hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৪২৯
অনুপম চরিত্র বৈশিষ্ট্য
ইমাম হাসান (রা) অত্যন্ত ধৈর্যশীল, গাম্ভীর্যসম্পন্ন, মহৎ ও বদান্য ব্যক্তি ছিলেন। বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত তিনি অত্যন্ত ঘৃণা করতেন। তিনি পদব্রজে পঁচিশবার হজ্জ করেন, অথচ উট ঘোড়া তাঁর সাথে থাকত। উমায়র ইব্‌ন ইসহাক বলেন, আমার কাছে শুধু হযরত হাসান (রা)-ই এমন ব্যক্তি ছিলেন যে, তিনি কথা বলতেন আমি চাইতাম যেন তিনি অবিরত কথা বলে যান এবং তাঁর কথা যেন শেষ না হয়। আমি তার মুখ থেকে কখনো কোন বিশ্রী কথা শুনিনি।

মারওয়ান যখন মদীনার গভর্নর ছিলেন এবং ইমাম হাসান (রা)-ও খিলাফত ত্যাগ করে মদীনায়ই বসবাস করতেন তখন একদা মারওয়ান তার কাছে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে বলে পাঠায় তুমি হচ্ছ খচ্চরতুল্য (আল্লাহ্ পানাহ্)। যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তোমার বাপ কে, তখন সে বলে, আমার মা ছিল একটি ঘোটকী। এর উত্তরে তিনি মারওয়ানকে বলে পাঠান, আমি একথা কখনো ভুলব না যে, তুমি আমাকে অহেতুক গালি দিচ্ছ। একদিন তোমাকে ও আমাকে আল্লাহর সামনে হাযির হতে হবে। যদি তুমি নিজের কথায় সত্যবাদী হয়ে থাক তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা এই সত্য বলার জন্য তোমাকে উত্তম প্রতিদান দেবেন। আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হয়ে থাক তাহলে ভালোভাবে স্মরণ রাখ, আল্লাহ তা‘আলা সর্বাধিক প্রতিশোধ গ্রহণকারী। জারীর ইব্‌ন আসমা (রা) বলেন, হাসান (রা) ইনতিকাল করলে মারওয়ান তার লাশের কাছে ক্রন্দন করতে থাকে। তখন ইমাম হুসায়ন (রা) বলেন, এখন তো তুমি কাঁদছ, কিন্তু জীবিতাবস্থায় তুমি তাকে সব সময়ই কষ্ট দিতে। তখন মারওয়ান বলে, তুমি তো জানই, আমি এমন এক ব্যক্তির সাথে এরূপ আচরণ করতাম যিনি ছিলেন পাহাড়ের চাইতেও অধিক ধৈর্যশীল ও উদার। আলী ইব্‌ন যায়দ বলেন, ইমাম হাসান (রা) দু’বার নিজের সমস্ত সম্পদ আল্লাহর পথে দান করেন এবং তিনবার দান করেন অর্ধেক অর্ধেক। এমন কি শেষ পর্যন্ত একটি জুতা রেখে দেন, অপরটি দান করে ফেলেন।

একদা তার সামনে উল্লিখিত হল যে, আবূ যর (সাঃ) বলেন, ঐশ্বর্যের চাইতে দারিদ্র্য এবং সুস্থতার চাইতে অসুস্থতা আমার কাছে অধিক প্রিয়। তিনি (আলী), তখন বললেন, আল্লাহ্ আবূ যরের উপর কৃপা করুন, আমি তো নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেই এবং কোন কিছুই আশা করি না। তিনি (আল্লাহ) যা চান তাই করুন, এতে হস্তক্ষেপ করার কোন ক্ষমতা আমার নেই।”

তিনি যখন হিজরী ৪১ সনের রবিউল আউয়াল মাসে তার খিলাফতের দায়িত্ব আমীরে মুআবিয়ার হাতে সমর্পণ করেন তখন থেকে তার বন্ধুবান্ধব তাঁকে ‘আরুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলমানদের লজ্জা ও অপমান’ এই নামে ডাকতো। তিনি বলতেন, ‘আর (লজ্জা ও অপমান) নার’ (জাহান্নাম)-এর চাইতে ভালো। জনৈক ব্যক্তি তাকে বলল, হে মুসলমানদের অপমানকারী! তোমার উপর সালাম। তিনি উত্তরে বললেন, আমি মুসলমানদের অপমান করিনি বরং রাজত্ব লাভের জন্য তোমাদের হত্যা করাটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। যুবায়র ইব্‌ন নুফায়ল (রা) বলেন, আমি হাসান (রা)-কে বললাম, গুজব শোনা যাচ্ছে যে, আপনি পুনরায় খিলাফতের আকাঙ্ক্ষা করেন। তিনি উত্তরে বলেন, যখন আমি আরববাসীর দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলাম, যাকে দিয়ে ইচ্ছা যে কারো বিরুদ্ধে লড়তে পারতাম, তখন আমি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য খিলাফত ত্যাগ করেছি। এখন শুধু হিজাযবাসীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কি করে তা গ্রহণ করতে পারি? তিনি হিজরী ৫০ সনের রবিউল আউয়াল মাসে ইনতিকাল করেন। কেউ কেউ বলে, বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করা হয়। ইমাম হুসায়ন (রা) প্রায়ই তাঁর কাছ থেকে জানতে চাইতেন, কে তাকে বিষ দিয়েছে। কিন্তু তিনি কারো কথা বলেন নি বরং বলেছেন, যার উপর আমার সন্দেহ রয়েছে সে-ই যদি আমার হত্যাকারী হয় তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর শক্ত প্রতিশোধ নেবেন। অন্যথায় আমার কারণে কেন একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন