী (রা)-কে খলীফা পদের জন্য সর্বাধিক যোগ্য মনে করি। হযরত ইব্‌ন আবূ সারাহ ও হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন রাবীআ (রা) বলেন, আমরা হযরত উসমান (রা)-কেই এ পদের জন্য সর্বাধিক যোগ্য মনে করি। যখন এ ধরনের কথাবার্তা শুরু হল, তখন হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা)-কে বললেন, আপনি এখনো দেরি করছেন কেন? মুসলমানগণের মধ্যে ফিত্‌না (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কাজেই যত শীঘ্র সম্ভব আপনি আপনার অভিমত ব্যক্ত করে বিষয়টি মিটমাট করে ফেলুন। তখন হযরত আবদুর রহমান (রা) উঠে দাঁড়িয়ে জনতাকে সম্বোধন করে বলেন, খলীফা নির্বাচনের ব্যাপারে আমি প্রত্যেক স্তরের ও প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মতামত জানার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে আমি মোটেই আলস্য করি নাই বা অসতর্কও হইনি। কাজেই আমার সিদ্ধান্ত কেউ অস্বীকার করবে সে সুযোগ বাকী নেই। কেননা, পরামর্শ কমিটি এবং খলীফা পদের জন্য যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাদের সকলেই আগ্রহ সহকারে ও সানন্দচিত্তে আমার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে গিয়ে আমি আমার সমগ্র শক্তি কাজে লাগিয়েছি। একথা বলার পর তিনি হযরত উসমান গনী (রা)-কে তাঁর কাছে ডেকে নিয়ে বলেন, আপনি অঙ্গীকার করুন যে, মহান আল্লাহ্ ও মহান আল্লাহর পিয়ারা রাসূলের হুকুম এবং হযরত আবূ বকর (রা) ও হযরত উমর (রা)-এর আদর্শ অনুসরণ করে চলবেন। হযরত উসমান (রা) অঙ্গীকার করেন যে, তিনি সে অনুযায়ী চলার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তারপর হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রা) হযরত উসমান (রা)-এর হাতে বায়‘আত করেন এবং তার দেখাদেখি অন্যান্য সবাই হযরত উসমান (রা)-এর হাতে বায়‘আত করতে থাকে। প্রথম এ দৃশ্য হযরত আলী (রা)-এর মনঃপূত হয়নি। তাই তিনি মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে থাকেন, তারপর কি চিন্তা করে অত্যন্ত দ্রুত বেগে ও ব্যস্তত্রস্ত হয়ে সারির পর সারি অতিক্রম করে সোজা এগিয়ে গিয়ে হযরত উসমান গনী (রা)-এর হাতে বায়‘আত করেন। হযরত তালহা (রা) ঐ দিন অর্থাৎ ১লা মুহাররম মদীনা শরীফে ছিলেন না। তাই তিনি পরামর্শ সভায় যোগদান করতে পারেননি। হযরত তালহা (রা) পরদিন অর্থাৎ ২রা মুহাররম (হিজরী ২৪ সন) মদীনা তাইয়িবাতে আসেন। যখন তিনি শোনেন যে সকল লোক সর্বসম্মতিক্রমে হযরত উসমান (রা)-এর হাতে বায়‘আত করেছেন তখন নিজেও বায়‘আত করার উদ্দেশ্যে হযরত উসমান (রা)-এর দরবারে উপস্থিত হন। হযরত উসমান (রা) তাকে দেখেই বলেন, আপনার অনুপস্থিতিতেই আমাকে খলীফা নির্বাচন করা হয়েছে। আপনার জন্য বেশী দিন অপেক্ষা করা সম্ভবও ছিল না। তবু আপনি যদি খলীফা পদের দাবীদার হন, তাহলে আমি আপনার পক্ষে খিলাফতের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি। হযরত তালহা (রা) বলেন, যখন সবাই খলীফা হিসাবে আপনার হাতে বায়‘আত করেছে তখন আমিও আপনাকে খলীফা হিসাবে মেনে নিতে সম্মত আছি। মুসলমানগণের মধ্যে কোন বিশৃঙ্খলা বা মতানৈক্যের সৃষ্টি হোক আমি তা চাই না। এ বলে তিনি হযরত উসমান (রা)-এর হাতে বায়‘আত করেন।

বায়‘আত গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর হযরত উসমান গনী (রা) মিম্বরে দাঁড়িয়ে সকলকে সম্বোধন করে পুণ্যকর্মের (আমলে সালিহার) প্রতি উৎসাহিত করেন, বিত্ত-সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে মানুষের মধ্যে যে শৈথিল্য ও কর্মবিমুখতা দেখা দেয় সে সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সব কিছুর উপর প্রাধান্য দেওয়ার উপদেশ দেন। তারপর প্রাদেশিক শাসনকর্তা ও কর্মকর্তাদের নামে এক নির্দেশ জারি করেন, যাতে হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর ইনতিকাল এবং তাঁর নিজের খলীফা নির্বাচিত হওয়ার বিবরণ ছিল। তাতে সবাইকে তাগিদ দেওয়া হয় যেন তারা হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর খিলাফতকালে যেরূপ বিশ্বস্ততার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁর খিলাফত কালেও সেরূপ করে যান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন