hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩০২
হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-এর ইরাকে উপস্থিতি
হযরত মুছান্না ইব্‌ন হারিছা (রা) তাঁর জীবনের অন্তিম মুহূর্তে হযরত বশীর ইব্‌ন হুসামা (রা)-কে আপন বাহিনীর নেতা মনোনীত করেছিলেন। তখন তাঁর বাহিনীতে আট হাজার সৈন্য ছিল। হযরত ফারূকে আযম (রা) হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা)-কে কোন্ রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এবং কোন্ কোন্ মনযিলে অবতরণ করতে হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি প্রতিদিনই তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠাতে থাকেন এবং সেই সাথে মুসলিম বাহিনীর দৈনন্দিন অবস্থাদি সম্পর্কেও অবহিত হতে থাকেন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) যখন ছা‘লাবা থেকে সীরাফের দিকে অগ্রসর হন, তখন পথিমধ্যে বনী আসাদ গোত্রের তিন হাজার মুজাহিদ তার বাহিনীতে এসে মিলিত হন। তারা হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর নির্দেশ অনুযায়ী সেখানে হযরত সা‘দ (রা)-এর অপেক্ষা করছিলেন। হযরত সা‘দ (রা) যখন সীরাফে গিয়ে পৌঁছেন, তখন হযরত ফারুকে আযম (রা)-এর নির্দেশ অনুযায়ী আশআস ইব্‌ন কায়েস (রা) তার গোত্রের দু’হাজার মুজাহিদসহ মুসলিম বাহিনীতে যোগদান করেন। হযরত মুছান্না (রা)-এর ভাই মুআন্না ইব্‌ন হারিছা শায়বানী (রা) এখানে এসে হযরত সা‘দ (রা)-এর বাহিনীর সাথে মিলিত হন। হযরত সা‘দ (রা) এবার গণনা করে দেখেন যে, সম্মিলিত মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা বিশ ও ত্রিশ হাজারের মধ্যে। এর মধ্যে তিনশ’ সাহাবায়ে কিরাম এমনও রয়েছেন, যারা বায়‘আত রিদওয়ানে উপস্থিত ছিলেন। এমন কি সত্তর জন সাহাবায়ে কিরাম এমনও রয়েছেন যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) সীরাফেই অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তার নামে হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর নির্দেশ আসে : কাদিসিয়ার দিকে অগ্রসর হও এবং সেখানে পৌঁছে এমন জায়গায় ব্যুহ রচনা কর যে, ইরানের সমভূমি তোমাদের সম্মুখে এবং আরবের পাহাড় তোমাদের পিছনে থাকে। যদি আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদেরকে জয়ী করেন তাহলে যতটুকু ইচ্ছা এগিয়ে যাও। মহান আল্লাহ না করুন, যদি পরিস্থিতি এর বিপরীত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পিছনে পাহাড়ে আশ্রয় নিবে। তারপর খুব কৌশলের সাথে শত্রুদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালাও।’

নির্দেশ অনুযায়ী সা‘দ (রা) সীরাফের দিকে রওয়ানা হন। তিনি হযরত যুবায়র ইব্‌ন আবদুল্লাহ ইব্‌ন কাতাদা (রা)-কে অগ্রবর্তী বাহিনীর, হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন মু‘তাসিম (রা)-কে ডান পাশের বাহিনীর, হযরত শুরাহবীল ইব্‌ন সামাত কিনদী (রা)-কে বাম পাশের বাহিনীর, হযরত আসিম ইব্‌ন আমর তামীমী (রা)-কে পশ্চাৎবর্তী বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেন। হযরত সালমান ফারসী (রা) বাহিনীর রসদ সামগ্রীর প্রধান কর্মকর্তা, হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন রাবীআ (রা) বিচারক ও কোষাধ্যক্ষ, হযরত হিলাল হাজরী (রা) অনুবাদক এবং হযরত যিয়াদ ইব্‌ন আবূ সুফিয়ান (রা) কাতিব বা সচিব ছিলেন। মুসলিম বাহিনী সীরাফ থেকে কাদিসিয়া অভিমুখে রওয়ানা হয়ে যায়। পথিমধ্যে ‘গাদীর’ নামক একটি স্থানে ইরানীদের অস্ত্রাগার ছিল। হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস সেটা দখল করে কাদিসিয়ায় গিয়ে উপনীত হন। কাদিসিয়া পৌঁছার পর তিনি আনুমানিক দু’মাস পর্যন্ত পারস্য বাহিনীর অপেক্ষায় বসে থাকেন। এ সময়ে ইসলামী বাহিনীর যখন কোন রসদ সামগ্রীর প্রয়োজন হত, তখন রাতের বেলায় কয়েকটি ক্ষুদ্র বাহিনী ইরানের বিভিন্ন এলাকা থেকে তা সংগ্রহ করে নিয়ে আসত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন